1 আকাশমণ্ডল বর্ণনা করছে ঈশ্বরের গৌরব,
গগনতল ঘোষণা করছে তাঁর হাতের কর্মকীর্তি:
2 দিন দিনের কাছে সেই কথা ব্যক্ত করে,
রাত রাতের কাছে সেই জ্ঞান জ্ঞাত করে।
3 নেই কোন কথা, নেই কোন বাণী,
শোনা যায় না কো তাদের কণ্ঠস্বর,
4 তবু সারা পৃথিবী জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে তাদের স্বরধ্বনি,
বিশ্বের প্রান্তসীমায় তাদের বচন।
সেখানে তিনি তাঁবু গাড়লেন সূর্যেরই জন্য
5 যে বরের মত বাসর থেকে বেরিয়ে এসে
বীরের মতই মেতে ওঠে পথে দৌড়োবার জন্য;
6 আকাশের এক প্রান্ত থেকে উঠে সে অপর প্রান্তে পরিক্রমা করে,
কিছুই এড়াতে পারে না কো তার উত্তাপ।
7 প্রভুর বিধান নিখুঁত,
প্রাণকে পুনরুজ্জীবিত করে;
প্রভুর সাক্ষ্য বিশ্বাসযোগ্য,
সরলমনাকে প্রজ্ঞাবান করে।
8 প্রভুর আদেশমালা ন্যায্য,
হৃদয়ে আনন্দ সঞ্চার করে;
প্রভুর আজ্ঞা নির্মল,
চোখে আলো দান করে।
9 প্রভুভয় শুদ্ধ, চিরস্থায়ী,
প্রভুর বিচারগুলি সত্যাশ্রয়ী, সব ক'টি ধর্মময়,
10 সোনার চেয়ে, অজস্র খাঁটি সোনার চেয়েও মূল্যবান,
মধুর চেয়ে, মৌচাকের ঝরে পড়া মধুর চেয়েও সুমধুর।
11 সেগুলি দ্বারা তোমার এ দাস সতর্ক হয়ে ওঠে,
সেগুলি পালনে রয়েছে মহালাভ।
12 নিজের ভুলভ্রান্তি কেবা বুঝতে পারে?
আমার অজ্ঞাত পাপ ক্ষমা কর।
13 স্পর্ধা থেকেও তোমার এ দাসকে দূরে রাখ,
তা যেন আমার উপর প্রভুত্ব না করে;
তবেই আমি হব পুণ্যবান,
গুরু অন্যায় থেকে নিষ্কলঙ্ক।
14 তোমার গ্রহণযোগ্য হোক আমার মুখের কথা,
তোমার সম্মুখীন হোক আমার হৃদয়ের জপন,
ওগো প্রভু, আমার শৈল, আমার মুক্তিসাধক।