1 প্রভু, তুমি তো আমাকে তলিয়ে দেখ, আমাকে জান;
2 তুমি তো জান আমি কখন বসি, কখন উঠি, দূর থেকেই তুমি বুঝতে পার আমার চিন্তাসকল,
3 তুমি তো লক্ষ রাখ আমি কখন হাঁটি, কখন শুই, আমার সকল পথ তোমার কাছে পরিচিত।
4 একটা কথা জিহ্বায় আসার আগেই তুমি, প্রভু, সেই সবই জান ;
5 পিছনে সামনে তুমি আমায় ঘিরে রাখ, আমার উপর রাখ তোমার হাত।
6 আমার কাছে তেমন জ্ঞান অপরূপ, এত উঁচু যে আমি তার নাগাল পাই না।
7 তোমার আত্মা থেকে আমি দূরে কোথায় বা যাব ? তোমার শ্রীমুখ থেকে আমি কোথায় বা পালাতে পারব?
8 স্বর্গে যদি গিয়ে উঠি, সেখানে তুমি আছ : পাতালে যদি শয্যা পাতি, দেখ, সেখানেও তুমি আছ।
9 যদি উষার পাখায় ভর ক’রে আমি সমুদ্রের অতীতে বসবাস করি,
10 সেখানেও তোমার হাত আমায় চালিত করে, সেখানেও তোমার ডান হাত আমায় ধরে রাখে।
11 আমি যদি বলি : ‘আমায় ঢেকে রাখুক অন্ধকার, আমার চারদিকে আলো হোক রাত,'
12 তোমার কাছে কিন্তু অন্ধকারও অন্ধকারময় নয়, রাত দিনেরই মত আলোময় : যেমন অন্ধকার তেমন আলো।
13 তুমিই গঠন করেছ আমার অন্তরাজি, তুমিই আমায় বুনে বুনে গড়েছ আমার মাতৃগর্ভে।
14 আমি তোমার স্তুতি করি, তুমি যে ভয়রেভাবেই আমাকে করেছ অপরূপ : তোমার সমস্ত কর্মকীর্তিই অপরূপ, তা ভাল করে জানে আমার প্রাণ।
15 আমি যখন গোপনে হচ্ছিলাম সংগঠিত, পৃথিবীর গভীরে যখন হচ্ছিল এ দেহের বয়ন, তখন তোমার কাছে আমার হাড়গুলি ছিল না লুক্কায়িত।
16 তোমার চোখ দেখেইছে আমার অগঠিত ভ্রূণ ; সবকিছুই লেখা ছিল তোমার গ্রন্থে ; নিরূপিত ছিল আমার আয়ুষ্কাল, যদিও তখনও শুরু হয়নি একটিও দিন।
17 তোমার ভাবনা-চিন্তা আমার পক্ষে কতই না জ্ঞানের অতীত, হে ঈশ্বর, সেগুলির সংখ্যা কতই না অগণন :
18 যদি গুনে দেখি, তবে সেগুলির সংখ্যা বালুকা-কণার চেয়ে বেশি, যখন শেষ করি, তখনও তোমারই সঙ্গে আছি।
19 পরমেশ্বর যদি দুর্জনদের সংহার করতেন! আমা থেকে দূরে যাও তোমরা, রক্তলোভী মানুষ !
20 ওরা ফন্দি খাটিয়েই তোমার বিরুদ্ধে কথা বলে, প্রতারণা ক'রে তোমার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়।
21 যারা তোমাকে ঘৃণা করে, প্রভু, আমি কি ঘৃণা করি না তাদের? যারা তোমার বিরুদ্ধে ওঠে, আমি কি অতিষ্ঠ নই তাদের নিয়ে?
22 আমি তাদের ঘৃণা করি চরম ঘৃণায়, আমার নিজেরই শত্রু বলে তাদের গণ্য করি।
23 আমায় তলিয়ে দেখ গো ঈশ্বর, জেনে নাও আমার অন্তর, আমায় পরীক্ষা কর, জেনে নাও আমার চিন্তাসকল।
24 দেখ আমি চলি কিনা অধর্ম পথে, আমায় চালনা কর সনাতন পথে।