1 মধুর বাণী ফুটে ওঠে আমার হৃদয়ে
রাজাকে শোনাব আমার কাব্য।
আমার জিহ্বা যেন ক্ষিপ্র লেখকের লেখনীর মত।
2 আদমসন্তানদের মধ্যে তুমি সুন্দরতম,
তোমার ওষ্ঠ প্রসাদে উচ্ছ্বসিত,
পরমেশ্বর যে তোমাকে আশিসধন্য করেছেন চিরকালের মত।
3 হে বীর, কটিদেশে খড়া বেঁধে নাও!
প্রভা ও মহিমা তোমারই !
4 সফল হও! সত্য, নম্রতা ও ধর্মময়তার পক্ষে রথে চড়!
তোমার ডান হাত তোমাকে শেখাবে ভয়ঙ্কর কীর্তি :
5 তোমার তীরগুলি জাতিসকলকে তোমার পদতলে বিদ্ধ করে,
রাজশত্রুরা নিষ্প্রাণ হয়ে লুটিয়ে পড়ে।
6 হে পরমেশ্বর, তোমার সিংহাসন চিরদিন চিরকালস্থায়ী,
তোমার রাজদণ্ড ন্যায়েরই দণ্ড।
7 তুমি ধর্মময়তা ভালবাস কিন্তু অধর্ম ঘৃণা কর,
এজন্য পরমেশ্বর, তোমারই পরমেশ্বর তোমার সমকক্ষদের চেয়ে
তোমাকেই আনন্দ-তেলে অভিষিক্ত করলেন।
8 তোমার বসন সবই গন্ধরস, অগুরু ও দারুচিনির,
গজদন্তময় প্রাসাদগুলি থেকে তোমাকে বিনোদিত করে বীণার ঝঙ্কার।
9 তোমার প্রণয়িনীদের মধ্যে রয়েছেন কত রাজকন্যা;
ওফিরের সোনায় অলঙ্কৃতা হয়ে তোমার ডান পাশে দাঁড়িয়ে আছেন রানী।
10 শোন কন্যা, দেখ, কান পেতে শোন
তোমার স্বজাতি, তোমার পিতৃগৃহের কথা ভুলে যাও;
11 রাজা তোমার সৌন্দর্যে আসক্ত হবেন;
তোমার প্রভুই তিনি—তাঁর চরণে কর প্রণিপাত ।
12 তুরস-বাসীরা আনে উপহার,
দেশে ধনবান সবাই তোমার শ্রীমুখের প্রত্যাশায় আছে।
13 অন্তঃপুরে রাজকন্যার কী মহাগৌরব!
রত্নস্বর্ণ-খচিতই তাঁর বসন-ভূষণ।
14 সুসজ্জিতা হয়ে তিনি এখন অনীতাই রাজার সামনে,
তাঁর পিছনে তাঁর কুমারী সখীদেরও আনা হচ্ছে তোমার সামনে,
15 আনন্দোল্লাসের মাঝে আনীতা হয়ে
তাঁরা রাজপ্রাসাদে প্রবেশ করছেন।
16 তোমার পুত্রেরা থাকবে তোমার পিতৃপুরুষদের স্থলে,
তুমি তাদের করে তুলবে জনপ্রধান সারা পৃথিবীর উপর।
17 আমি চিরস্মরণীয় করব তোমার নাম
তাই জাতিসকল তোমার স্তুতিগান করে যাবে চিরদিন চিরকাল।