1 সুখী তারা, নিখুঁত যাদের পথ, প্রভুর বিধানে যারা চলে।
2 সুখী তারা, যারা তাঁর নির্দেশমালা পালন করে, সমস্ত হৃদয় দিয়ে যারা তাঁর অন্বেষণ করে।
3 তারা কোন অন্যায় করে না, তারা তাঁর সমস্ত পথে চলে।
4 তুমি জারি করেছ তোমার আদেশমালা, তারা যেন তা সযত্নেই মেনে চলে।
5 আহা! তোমার বিধিকলাপ মেনে চলায় আমার পথসকল সুস্থির হোক।
6 তবে তোমার সকল আজ্ঞার দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ থাকলে আমি লজ্জায় পড়ব না।
7 আমি যখন শিখব তোমার ন্যায়বিচার সকল, তখন সরল অন্তরে তোমাকে জানাব ধন্যবাদ।
8 তোমার বিধিকলাপ মেনে চলব, আমায় কখনও পরিত্যাগ করো না।
9 তরুণ কী ভাবে বিশুদ্ধ রাখবে নিজের পথ? সে মেনে চলুক তোমার বাণী।
10 সমস্ত হৃদয় দিয়ে আমি তোমার অন্বেষণ করি, তুমি আমায় বিচ্যুত হতে দিয়ো না তোমার আজ্ঞাবলি থেকে।
11 তোমার বিরুদ্ধে পাছে করি পাপ, হৃদয়ে গেঁথে রাখি তোমার বচন সকল।
12 ওগো প্রভু, তুমি ধন্য! আমাকে শিখিয়ে দাও তোমার বিধিকলাপ।
13 আমার ওষ্ঠে আমি প্রচার করলাম তোমার মুখের সকল সুবিচার।
14 তোমার নির্দেশ পথেই আনন্দ আমার, যত ঐশ্বর্যের চেয়ে এ আনন্দ সুগভীর।
15 ধ্যান করতে চাই তোমার আদেশমালা, দৃষ্টি নিবদ্ধ রাখতে চাই তোমার সকল পথে।
16 তোমার বিধিমালায় আমি মনে পাই সুখ, তোমার বাণী কখনও ভুলব না।
17 তোমার এ দাসের উপকার কর, তবে আমি বাঁচব, তোমার বাণী মেনে চলব।
18 খুলে দাও আমার চোখ, আমি যেন দৃষ্টি নিবদ্ধ রাখি তোমার বিধানের আশ্চর্য কর্মকীর্তির উপর।
19 এ পৃথিবীতে আমি তো প্রবাসী আছি, আমা থেকে লুকিয়ে রেখো না গো তোমার আজ্ঞাবলি।
20 তোমার শাসনবিধির অভিলাষে অনুক্ষণ জরজর আমার প্রাণ।
21 তুমি তো দৰ্পী মানুষকে ধমক দাও, যারা তোমার আজ্ঞাবলি ছেড়ে চলে যায়, তারা অভিশপ্ত হোক।
22 আমা থেকে অপবাদ ও বিদ্রূপ দূর করে দাও, আমি তো পালন করি তোমার নির্দেশ সকল।
23 ক্ষমতাশালীরা আমার বিরুদ্ধে চক্রান্তে বসে, তবুও তোমার দাস ধ্যান করে যায় তোমার বিধিকলাপ।
24 তোমার নির্দেশমালাই আমার সুখ, সেই নির্দেশই তো আমার মন্ত্রণাদাতা।
25 ধুলায় তলিয়ে আছে আমার প্রাণ, তোমার বাণী অনুসারে আমাকে সঞ্জীবিত কর।
26 তোমাকে জানালাম আমার যত পথ আর তুমি আমাকে দিয়েছ সাড়া, আমাকে শিখিয়ে দাও তোমার বিধিকলাপ।
27 তোমার আদেশমালার পথে আমাকে উদ্বুদ্ধ কর, তবে ধ্যান করব তোমার আশ্চর্য কর্মকীর্তির কথা।
28 দুঃখে আমার প্রাণ শুধু ফেলে অশ্রুধারা, তোমার বাণী অনুসারে আমাকে তুলে আন।
