1 আমি বলেছি, 'আমার পথসকলের উপর সতর্ক দৃষ্টি রাখব,
জিহ্বা থেকে যেন পাপ দূরে রাখতে পারি ;
যতক্ষণ দুর্জন আমার সামনে থাকবে,
ততক্ষণ আমি মুখে বন্ধনী দেব।'
2 নির্বাক নিশ্চুপ হয়ে থাকলাম :
মঙ্গলের অভাবে মৌন থাকলাম,
আর বেড়ে চলল আমার দুঃখব্যথা!
3 বুকে হৃদয়ের কী সন্তাপ ;
ভাবতে ভাবতে জ্বলতে লাগল আগুন,
তখন আমার এ জিহ্বায় একথা বললাম :
4 “আমাকে জানাও, প্রশ্ন, আমার পরিণাম,
কতটুকু আমার জীবনের আয়ু,
যেন জানতে পারি আমি কত না ভঙ্গুর।’
5 দেখ! আমার দিনগুলি কত মুষ্টিমেয় করেছ তুমি;
তোমার সামনে শূন্যতাই যেন আমার আয়ুষ্কাল ।
মর্তবাসী প্রতিটি মানুষ একটা ফুৎকার মাত্র।
6 আসা-যাওয়া করেও মানুষ একটা ছায়া মাত্র :
তার ব্যস্ততা সত্ত্বেও সে একটা ফুৎকার মাত্র ;
সে জমায় অনেক কিছু, অথচ জানে না কে তা সংগ্রহ করবে।
7 এখন কিসের অপেক্ষায় আছি, প্ৰভু?
তোমাতেই শুধু আমার আশা।
8 আমার সমস্ত অন্যায় থেকে আমাকে উদ্ধার কর,
আমাকে করো না নির্বোধের অপবাদের পাত্র।
9 নীরব আছি, খুলি না মুখ,
কারণ তুমিই তো করেছ এসব কিছু ;
10 তোমার আঘাত আমা থেকে দূর করে দাও,
তোমার হাতের চাপে আমি যে নিঃশেষিত।
11 শঠতার জন্য শাস্তি দিয়ে তুমি মানুষকে সংশোধন কর
কীটের মত ক্ষয় কর তার কামনার ধন ;
প্রতিটি মানুষ একটা ফুৎকার মাত্র।
12 আমার প্রার্থনা শোন, প্রশ্ন :
আমার চিৎকারে কান দাও গো তুমি ;
আমার কান্না-বিলাপে বধির থেকো না,
কারণ তোমার গৃহে আমি তো বিদেশী,
আমিও প্রবাসী আমার সকল পিতৃপুরুষের মত।
13 আমা থেকে সরিয়ে নাও তোমার দৃষ্টি,
যাওয়ার আগে, চিহ্নবিহীন হওয়ার আগে
আমি যেন পেতে পারি একটু আনন্দের স্বাদ।