1 আমার প্রার্থনায় কান দাও গো পরমেশ্বর, আমার মিনতি থেকে নিজেকে লুকিয়ে রেখো না।
2 আমাকে শোন, সাড়া দাও ; আমি তো দুশ্চিন্তায় অস্থির,
3 শত্রুর কোলাহলে, দুর্জনের অত্যাচারে আমি সন্ত্রাসিত। আমার উপর ওরা দুর্দশা আনে, ক্রুদ্ধ হয়ে আমাকে নির্যাতন করে।
4 বুকে হৃদয় কেঁপে কেঁপে ওঠে, মৃত্যুর বিভীষিকা আমার উপর ঝরে পড়ে;
5 আমাতে ভয় শিহরণ ঢোকে আমাকে আতঙ্ক আচ্ছাদিত করে।
6 আমি বলি, 'কে আমাকে দিতে পারবে কপোতের মত ডানা আমি যেন উড়ে চলে গিয়ে বিশ্রাম পেতে পারি?
7 দেখ, আমি দূরে পালিয়ে প্রান্তরে রাত্রিযাপন করতাম,
8 ঝড়ঝঞ্ঝার কবল থেকে আশ্রয় পাবার জন্য শীঘ্রই চলে যেতাম।'
9 ওদের ধ্বংস কর, প্রভু; ওদের ভাষায় বিভেদ আন ; নগরে আমি যে দেখি হিংসা বিবাদ।
10 দিনরাত নগরপ্রাচীরের উপর দিয়ে ওরা ঘোরাফেরা করে,
11 ভিতরে অপকর্ম অধর্ম বিরাজিত : ভিতরে শুধু সর্বনাশ : শাসানি ও ছলনা কখনও রাস্তা-ঘাট ছাড়ে না।
12 কোন শত্রু যে আমাকে অপবাদ দেয়, তেমন নয়, তবে তা সহ্য করতাম। কোন বিদ্বেষীও যে আমার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়, তেমন নয়, তবে তার কাছ থেকে নিজেকে লুকোতে পারতাম।
13 কিন্তু তুমিই তো তাই করছ, তুমি যে আমার বন্ধু, আমার পরমাত্মীয়, আমার সাথী।
14 আমরা মিলে কত না মধুর আলাপ করতাম, কতই না অন্তরঙ্গতার সঙ্গে পরমেশ্বরের গৃহের দিকে হেঁটে চলতাম।
15 ওদের উপর মৃত্যু নামুক : ওরা জিয়ন্তই পাতালে নেমে যাক, কারণ ওদের ঘরে ওদের অন্তরে অনিষ্ট বিরাজিত।
16 আমি কিন্তু পরমেশ্বরকে ডাকি, আর প্রভু ত্রাণ করেন আমায়।
17 সন্ধ্যা সকাল মধ্যাহ্নে আমি বিলাপ করি, গর্জে উঠি, আর তিনি শোনেন আমার কণ্ঠ।
18 আমার আক্রমণকারীদের হাত থেকে তিনি শান্তিদানে আমাকে মুক্ত করেন, কারণ ভিড় করেই ওরা আমাকে ঘিরে রাখছিল।
19 আদি থেকে যিনি সিংহাসনে সমাসীন, সেই ঈশ্বর আমাকে শুনে ওদের অবনমিত করবেন, কারণ ওদের পরিবর্তনও নেই, পরমেশ্বরকেও ওরা ভয় করে না।
20 ও বন্ধুর বিরুদ্ধে বাড়ায় হাত, আপন সন্ধি লঙ্ঘন করে।
21 ননির চেয়ে মসৃণ ওর মুখ, কিন্তু ওর অন্তরে সংগ্রাম, তেলের চেয়েও স্নিগ্ধ ওর কথা, কিন্তু খোলা খঙ্গেরই মত।
22 প্রভুর উপর ফেলে দাও তোমার বোঝা, তিনি তোমাকে ধরে রাখবেন ; ধার্মিককে তিনি কখনও টলমল হতে দেবেন না।
23 ওগো পরমেশ্বর, রক্তলোভী ছলনাপটু মানুষ যারা, তাদের তুমি গভীর গহ্বরে নামিয়ে দেবে ; তারা আয়ুর মধ্যভাগেও পৌঁছতে পারবে না। আমি কিন্তু তোমাতেই ভরসা রাখি।