29 আমা থেকে দূরে রাখ মিথ্যা পথ, তোমার বিধানের অনুগ্রহ মঞ্জুর কর আমায়।
30 আমি বেছে নিয়েছি বিশ্বস্ততার পথ, সামনে রেখেছি তোমার সুবিচারগুলি।
31 তোমার নির্দেশমালা আঁকড়ে ধরে আছি, আমায় নিরাশ হতে দিয়ো না গো প্রভু।
32 তোমার আজ্ঞাবলির পথে ছুটে চলি, তুমি যে উদার করেছ আমার হৃদয়।
33 আমাকে দেখাও, প্রভু, তোমার বিধিপথ, আমি শেষ পর্যন্তই তা পালন করব।
34 আমাকে সুবুদ্ধি দাও—পালন করব তোমার বিধান, সমস্ত হৃদয় দিয়ে তা মেনে চলব।
35 তোমার আজ্ঞাবলির পথে আমায় চালনা কর, সেইখানে যে আমার প্রীতি।
36 তোমার নির্দেশমালার দিকে নত কর আমার হৃদয়, লোভের দিকে নয়।
37 অসার দৃশ্য থেকে ফেরাও আমার চোখ, তোমার পথে আমাকে সঞ্জীবিত কর।
38 তোমার দাসের কাছে দেওয়া কথা রক্ষা কর, সে যেন তোমাকে ভয় করতে পারে।
39 যে নিন্দা আমি ভয় করছি, তা তুমি দূর করে দাও, তোমার বিচারগুলি যে মঙ্গলময়।
40 দেখ, আমি ভালবাসি তোমার আদেশমালা, তোমার ধর্মময়তায় আমাকে সঞ্জীবিত কর।
41 প্রভু, আসুক আমার কাছে তোমার কৃপা, তোমার কথা অনুসারে তোমার পরিত্রাণ।
42 তবে আমি নিন্দুকদের প্রত্যুত্তর দিতে পারব, তোমার বাণীতেই যে ভরসা রাখি।
43 আমার মুখ থেকে কখনও অপসারণ করো না সত্যকথা, তোমার সুবিচারগুলিতেই যে আশা রাখি।
44 আমি তোমার বিধান মেনে চলতে থাকব চিরদিন চিরকাল।
45 পথে আমি সুস্থির হয়ে চলব, আমি যে অন্বেষণ করেছি তোমার আদেশগুলি।
46 তোমার নির্দেশমালা প্রচার করব রাজাদের সামনে, করব না কো লজ্জাবোধ।
47 তোমার আজ্ঞাগুলিতে আমার কী সুখ, সেগুলি আমি তো ভালবাসি।
48 তোমার আজ্ঞা ভালবাসি, সেগুলির দিকে তুলব আমার দু'হাত, ধ্যান করে যাব তোমার বিধিকলাপ।
49 স্মরণে রেখ তোমার এ দাসের কাছে দেওয়া তোমার সেই কথা, যার উপর তুমি স্থাপন করেছ আমার আশা।
50 আমার দুর্দশায় এই তো সান্ত্বনা আমার—তোমার বচন আমাকে সঞ্জীবিত করে।
51 দৰ্পী মানুষ আমাকে কতই না অবজ্ঞা করে, আমি কিন্তু সরে যাইনি তোমার বিধান থেকে।
52 অতীতকালের তোমার সুবিচার সকল স্মরণে রাখি, প্রভু, এতেই সান্ত্বনা পাই।
53 যারা পরিত্যাগ করে তোমার বিধান, সেই দুর্জনদের বিরুদ্ধে রোষ ধরেছে আমায়।
54 আমার এ নির্বাসনের দেশে তোমার বিধিমালা আমার কাছে সঙ্গীত যেন।
55 রাতে তোমার নাম স্মরণ করি, প্রভু, আমি মেনে চলি তোমার বিধান।
56 তোমার আদেশমালা পালন করা : এটিই সাধনা আমার।
57 আমার নিয়তি—এ কথা বলেছি, প্রভু, তোমার প্রতিটি বাণী মেনে চলাই নিয়তি আমার।
