Index

Sirach - Chapter 42

1 পরবর্তী এই বিষয়গুলিতে লজ্জাবোধ করো না, এবং এমনটি যেন না হয় যে, কেবল জনমতের ভয়েই তুমি পাপ কর না :
2 পরাৎপরের বিধান ও সন্ধির বিষয়ে, ভক্তিহীনকে ক্ষমা করার জন্য রায়ের বিষয়ে,
3 সহকর্মী ও যাত্রীদের সঙ্গে হিসাবের বিষয়ে, বন্ধুদের কাছে উত্তরাধিকার বণ্টনের বিষয়ে,
4 দাঁড়িপাল্লা ও নিক্তির সঠিকতার বিষয়ে, কম বা বেশি লাভের বিষয়ে,
5 ব্যবসায়ীদের সঙ্গে দামাদামির বিষয়ে, সন্তানদের ঘন ঘন শাসনের বিষয়ে, রক্তাক্ত করা পর্যন্ত ধূর্ত ক্রীতদাসকে কশাঘাতের বিষয়ে।
6 কৌতূহলী বধূ থাকাতে সীলমোহর ব্যবহার করা উচিত, আর যেখানে বেশি হাত থাকে, সেখানে চাবির উপর নির্ভর কর।
7 যত মাল সরবরাহ কর, সবই গণনা কর, সবই ওজন কর ; দেনা-পাওনা সবই লিখিত আকারে হোক।
8 বুদ্ধিহীন ও মূর্খকে সংশোধন করতে লজ্জাবোধ করো না, সেই অতিবৃদ্ধকেও নয়, যে যুবকদের সঙ্গে ঝগড়া করে; তবেই তুমি নিজেকে সত্যি সুবিবেচক বলে দেখাবে, ও সকলের সমর্থন জয় করবে।
9 মেয়ে পিতার কাছে গুপ্ত দুশ্চিন্তা স্বরূপ, তার বিষয়ে চিন্তা নিদ্রা দূর করে : তার যৌবনকালে, পাছে ম্লান হয়, তার বিবাহ-জীবনে, পাছে ঘৃণার পাত্রী হয়।
10 সে যতদিন যুবতী, ততদিন ভয় আছে, সে শ্রষ্টা হবে, ও পিতৃগৃহে থাকতে গর্ভবতী হবে; স্বামীর ঘর করার সময়ে, পাছে অপরাধে পতিতা হয়, বিবাহকালে, পাছে বন্ধ্যা হয়।
11 একগুঁয়ে মেয়ের উপরে আরও সতর্ক থাক, পাছে সে তোমাকে তোমার শত্রুদের তাচ্ছিল্যের বস্তু করে, শহরের গল্প ও সমাজের আলাপের পাত্র করে, ফলে সকলের সামনে তোমাকে লজ্জায় অভিভূত করে।
12 সে সমস্ত পুরুষকে নিজের সৌন্দর্য যেন না দেখায়, অন্য নারীদের সঙ্গে যেন শুধু হাতে না বসে থাকে,
13 কেননা পোশাক থেকে পোকা, ও নারী থেকে শঠতা বের হয়।
14 নারীর কোমলতার চেয়ে পুরুষের রুক্ষ ব্যবহার শ্রেয় : নারীরা লজ্জা ও বিদ্রূপ ঘটায়।
15 এখন আমি প্রভুর কর্মকীর্তির কথা স্মরণ করিয়ে দেব, যা কিছু দেখেছি, তা বর্ণনা করব। প্রভুর বাণীগুণেই তাঁর সমস্ত কর্ম অস্তিত্ব পেয়েছে, তাঁর শুভ ইচ্ছা অনুসারেই তাঁর বিধি সাধিত হয়েছে।
16 জ্যোতির্ময় সূর্য সবকিছুর উপর দৃষ্টিপাত করে, প্রভুর গৌরবে তাঁর কর্মকীর্তি পরিপূর্ণ।
17 প্রভুর পবিত্রজনেরাও তাঁর সকল আশ্চর্য কাজ বর্ণনা করতে সক্ষম নন ; নিখিল সৃষ্টি যেন তাঁর গৌরবের উদ্দেশে দৃঢ়স্থাপিত থাকে, সর্বশক্তিমান প্রভু যা স্থির করেছেন, তাও জ্ঞাত করতে তাঁরা সক্ষম নন।
18 তিনি অতল গহ্বর তলিয়ে দেখেন, হৃদয়কেও তলিয়ে দেখেন, তাদের সমস্ত গোপন তত্ত্ব ভেদ করেন। যা কিছু জানবার আছে, পরাৎপরের কাছে সেই সবই জানা, তিনি যত যুগলক্ষণের উপর দৃষ্টি রাখেন,
19 তাতে তিনি অতীত কি ভাবী সব ঘটনার কথা ব্যক্ত করেন, গুপ্ত যত ঘটনার পদচিহ্ন প্রকাশ করেন।
20 কোন চিন্তাই তাঁকে এড়াতে পারে না, একটা কথাও তাঁর কাছে গোপন নয়।
21 তিনি তাঁর প্রজ্ঞার মহত্ত্ব সৌন্দর্যমণ্ডিত করলেন, অনাদিকাল থেকে অনন্তকাল ধরেই তিনি আছেন। তাঁর সঙ্গে কিছুই যোগ করা বা বিয়োগ করাও সম্ভব নয়, কোন মন্ত্রণাদাতা তাঁর প্রয়োজন নেই।
22 তাঁর সাধিত কর্মকীর্তি, আহা, কত মনোরম ! অথচ সেগুলির একটা স্ফুলিঙ্গই মাত্র চোখে পড়ে !
23 এসমস্ত কিছু জীবন্ত, তা চিরস্থায়ী, যে কোন অবস্থায় সবই তাঁর বাধ্যতা স্বীকার করে চলে।
24 সমস্ত কিছু জোড় জোড় করে আছে, একটা অপর একটার সামনে, তিনি অপূর্ণাঙ্গ কিছুই করেননি :
25 এক একটা অপরটার উৎকৃষ্টতার পরিপূরণ; তাঁর গৌরব দর্শনে কেইবা তৃপ্তি পাবে?