1 সমগ্র পৃথিবী, পরমেশ্বরের উদ্দেশে জাগিয়ে তোল আনন্দচিৎকার,
2 তাঁর নামের গৌরবে স্তবগান কর, তাঁকে অর্পণ কর গৌরবময় প্রশংসাগান।
3 পরমেশ্বরকে বল : “তোমার কর্মকীর্তি কত ভয়ঙ্কর! তোমার প্রতাপ কত মহান ! তাই তোমার শত্রুরা তোমার বশ্যতা স্বীকার করে।
4 সমগ্র পৃথিবী তোমার উদ্দেশে প্রণত হোক, তোমার উদ্দেশে স্তবগান করুক, করুক তোমার নামগান।
5 এসো তোমরা, দেখ পরমেশ্বরের যত কাজ আদমসন্তানদের জন্য তাঁর কর্মকীর্তি কেমন ভয়ঙ্কর!
6 তিনি সাগর শুষ্ক ভূমিতে পরিণত করলেন, পায়ে হেঁটেই পার হল তারা ; সেইখানে এসো, আমরা তাঁকে নিয়ে আনন্দ করি।
7 স্বপরাক্রমে যিনি শাসন করেন চিরকাল, তাঁর চোখ দেশগুলিকে লক্ষ করে, বিদ্রোহীরা তাঁর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে পারে না।
8 জাতিসকল, আমাদের পরমেশ্বরকে বল ধন্য, শোনা যাক তাঁর প্রশংসাগানের সুর।
9 তিনিই তো জীবনে প্রতিষ্ঠিত করলেন আমাদের প্রাণ, আমাদের পা টলমল হতে দিলেন না।
10 তুমি আমাদের পরীক্ষা করেছ, পরমেশ্বর, আমাদের শোধন করেছ যেইভাবে রুপো শোধন করা হয়।
11 আমাদের নিয়ে গেছ কারাবাসে, আমাদের পিঠে চাপিয়েছ বোঝা।
12 আমাদের মাথার উপর দিয়ে মানুষকে চড়াতে দিয়েছ ঘোড়া আগুন ও জল পার হয়ে এসেছি আমরা, শেষে কিন্তু আমাদের বের করে এনেছ প্রাচুর্যের দিকে।
13 আহুতিবলি নিয়ে আমি তোমার গৃহে ঢুকব, তোমার কাছে উদযাপন করব সেই ব্রতসকল,
14 আমার ওষ্ঠ যা উচ্চারণ করল, সঙ্কটে আমার মুখ যা প্রতিজ্ঞা করল।
15 তোমার উদ্দেশে আমি দগ্ধ মেষের ধূপ-ধোঁয়ার সঙ্গে নধর পশু আহুতিরূপে উৎসর্গ করব, বৃষের সঙ্গে ছাগও বলিদান করব।
16 এসো, শোন তোমরা সকলে, পরমেশ্বরকে ভয় কর যারা, এসো, তোমাদের বলব আমার জন্য কী করেছেন তিনি—
17 আমার এই মুখে আমি চিৎকার করে ডেকেছিলাম তাঁকে, আমার এই জিহ্বায় বেজে উঠেছিল তাঁর বন্দনা গান।
18 মনে মনে আমি যদি অধর্মের প্রতি আসক্ত থাকতাম, তবে প্রভু আমাকে শুনতেন না।
19 কিন্তু সত্যি শুনেছেন পরমেশ্বর, তিনি মনোযোগ দিয়েছেন আমার প্রার্থনার কণ্ঠে।
20 "ধন্য পরমেশ্বর! তিনি তো ফিরিয়ে দেননি প্রার্থনা আমার, আমা থেকে ফিরিয়ে নেননি তিনি তাঁর কৃপা।