58 সমস্ত হৃদয় দিয়ে আমি তোমার শ্রীমুখের প্রত্যাশায় আছি, তোমার কথামত আমাকে দয়া কর।
59 আমার পথসকল সম্বন্ধে আমি চিন্তা করলাম, তোমার নির্দেশমালার দিকেই চালিত করি আমার চরণ।
60 দেরি না করে শীঘ্রই আসছি তোমার আজ্ঞাবলি মেনে চলার জন্য।
61 দুর্জনদের বাঁধন জড়িয়ে ফেলেছে আমায় তবু আমি ভুলিনি কো তোমার বিধান।
62 তোমার ন্যায়বিচারগুলির জন্য মাঝরাতে উঠে করি তোমার স্তুতি।
63 আমি তাদেরই বন্ধু, যারা তোমাকে করে ভয়, যারা তোমার আদেশমালা মেনে চলে।
64 প্রভু, এ পৃথিবী তোমার কৃপায় পরিপূর্ণ, আমাকে শিখিয়ে দাও তোমার বিধিসকল।
65 তোমার বাণী অনুসারে, প্রভু, তোমার এ দাসের মঙ্গল করেছ তুমি।
66 আমাকে শেখাও সদ্বিবেচনা শেখাও সজ্ঞান, আমি যে তোমার আজ্ঞাবলিতে রেখেছি বিশ্বাস।
67 অবনমিত হবার আগে আমি চলতাম ভ্রান্ত পথে, এখন কিন্তু তোমার কথা মেনে চলি।
68 তুমি মঙ্গলময়, তুমি মঙ্গল সাধন কর, আমাকে শিখিয়ে দাও তোমার বিধিকলাপ।
69 দর্পী মানুষ মিথ্যা ব'লে আমার নাম কলঙ্কিত করে, আমি কিন্তু সমস্ত হৃদয় দিয়ে তোমার আদেশমালা পালন করি।
70 তাদের হৃদয় মেদপিণ্ডের মতই স্থূলতায় ভরা, তোমার বিধানেই কিন্তু আমি মনে পাই সুখ।
71 অবনমিত হওয়ায় আমার মঙ্গল, এতেই যে শিখি তোমার বিধিকলাপ।
72 তোমার মুখের বিধান আমার কাছে অজস্র সোনা ও রুপোর চেয়েও শ্রেয়তর।
73 তোমার দু'হাত গড়েছে, রূপায়িত করেছে আমায়, আমাকে সুবুদ্ধি দাও, তবেই আমি শিখব তোমার আজ্ঞাবলি।
74 যারা তোমাকে ভয় করে, আমাকে দেখে তারা আনন্দিত হবে, আমি যে তোমার বাণীতেই আশা রাখি।
75 আমি জানি, প্রভু, তোমার বিচারগুলি ন্যায্য, এও জানি যে আপন বিশ্বস্ততা বজায় রেখে তুমি আমায় নমিত করলে।
76 তোমার এ দাসের কাছে তোমার কথামত তোমার কৃপাই হোক সান্ত্বনা আমার।
77 আসুক আমার কাছে তোমার স্নেহধারা, তবে আমি জীবন পাব, তোমার বিধানই তো আমার সুখ।
78 যারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা রটায়, সেই দর্শী মানুষই লজ্জায় পড়ুক, আমি ধ্যান করে যাব তোমার আদেশমালা।
79 যারা তোমাকে ভয় করে, যারা জানে তোমার নির্দেশমালা, ফিরে আসুক তারা আমার কাছে।
80 তোমার বিধিকলাপ পালনে নিখুঁত থাকুক আমার অন্তর, আমি যেন লজ্জায় না পড়ি।
81 তোমার ত্রাণলাভের জন্য ম্রিয়মাণ আমার প্রাণ, তোমার বাণীতেই আশা রাখি।
82 তোমার বচনের জন্য ক্ষীণ হয়ে আসে আমার চোখ, আমি বলি, তুমি কখন আমাকে সান্ত্বনা দেবে?
