1 অনিষ্ট করো না, পাছে অনিষ্ট তোমাকে ধরে ফেলে।
2 অন্যায় থেকে দূরে যাও, তাও তোমা থেকে দূরে যাবে।
3 সন্তান, অন্যায়ের হলরেখায় বীজ বুনো না, পাছে তোমাকে তার সাতগুণ সংগ্রহ করতে হয়।
4 প্রভুর কাছে কর্তৃত্ব চেয়ো না, রাজার কাছেও সম্মানের আসন যাচনা করো না।
5 প্রভুর সামনে নিজেকে ধার্মিক করো না, রাজার সামনেও নিজেকে প্রজ্ঞাবান দেখিয়ো না।
6 বিচারক হতে চেষ্টা করো না, পরে অন্যায় নির্মূল করার শক্তি তোমার নাও থাকতে পারে, প্রভাবশালীর সামনে ভীরুও হতে পার, এতে তোমার সততা কলঙ্কিত হবে।
7 নাগরিকদের সভার অপকার করো না, সমাজের চোখে নিজেকে তুচ্ছ করো না।
8 পাপে নিজেকে দু'বার আবদ্ধ হতে দিয়ো না, কেননা একবারমাত্রও তুমি অদণ্ডিত থাকবে না।
9 একথা বলো না: “তিনি আমার উপহারের প্রাচুর্য বিস্ময়ের চোখেই দেখবেন, পরাৎপর ঈশ্বরের কাছে আমি অর্ঘ্য নিবেদন করলে তিনি তা অবশ্যই গ্রহণ করবেন।'
10 প্রার্থনাকালে দ্বিধাগ্রস্ত হয়ো না, অর্থদান অবহেলা করো না।
11 যার প্রাণ দুঃখে ভরা, এমন মানুষকে বিদ্রূপ করো না, কেননা একজন আছেন, যিনি উন্নীত করেন, আবার নমিত করেন।
12 তোমার ভাইয়ের বিরুদ্ধে মিথ্যা বানিয়ো না, বন্ধুর বিরুদ্ধেও তেমন কিছু করো না।
13 সাবধান, কখনও মিথ্যায় অবলম্বন করো না, কেননা তা থেকে ভাল কোন ফল আসতে পারে না।
14 প্রবীণদের সভায় বেশি কথা বলো না, প্রার্থনাকালে বারবার একই কথা বলো না।
15 ক্লান্তিকর কাজ হেয়জ্ঞান করো না, পরাৎপরের সৃষ্টি সেই কৃষিকর্মও নয়।
16 পাপীদের লোকারণ্যে যোগ দিয়ো না, মনে রেখ : ঐশ ক্রোধ দেরি করবে না।
17 খুবই বিনয় হও, কেননা ভক্তিহীনের শাস্তি আগুন ও কীট।
18 লোভের জন্য বন্ধুকে বিনিময় করো না, ওফিরের সোনার জন্য বিশ্বস্ত একজন ভাইকেও নয়।
19 প্রজ্ঞাপূর্ণা ও মঙ্গলময়ী বন্ধুকে হেয়জ্ঞান করো না, কেননা তার মঙ্গলানুভবতা সোনার চেয়েও মূল্যবান।
20 বিশ্বস্তভাবে কাজ করে যে দাস, তার প্রতি দুর্ব্যবহার করো না, সাধ্যমত কাজ করে যে মজুর, তার প্রতিও রুক্ষ ব্যবহার করো না।
21 সুবিবেচক যে দাস, তাকেই তোমার প্রাণ ভালবাসুক, তাকে মুক্ত করে দিতে অস্বীকার করো না।
22 তোমার কি গবাদি পশু আছে? তার যত্ন নাও; তোমার লাভ হলে তা নিজের অধিকারে রাখ।
23 তোমার কি কোন ছেলে আছে? তাদের সৎশিক্ষার ব্যবস্থা কর, তরুণ বয়স থেকেই তাদের তোমার বশ্যতা স্বীকার করতে শেখাও।
24 তোমার কি কোন মেয়ে আছে? তাদের দেহের উপর সতর্ক দৃষ্টি রাখ, কিন্তু অধিক মমতাপূর্ণ মুখ তাদের দেখিয়ো না।
25 মেয়ের বিবাহ ব্যবস্থা কর, এতে তোমার এক মহাকর্ম সমাধা হবে ; কিন্তু কাণ্ডজ্ঞান-পূর্ণ পুরুষের সঙ্গেই তার বিবাহ দাও।
26 তোমার কি এমন বধূ আছে, যিনি তোমার মনের মত ? তাঁকে ত্যাগ করো না; কিন্তু ঘৃণাস্পদ বধূকে কখনও বিশ্বাস করো না।
27 তোমার পিতাকে সমস্ত হৃদয় দিয়ে শ্রদ্ধা কর, তোমার মাতার প্রসবযন্ত্রণার কথা ভুলো না।
28 মনে রেখ, তাঁরাই তোমাকে জন্ম দিলেন ; তাঁরা তোমার জন্য যা করলেন, তার প্রতিদানে তুমি তাঁদের কী দেবে?
29 প্রভুকে সমস্ত প্রাণ দিয়ে ভয় কর, তাঁর যাজকদের সম্মান কর।
30 তোমার নির্মাণকর্তাকে সমস্ত শক্তি দিয়ে ভালবাস, তাঁর সেবকদের প্রতি অবহেলা করো না।
31 প্রভুকে ভয় কর, যাজককে শ্রদ্ধা দেখাও, যাজকের প্রাপ্য অংশ তার হাতে দাও —যেমনটি তোমাকে আজ্ঞা দেওয়া হয়েছে : প্রথমফসল, সংস্কার-বলি, অর্ঘ্যরূপে পশুটার কাঁধ, পবিত্রতা লাভের বলি, পবিত্র সমস্ত বিষয়ের প্রথমাংশ।
32 দীনহীনের প্রতিও হাত বাড়াও, যেন তোমার আশীর্বাদ সিদ্ধ হয়।
33 তোমার দানশীলতা সমস্ত প্রাণীর উপর পরিব্যাপ্ত হোক, মৃতজনকেও তোমার অনুগ্রহ বঞ্চিত করো না।
34 যারা কাঁদে, তাদের এড়িয়ো না, যারা শোকার্ত, তাদের শোকের অংশী হও।
35 অসুস্থকে দেখতে যেতে ইতস্তত করো না, এইভাবে তুমি ভালবাসার পাত্র হবে।
36 তোমার সমস্ত কর্মকাণ্ডে তোমার শেষ পরিণামের কথা মনে রেখ, তবে তুমি কখনও পাপ করবে না।