1 আমি প্রভুর ব্যাকুল প্রতীক্ষায় ছিলাম,
আমার উপর আনত হয়ে তিনি আমার চিৎকার শুনলেন ;
2 ধ্বংসের গর্ত থেকে, পঙ্কিল জলাভূমি থেকে
তিনি আমায় টেনে তুললেন।
আমার পা তিনি শৈলের উপর স্থাপন করলেন,
সুদৃঢ় করলেন আমার পদক্ষেপ।
3 আমার মুখে তিনি দিলেন একটি নতুন গান,
আমাদের পরমেশ্বরের প্রশংসাগান।
তা দেখে অনেকেই ভীত হবে,
প্রভুতে ভরসা রাখবে।
4 সুখী সেই জন, যে প্রভুতে ভরসা রাখে,
যে গর্বিতদের দিকে তাকায় না,
তাদের দিকেও না, যারা সরে গেছে মিথ্যাপথে।
5 কত আশ্চর্য কাজ তুমি সাধন করেছ, প্রভু, আমার পরমেশ্বর,
আমাদের জন্য তোমার কত চিন্তা!
কেউই নেই তোমার মত।
আমি সেগুলির কথা প্রচার করতাম, বর্ণনা করতাম,
কিন্তু সংখ্যাই যে গণনার অতীত।
6 যজ্ঞ ও নৈবেদ্যে তুমি প্রীত নও,
বরং উন্মুক্ত করেছ আমার কান ;
আহুতি ও পাপার্থে বলিদান চাওনি তুমি,
7 তখন আমি বললাম, 'এই যে আমি আসছি।'
শাস্ত্রগ্রন্থে আমার বিষয়ে লেখা আছে,
8 আমি যেন তোমার ইচ্ছা পূর্ণ করি;
হে আমার পরমেশ্বর, এতে আমি প্রীত,
আমার অস্ত্ররাজি-গভীরেই তোমার বিধান বিরাজিত।
9 আমি মহা জনসমাবেশে ধর্মময়তার কথা প্রচার করলাম,
দেখ, রুদ্ধ করি না কো আমার ওষ্ঠ, তুমি তো জান, প্রভু।
10 তোমার ধর্মময়তা লুকিয়ে রাখিনি হৃদয়-মাঝে,
বরং খুলে বলি তোমার বিশ্বস্ততা, তোমার প্রাণকর্মের কথা।
আমি মহা জনসমাবেশের মাঝে তোমার কৃপা,
তোমার বিশ্বস্ততার কথা গোপন রাখিনি।
11 তোমার স্নেহ থেকে আমায় বঞ্চিত করো না, প্রভু :
তোমার কৃপা, তোমার বিশ্বস্ততা আমায় অনুক্ষণ রক্ষা করুক।
12 অগণিত দুঃখবিপদ যে জড়িয়ে ধরেছে আমায়
আমার যত শঠতা ধরে ফেলেছে আমায়,
আর দেখতে পাচ্ছি না কিছু।
আমার মাথার চুলের চেয়েও সেগুলি সংখ্যায় বেশি,
আমার হৃদয় নিঃশেষিত।
13 প্রসন্ন হয়ে, প্রভু, আমাকে কর উদ্ধার,
আমার সহায়তায় শীঘ্রই এসো, প্রভু।
14 লজ্জিত নতমুখ হোক তারা সবাই,
আমার প্রাণ হরণ করতে সচেষ্ট যারা
আমার অমঙ্গলে যারা প্রীত,
তারা অপমানিত হয়ে পিছু হটে যাক।
15 যারা আমাকে ‘কি মজা, কি মজা' বলে,
তারা নিজেরাই লজ্জায় আচ্ছন্ন হোক।
16 তোমার সকল অন্বেষী মেতে উঠুক,
তোমাতে আনন্দ করুক,
যারা তোমার ত্রাণ ভালবাসে,
তারা অনুক্ষণ বলে উঠুক, ‘প্রভু মহান!'
17 কিন্তু দীনহীন নিঃস্ব যে আমি !
প্রভুই আমার জন্য চিন্তা করবেন।
তুমিই তো আমার সহায়, আমার মুক্তিদাতা,
আর দেরি করো না, পরমেশ্বর আমার।