83 আমি যেন ধোঁয়ার মধ্যে রেখে দেওয়া একটা চর্মপুটের মত, তবু ভুলিনি তোমার বিধিকলাপ।
84 কতটুকু তোমার এ দাসের আয়ু ? কখন তুমি আমার তাড়কদের বিচার করবে?
85 আমার জন্য কতগুলো গর্তই না খুঁড়েছে সেই দর্শীর দল, তোমার বিধান মতে চলে না কো তারা।
86 তোমার সকল আজ্ঞায় বিশ্বস্ততাই প্রকাশ পায়, মিথ্যা অভিযোগ তুলে ওরা আমায় নির্যাতন করছে— আমার সহায়তা কর।
87 এ পৃথিবীতে ওরা প্রায় নিঃশেষিত করে ফেলেছে আমায়, আমি কিন্তু পরিত্যাগ করিনি তোমার আদেশমালা।
88 তোমার কৃপা অনুসারে আমাকে সঞ্জীবিত কর তবেই আমি মেনে চলব তোমার মুখের সাক্ষ্য।
89 প্রভু, তোমার বাণী চিরস্থায়ী, তা স্বর্গেই চিরপ্রতিষ্ঠিত।
90 তোমার বিশ্বস্ততা যুগযুগস্থায়ী, তুমি এ পৃথিবীর ভিত্তি স্থাপন করেছ বলে পৃথিবী থাকে অবিচল।
91 তোমার শাসনবিধি গুণেই আজও সবকিছু থাকে অবিচল, সবকিছুই যে তোমার সেবায় রত।
92 তোমার বিধান যদি না হত আমার সুখ, তবে আমার এ দুর্দশায় হত আমার পরিণাম।
93 তোমার আদেশগুলি আমি কখনও ভুলব না, ভারতে সেগুলি গুণেই যে তুমি আমাকে সঞ্জীবিত রাখ।
94 আমি তোমারই— ত্রাণ কর আমায়! আমি যে অন্বেষণ করেছি তোমার আদেশগুলি।
95 আমাকে বিলোপ করার জন্য দুর্জনেরা ওত পেতে আছে, কিন্তু তোমার নির্দেশমালায় আমার সকল চিন্তা।
96 আমি দেখেছি সব শ্রেষ্ঠতার পরিসীমা, তোমার আজ্ঞা কিন্তু সম্পূর্ণ অপরিসীম।
97 আমি কতই না ভালবাসি তোমার বিধান, তা তো আমার সারাদিনের ধ্যান।
98 তোমার আজ্ঞা আমাকে আমার শত্রুদের চেয়ে প্রজ্ঞাবান করে, সেই আদেশমালা যে আমার সঙ্গে থাকে অনুক্ষণ।
99 আমার শিক্ষাগুরুদের চেয়েও আমি সুবিবেচক, তোমার নির্দেশমালাই যে আমার ধ্যান।
100 আমার সুবুদ্ধি প্রবীণদের চেয়েও সুগভীর, আমি যে পালন করি তোমার আদেশগুলি।
101 তোমার বাণী মান্য করার জন্য সকল অন্যায় পথ থেকে পা দূরে রাখি।
102 তোমার সুবিচারগুলি থেকে দূরে যাই না কো আমি, তুমি নিজেই যে শিক্ষা দান কর আমায়।
103 আমার জিহ্বায় কতই না সুস্বাদু তোমার বচন, আমার মুখে তা মধুর চেয়েও সুমধুর।
104 তোমার আদেশমালা থেকে আমি সুবুদ্ধি পাই, তাই আমি ঘৃণা করি সকল মিথ্যা পথ।
105 তোমার বাণীই আমার চরণ-প্রদীপ, আমার চলার পথের আলো।
