1 পরমেশ্বর, কেন তুমি আমাদের ত্যাগ করেছ চিরকালের মত? কেন তোমার চারণভূমির মেষপালের প্রতি জ্বলে ওঠে তোমার ক্রোধ?
2 মনে রেখ সেই জনমণ্ডলীর কথা তুমি যাকে একদিন কিনলে, সেই গোষ্ঠীকে তোমার সম্পদরূপে তুমি যার মুক্তিকর্ম সাধন করলে, সেই সিয়োন পর্বতকে তুমি যেখানে করলে বসবাস।
3 বাড়াও পা এ চিরকালীন ধ্বংসস্তূপের দিকে, শত্রু সবকিছু ধ্বংস করল তোমার পবিত্রধামে।
4 তোমার বিরোধীরা গর্জে উঠল আমাদের সঙ্গে তোমার সেই সাক্ষাৎ-স্থানে, সেখানে নিজেদের পতাকা পুঁতে রাখল চিহ্নরূপে।
5 বনের গভীরে কুড়াল উঁচু করে চালায় যারা,
6 তাদের মত কুঠার গদার আঘাতে তারা ভেঙে ফেলল কাঠের যত কারুকাজ।
7 তারা আগুনে দিল তোমার পবিত্রধাম, তোমার নামের আবাস ভূমিসাৎ করে কলুষিতই করল।
8 তারা মনে মনে বলছিল, 'এসো, আমরা এদের সম্পূর্ণই চূর্ণ করি ;' তারা পুড়িয়ে দিল দেশে আমাদের সঙ্গে ঈশ্বরের সমস্ত সাক্ষাৎ-স্থান।
9 আমরা আর কোন চিহ্ন দেখি না, আর কোন নবী নেই, আর আমরা কেউই জানি না এসব আর কতকাল?
10 আর কতকাল, পরমেশ্বর, বিরোধী দল দিয়ে যাবে অপবাদ? শত্রু কি তোমার নাম উপেক্ষা করে যাবে চিরকাল?
11 "কেন তুমি ফিরিয়ে নাও হাত ? কেনই বা তুমি ডান হাত এমনিই রাখ কোলের উপর ?
12 অথচ পরমেশ্বর আদি থেকেই আমার রাজা, তিনি পৃথিবীর বুকে সাধন করলেন পরিত্রাণ।
13 তোমার প্রতাপে তুমি বিভক্ত করলে সাগর, জলরাশির উপর টুকরো টুকরো করে ফেললে নাগদানবদের মাথা।
14 তুমি লেভিয়াথানের সাত মাথা চূর্ণ করলে, তার দেহটাকে মরুপ্রাণীদেরই খেতে দিলে,
15 তুমিই খুলে দিলে জলের উৎস ও স্রোতের মুখ, তুমিই সনাতন নদনদী শুষ্ক করলে।
16 দিনও তোমার, রাতও তোমার, তুমিই বসিয়েছ চন্দ্র ও সূর্য,
17 তুমিই স্থাপন করেছ পৃথিবীর সীমারেখা, তুমিই প্রবর্তন করেছ গ্রীষ্ম ও শীতের ঋতুচক্র।
18 মনে রেখ, শত্রু প্রভুকে দিল অপবাদ, নির্বোধ এক জাতি উপেক্ষা করল তোমার নাম।
19 তোমার এ কপোতটির প্রাণ তুমি দিয়ো না গো বন্যজন্তুর মুখে, তোমার দুঃখীদের প্রাণ ভুলে থেকো না চিরকাল ধরে।
20 তোমার আপন সন্ধি রক্ষা কর, কেননা পৃথিবীর যত অন্ধকার কোণ হিংসার আস্তানায় পরিপূর্ণ।
21 অত্যাচারিতকে যেন না ফিরতে হয় অপমানিত হয়ে, দুঃখী ও নিঃস্ব যেন করতে পারে তোমার নামের প্রশংসাবাদ।
22 উত্থিত হও, পরমেশ্বর; আত্মপক্ষ সমর্থন কর ; মনে রেখ, নির্বোধ মানুষ তোমায় অপবাদ দেয় সারাদিন।
23 তোমার বিরোধীদের চিৎকার ভুলো না, বাড়ে দিনে দিনে তোমার বিরোধীদের কোলাহল।