1 উত্থিত হোন পরমেশ্বর, তাঁর শত্রুরা ছত্রভঙ্গ হোক, তাঁর বিদ্বেষীরা তাঁর সম্মুখ থেকে পালিয়ে যাক।
2 ধোঁয়া যেমন দূর করা হয়, তেমনি তুমি ওদের দূর করে দাও, মোম যেমন গলে আগুনের মুখে, তেমনি পরমেশ্বরের সম্মুখে দুর্জনেরা লুপ্ত হোক।
3 ধার্মিকেরা কিন্তু আনন্দ করুক, পরমেশ্বরের সম্মুখে উল্লাস করুক, আনন্দে মেতে উঠুক।
4 পরমেশ্বরের উদ্দেশে গান গাও তোমরা, কর তাঁর নামগান, মেঘপ্রান্তরে ‘প্রভু' নামে যিনি রথে চড়েন, প্রস্তুত কর তাঁর পথ, তাঁর সম্মুখে কর আনন্দোল্লাস।
5 এতিমদের পিতা, বিধবাদের রক্ষক, তা-ই পরমেশ্বর নিজের পবিত্র বাসস্থানে।
6 পরমেশ্বর সঙ্গীহীনদের ঘরে আসন দেন, বন্দিদের আনন্দময় মুক্তিদানে বের করে আনেন, বিদ্রোহীরা কিন্তু বসবাস করবে দক্ষ মাটির দেশে।
7 হে পরমেশ্বর, যখন তুমি বেরিয়ে যেতে তোমার আপন জাতির সামনে, যখন প্রান্তরের মধ্য দিয়ে তুমি যাত্রা করতে,
8 তখন সিনাইয়ের পরমেশ্বরের সম্মুখে, ইস্রায়েলের পরমেশ্বর যিনি, সেই পরমেশ্বরের সম্মুখে পৃথিবী কেঁপে উঠল, আকাশ ঝরাল বৃষ্টিধারা।
9 তুমি তখন অপর্যাপ্ত বর্ষা সিদ্ধান করলে, পরমেশ্বর, তোমার উত্তরাধিকারের শ্রান্ত মানুষকে তুমি উজ্জীবিত করলে।
10 তোমার লোকেরা সেই স্থানে বাস করল, যা তোমার মঙ্গলময়তায়, পরমেশ্বর, তুমি প্রস্তুত করেছিলে দীনহীনের জন্য।
11 প্রভু একটি বাণী ঘোষণা করেন, শুভসংবাদ এ : 'সেনাদল সুবিশাল !
12 যত রাজা ও সেনাদল পালিয়ে যাচ্ছে, পালিয়ে যাচ্ছে, ঘরের সেই সুন্দরী লুণ্ঠিত সম্পদ ভাগ করে নিচ্ছে।
13 তোমরা মেষঘেরিতে ঘুমিয়ে পড়ছ, এমন সময়ে কপোতীর ডানা রুপোয় মোড়া, পালকে পালকে সোনার আভা।'
14 সেই সর্বশক্তিমান যখন রাজাদের চারদিকে ছড়িয়ে দিলেন, তখন সালমোন পর্বতে হল তুষারপাত।
15 বাশানের পর্বত পরমেশ্বরেরই পর্বত, বহুচূড়াময় পর্বতই বাশানের পর্বত:
16 হে বহুচূড়াময় পর্বতমালা, কেন ঈর্ষার চোখে তাকাও সেই পর্বতের দিকে? পরমেশ্বর নিজেই সেই পর্বত বেছে নিয়েছেন আপন আবাসরূপে, সেইখানে প্রভু বসবাস করবেন চিরকাল।
17 লক্ষ লক্ষ, অসংখ্যই পরমেশ্বরের রথ, প্রভু সিনাই থেকে এসে প্রবেশ করলেন পবিত্রধামে।
18 বন্দিদের সঙ্গে করে নিয়ে তুমি ঊর্ধ্বে আরোহণ করলে, মানুষদের কাছ থেকে, বিদ্রোহীদেরও কাছ থেকে উপঢৌকন পেলে, যেন একটি বাসস্থান পেতে পার, হে প্রভু পরমেশ্বর।
19 ধন্য প্রভু দিনের পর দিন! আমাদের ত্রাণেশ্বর আমাদের ভার বহন করেন।
20 আমাদের ঈশ্বর পরিত্রাণকারী ঈশ্বর, পরমেশ্বর প্রভুরই তো যত মৃত্যুর নির্গম-দ্বার!
21 হ্যাঁ, পরমেশ্বর তাঁর শত্রুদের মাথা এবং অধর্মচারীদের সকেশ ললাটও চূর্ণ করবেন।
22 প্রভু বললেন, 'বাশান থেকে তাদের ফিরিয়ে আনব, সমুদ্রতল থেকেই তাদের ফিরিয়ে আনব,
23 তোমার পা যেন রক্তে সিঞ্চিত হয়, তোমার কুকুরদের জিভ যেন শত্রুদের মধ্যে নিজ নিজ অংশ পেতে পারে।'
24 তোমার শোভাযাত্রা, পরমেশ্বর, এখন দেখা দিচ্ছে, আমার ঈশ্বর, আমার রাজার শোভাযাত্রা পবিত্রধাম অভিমুখে—
25 আগে গায়কদল, পিছনে বাদকদল, মাঝখানে খঞ্জনি বাজিয়ে কুমারীর দল।
26 মহা জনসমাবেশে তোমরা পরমেশ্বরকে বল ধন্য, ইস্রায়েলের উদ্ভবের সময় থেকেই প্রভুকে বল ধন্য।
27 সেখানে দেখ, কনিষ্ঠজন বেঞ্জামিন আগে আগে আছে, পরপর যুদার নেতারা তাদের লোকসহ, জাবুলোনের নেতারা, নেফ্তালির নেতাসকল।
28 পরমেশ্বর, তোমার শক্তি জারি কর, পরমেশ্বর, আমাদের জন্য যা করেছ, তা দৃঢ় করে তোল।
29 যেরুসালেম-শিখরে তোমার মন্দিরের খাতিরে তোমার কাছে রাজারা আনবেন উপহার।
30 নলবনের সেই পশুকে ধমক দাও, জাতিদের বাছুরগুলির সঙ্গে সেই বৃষের পালকেও ধমক দাও, বিনীত হয়ে ওরা তাল তাল রুপো এনে দিক; যুদ্ধপ্রিয় যত জাতিকে বিক্ষিপ্ত কর ;
31 মিশর থেকে রাজদূতেরা আসবে, ইথিওপিয়া পরমেশ্বরের কাছে হাত পাতবে।
32 পৃথিবীর রাজ্যসকল, পরমেশ্বরের উদ্দেশে কর গান, প্রভুর উদ্দেশে তোল বাদ্যের ঝঙ্কার,
33 তাঁরই উদ্দেশে, প্রাচীনকাল থেকে স্বর্গের স্বর্গে রথে চড়েন যিনি; এই যে, তিনি শক্তিশালী কণ্ঠে বজ্রনাদ করেন।
34 পরমেশ্বরে আরোপ কর শক্তি, তাঁর মহিমা ইস্রায়েলের উপর, তাঁর শক্তি মেঘলোকে বিরাজিত।
35 পরমেশ্বর, তোমার পবিত্রধাম থেকে তুমি ভয়ঙ্কর, ইস্রায়েলের ঈশ্বর যিনি, তিনি তাঁর আপন জাতিকে শক্তি ও বল দান করেন। ধন্য পরমেশ্বর!