106 আমি শপথ করেছি—সেই শপথ রক্ষা করব, মেনে চলবই তোমার ন্যায়বিচার সকল।
107 আমি অত্যন্ত দুর্দশাগ্রস্ত, তোমার বাণী অনুসারে, প্রভু, আমাকে সঞ্জীবিত কর।
108 আমার মুখের অর্ঘ্য গ্রহণ কর, প্রভু, আমাকে শিখিয়ে দাও তোমার সুবিচার সকল।
109 আমার প্রাণ নিয়তই সঙ্কটের মাঝে, আমি কিন্তু ভুলি না তোমার বিধান।
110 দুর্জনেরা আমার জন্য পেতেছে ফাঁদ, আমি কিন্তু সরে যাইনি তোমার আদেশমালা ছেড়ে।
111 তোমার নির্দেশমালাই আমার চিরকালীন উত্তরাধিকার, কারণ আমার হৃদয়ের আনন্দ সেই মালা।
112 তোমার বিধিকলাপ পালনে নত করেছি আমার অন্তর, সেই বিধিই চিরকালীন পুরস্কার আমার।
113 দুমনা মানুষকে আমি ঘৃণা করি, ভালবাসি তোমার বিধান।
114 তুমিই আমার গোপন আশ্রয়, আমার ঢাল, তোমার বাণীতেই আশা রাখি।
115 আমার সামনে থেকে দূর হও, অপকর্মা সবাই, আমি আমার পরমেশ্বরের আজ্ঞাবলি পালন করতে চাই।
116 তোমার কথামত আমায় ধারণ করে রাখ, তবে জীবন পাব, আমার আশায় আমাকে নিরাশ হতে দিয়ো না।
117 আমায় ধরে রাখ, তবেই আমি পাব পরিত্রাণ, তোমার বিধিমালায় নিয়তই পাব সুখ।
118 যারা তোমার বিধিমালা ছেড়ে বিপথে যায়, তাদের সকলকে তুমি তো অবজ্ঞা কর, তাদের প্রতারণা হবেই নিষ্ফল।
119 পৃথিবীর যত দুর্জনকে তুমি মনে কর আবর্জনা যেন, তাই আমি ভালবাসি তোমার নির্দেশকলাপ।
120 তোমার ক্রোধের সামনে আমার দেহে জাগে শিহরণ, আমি ভয় করি তোমার সুবিচার সকল।
121 যা ন্যায়, যা ধর্মময়, তা করেছি আমি, আমাকে তুলে দিয়ো না গো আমার অত্যাচারীদের হাতে।
122 সযত্নেই রক্ষা কর তোমার এ দাসের মঙ্গল, দর্পীর দল আমাকে অত্যাচার করে না যেন।
123 তোমার পরিত্রাণের প্রতীক্ষায়, তোমার ধর্মময়তার কথার প্রতীক্ষায় ক্ষীণ হয়ে আসে আমার চোখ।
124 তোমার কৃপা অনুসারেই তোমার দাসের সঙ্গে ব্যবহার কর, আমাকে শিখিয়ে দাও তোমার বিধিকলাপ।
125 আমি তোমার দাস — আমাকে সুবুদ্ধি দাও, তবেই জানতে পারব তোমার নির্দেশমালা।
126 প্রভুর কর্মসাধনের সময় এসে গেছে, ওরা তো ভঙ্গ করেছে তোমার বিধান।
127 তাই আমি সোনার চেয়ে, নিখাদ সোনার চেয়েও তোমার আজ্ঞাবলি ভালবাসি।
128 তাই তোমার আদেশমালা অনুসারেই পথ চলতে থাকি, ঘৃণা করি সকল মিথ্যা পথ।
