1 হে পরমেশ্বর, সিয়োনে প্রশংসা তোমার প্রাপ্য; তোমার কাছে ব্রত উদযাপন করা হয়;
2 তুমি যে মিনতি শোন তোমার কাছে আসে নশ্বর সকল জীব।
3 আমাদের পক্ষে ভারী তো অপরাধের বোঝা, কিন্তু আমাদের যত অন্যায় তুমি মার্জনা কর।
4 সুখী সেই জন, যাকে বেছে নিয়ে তুমি কাছে ডাকলে, সে তোমার প্রাঙ্গণে করবে বসবাস। তোমার গৃহের মঙ্গলদানে, তোমার মন্দিরের পবিত্রতায় আমরা পরিতৃপ্ত হব।
5 তোমার ধর্মময়তার ভয়ঙ্কর কীর্তি দ্বারাই তুমি তো আমাদের সাড়া দাও, হে আমাদের ত্রাণেশ্বর ; পৃথিবীর সকল প্রান্তের, সুদূর যত সাগরের ভরসা যে তুমি,
6 তুমি পরাক্রমে পরিবৃত হয়ে মহাপ্রতাপে পাহাড়পর্বত কর অবিচল।
7 তুমি শান্ত কর সাগর-গর্জন, তরঙ্গ-গর্জন, জাতিসকলের কোলাহল।
8 তোমার মহা মহা চিহ্ন দেখে ভয় পেল পৃথিবীর প্রান্তদেশের অধিবাসী। প্রভাত ও সন্ধ্যার বহির্দ্বারে তুমি জাগাও আনন্দধ্বনি।
9 এই পৃথিবীকে দেখতে এসে তা তুমি জলসিক্ত কর, প্রচুর দানেই তাকে ধনবর্তী করে তোল ; উছলে পড়ে পরমেশ্বরের নদী, শস্যের ফসল ফলাও তুমি; এভাবেই তুমি প্রস্তুত কর মাটির বুক—
10 জলসিস্ত কর তার খাঁজ, সমান কর তার আল, তা কোমল কর বৃষ্টিধারায়, তার অঙ্কুর আশীর্বাদ কর।
11 তুমি বছরকে তোমার মঙ্গলদানেই মুকুটভূষিত কর, তোমার রথ গমনে ঝরে পড়ে প্রাচুর্যের ধারা;
12 প্রান্তরের চারণভূমিতেও ঝরে পড়ে থাকে সেই ধারা ; গিরিশ্রেণীর গায়ে আনন্দের সাজ।
13 মাঠ মেষপাল-বসনে পরিবৃত, উপতাকা শসা আবরণে অলঙ্কৃত, সবকিছু জয়ধ্বনি করে, করে গান।