129 তোমার নির্দেশমালা আশ্চর্যময়, তাই তা পালন করে আমার প্রাণ।
130 তোমার বাণী ফুটেই আলো দান করে, সরলমনাকে সুবুদ্ধি দান করে।
131 মুখ ব্যাদান করে হাঁপাচ্ছি আমি, আমি যে তোমার আজ্ঞাবলি বাসনা করি।
132 আমার দিকে মুখ ফিরে চাও, আমাকে দয়া কর, যারা তোমার নাম ভালবাসে, এই তো তাদের সুবিচার।
133 তোমার কথামত আমার চরণ সুস্থির কর, অপকর্ম যেন আমার উপর প্রভুত্ব না করে।
134 মানুষের অত্যাচার থেকে আমায় মুক্ত কর, তবেই মেনে চলব তোমার আদেশমালা।
135 তোমার দাসের উপর শ্রীমুখ উজ্জ্বল করে তোল, আমাকে শিখিয়ে দাও তোমার বিধিকলাপ।
136 আমার দু'চোখ বেয়ে ঝরছে অশ্রুধারা, ওরা যে অমান্য করে তোমার বিধান।
137 প্রভু, তুমি ধর্মময়, তোমার যত বিচার ন্যায্য।
138 ধর্মময়তার সঙ্গে, গভীর বিশ্বস্ততার সঙ্গে তুমি জারি করেছ তোমার নির্দেশমালা।
139 প্রবল আগ্রহ গ্রাস করছে আমায়, আমার বিপক্ষরা যে ভোলে তোমার বাণীসকল।
140 তোমার দেওয়া কথা অধিক পরীক্ষাসিদ্ধ, তোমার দাস সেই কথা ভালবাসে।
141 আমি তুচ্ছ, আমি অবজ্ঞার বস্তু, তবু ভুলি না তোমার আদেশমালা।
142 তোমার ধর্মময়তা চিরধর্মময়, তোমার বিধান সত্য।
143 সঙ্কট, উদ্বেগ ধরেছে আমায়, তবু তোমার আজ্ঞাবলিই আমার সুখ।
144 তোমার নির্দেশকলাপ চিরধর্মময়, আমাকে সুবুদ্ধি দাও, তবে আমি জীবন পাব।
145 সমস্ত হৃদয় দিয়ে তোমায় ডাকছি—প্ৰভু, সাড়া দাও, পালন করব তোমার বিধিসকল।
146 তোমায় ডাকছি—ত্রাণ কর আমায়, মেনে চলবই তোমার নির্দেশমালা।
147 ঊষার আগে উঠে চিৎকার করে সাহায্য চাই, তোমার বাণীতেই আশা রাখি।
148 তোমার বচন ধ্যান করার জন্য রাতের প্রতিটি প্রহরের আগেই জাগ্রত আমার চোখ।
149 তোমার কৃপায় শোন গো আমার কণ্ঠ, তোমার সুবিচারগুলি অনুসারে, প্রভু, আমাকে সঞ্জীবিত কর।
150 যারা আমাকে ধাওয়া করে, তাদের অভিসন্ধিতে এগিয়ে আসছে তারা, তারা তোমার বিধান থেকে বহু দূরে।
151 তুমি কিন্তু, প্রভু, কাছেই রয়েছ তুমি, তোমার সকল আজ্ঞা সত্য।
152 অনেক আগে থেকে আমি একথা জানি—তোমার নির্দেশমালা তুমি স্থাপন করেছ চিরকালের মত।
153 আমার দুর্দশার দিকে চেয়ে দেখ—আমাকে নিস্তার কর আমি তো ভুলিনি তোমার বিধান।
154 আমার পক্ষ সমর্থন কর, আমার মুক্তিকর্ম সাধন কর, তোমার কথামত আমাকে সঞ্জীবিত কর।
155 দুর্জনদের কাছ থেকে দূরেই রয়েছে পরিত্রাণ, ওরা যে অন্বেষণ করে না তোমার বিধিকলাপ।
156 তোমার স্নেহধারা কতই না মহান, ওগো প্রভু, তোমার সুবিচারগুলি অনুসারে আমাকে সঞ্জীবিত কর।
157 আমার নির্যাতকেরা, আমার বিপক্ষরা সংখ্যায় অনেক, তবুও আমি সরে যাইনি তোমার কোন সাক্ষ্য থেকে।
158 ওই বিদ্রোহীদের দেখে আমি অতিষ্ঠ হয়ে উঠলাম, ওরা যে অমান্য করে তোমার কথা।
159 দেখ আমি কতই না ভালবাসি তোমার আদেশগুলি, প্রভু, তোমার কৃপা অনুসারে আমাকে সঞ্জীবিত কর।
160 সত্যই তোমার বাণীর সার, তোমার প্রতিটি ন্যায়বিচার চিরস্থায়ী।
161 ক্ষমতাশালীরা আমাকে অকারণে নির্যাতন করে, তবু আমার অন্তর ভয় করে তোমার বাণীসকল।
162 মানুষ মহাধন খুঁজে পেয়ে যেমন আনন্দ করে, তেমনি তোমার বচন নিয়ে আমি আনন্দিত।
163 আমি মিথ্যা ঘৃণা করি, অত্যন্ত ঘৃণা করি, ভালবাসি তোমার বিধান।
164 তোমার ন্যায়বিচারগুলির জন্য দিনে সাতবার করি তোমার প্রশংসাবাদ।
165 যারা তোমার বিধান ভালবাসে, তাদের জন্য রয়েছে মহাশান্তি, কিছুই তাদের স্খলন ঘটাতে পারে না।
166 তোমার পরিত্রাণের জন্য চেয়ে আছি, প্রভু, পূর্ণ করে থাকি তোমার আজ্ঞাবলি।
167 আমার প্রাণ মেনে চলে তোমার নির্দেশমালা, একান্ত ভালবাসে সেই মালা।
168 মেনে চলি তোমার আদেশগুলি, তোমার নির্দেশমালা, তোমার সামনেই যে আমার সকল পথ।
169 তোমার সম্মুখে, প্রভু, যেতে পারে যেন আমার ডাক, তোমার বাণী অনুসারে আমাকে সুবুদ্ধি দাও।
170 তোমার সম্মুখে যেতে পারে যেন মিনতি আমার, তোমার দেওয়া কথা অনুসারে আমাকে উদ্ধার কর।
171 আমার ওষ্ঠ জপ করে যাক তোমার প্রশংসাবাদ, তুমি যে আমাকে শিখিয়ে দাও তোমার বিধিকলাপ।
172 আমার জিহ্বা গান করে যাক তোমার বচন, ধর্মময় যে তোমার সকল আজ্ঞা।
173 তোমার হাত হোক আমার সহায়, আমি যে বেছে নিয়েছি তোমার আদেশমালা।
174 প্রভু, আমি বাসনা করি তোমার পরিত্রাণ, তোমার বিধান, সেই তো আমার সুখ।
175 বেঁচে থাকুক আমার প্রাণ, করে যাক তোমার প্রশংসাবাদ, তোমার সুবিচার সকল আমার সহায়তা করুক।
176 হারানো মেষের মত ঘুরে ঘুরে চলি, তোমার এ দাসের সন্ধান কর, আমি তো ভুলিনি তোমার আজ্ঞাবলি।