Index

Sirach - Chapter 16

1 অযোগ্য সন্তানসম্ভূতি বাসনা করো না, ভক্তিহীন সন্তানের বিষয়ে প্রীত হয়ো না।
2 তারা যতই বহুসংখ্যক হোক না কেন, তাদের বিষয়ে প্রীত হয়ো না যদি তাদের মধ্যে প্রভুভয় না থাকে।
3 তাদের দীর্ঘায়ুর উপরে নির্ভর করো না, তাদের সংখ্যার উপরে অধিক আস্থা রেখো না, কেননা সহস্রজনের চেয়ে মাত্র একজনেরই পিতা হওয়া শ্রেয়, ভক্তিহীন সন্তানের পিতা হওয়ার চেয়ে নিঃসন্তান হয়ে মরা শ্রেয়।
4 একজনমাত্র সদজ্ঞানী শহরকে জনপূর্ণ করতে পারে, কিন্তু দুষ্কৃতকারীদের বংশ উচ্ছিন্ন হবে।
5 আমার চোখ তেমন কিছুর মত বহু কিছু দেখেছে, আমার কান এর চেয়ে ভারী কিছুও শুনেছে।
6 পাপীদের জনসমাবেশে আগুন জ্বলে ওঠে, বিদ্রোহী জাতির উপর জ্বলন্ত ঐশ ক্রোধ ছড়িয়ে পড়ে।
7 ঈশ্বর আদিকালের সেই মহাবীরদের ক্ষমা করেননি, তারা তো নিজেদের শক্তিতে আস্থা রেখেই বিদ্রোহ করেছিল।
8 তিনি লোটের সহনাগরিকদের রেহাই দেননি, বরং তাদের গর্বের জন্য তাদের ঘৃণাই করলেন।
9 তিনি বিনাশের জাতিগুলির প্রতি মমতা দেখাননি, তারা তো নিজেদের পাপকর্মের বিষয়ে গর্ববোধ করত।
10 তেমনিভাবে তিনি সেই হ'লক্ষ মানুষের প্রতিও ব্যবহার করলেন, যারা তাদের জেদে একজোট হয়েছিল।
11 একজনমাত্র মানুষ থাকলেও যে কঠিনমনা, সে যে অদণ্ডিত থাকবে, তা সত্যি অদ্ভুত,
12 কেননা দয়া ও ক্রোধ ঈশ্বরেরই হাতে : ক্ষমাদানে ও ক্রোধবর্ষণে তিনি পরাক্রমী। তাঁর দয়া তত মহান, তাঁর কঠিনতা যত মহান তিনি মানুষকে তার কর্ম অনুযায়ী বিচার করেন।
13 তার অন্যায়-লাভ সঙ্গে নিয়ে পাপী রেহাই পাবে না, ভক্তপ্রাণের ধৈর্যও আশাভ্রষ্ট হবে না।
14 তিনি সমস্ত অর্থদানের প্রতি লক্ষ রাখেন: প্রত্যেকের প্রতি যে যার কর্ম অনুযায়ী ব্যবহার করা হবে।
15 এই কথা বলো না : 'প্রভুর কাছ থেকে লুকিয়ে থাকব! সেই ঊর্ধ্বলোকে কে আমাকে স্মরণ করবে ? এত সংখ্যক লোকদের মধ্যে কেউ আমাকে লক্ষ করবে না, সীমাহীন সৃষ্টির মধ্যে আমি কী?'
16 দেখ, তাঁর আগমনে স্বর্গ ও স্বর্গের স্বর্গ, অতল গহ্বর ও মর্ত কম্পিত হয়।
17 তিনি দৃষ্টিপাত করলে পাহাড়পর্বত ও পৃথিবীর ভিতও নিস্তেজ হয়ে কেঁপে ওঠে।
18 কিন্তু এই সমস্ত বিষয়ে কেউ মন দেয় না, কেইবা তাঁর গতির কথা ভাবে?
19 ঝড়ো হাওয়া নিজেতে অদৃশ্য, তাঁর কর্মকীর্তির বেশির ভাগও মানবদৃষ্টি এড়িয়ে চলে।
20 “কে প্রচার করবে তাঁর ন্যায়কর্মের কথা? কে চেয়ে থাকবে? সন্ধি কি? – তা তো অতীতের কথা!'
21 এ-ই তার চিন্তা, যার হৃদয় ধূর্ত ; তেমন মানুষ নির্বোধ, ভ্রষ্ট, নিজ মূর্খতায় মগ্ন।
22 সন্তান, আমাকে শোন ; সজ্ঞান লাভে উদ্বুদ্ধ হও; হৃদয়গভীরে আমার বাণীর প্রতি মনোযোগ দাও।
23 আমি আমার শিক্ষাবাণী সূক্ষ্মরূপেই ব্যক্ত করব, সযত্নেই সজ্ঞানের কথা প্রচার করব।
24 আদিতে যখন ঈশ্বর সমস্ত কিছু সৃষ্টি করলেন, তখন সেগুলো হতে হতেই তাদের যে যার নির্ধারিত স্থান দিলেন;
25 তিনি আপন কর্মকাণ্ড চিরকালের মতই নিরূপণ করলেন, ভাবী যুগের মানুষের জন্য সেগুলোর স্বীয় স্বীয় কাজ স্থির করলেন। সেগুলোর ক্ষুধাও পায় না, শ্রান্তিও হয় না, অথচ নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে কখনও ক্ষান্ত হয় না।
26 সেগুলোর একটাও আর একটার পথ ঘেঁষে না, তাঁর একটা আজ্ঞাও সেগুলো কখনও অমান্য করবে না।
27 তারপর প্রভু পৃথিবীর উপরে দৃষ্টিপাত করলেন, তাঁর আপন পরমদানে তা পরিপূর্ণ করলেন ;
28 মাটির বুকে তিনি সবরকম প্রাণী বসিয়ে রাখলেন, আর এই প্রাণীসকল পৃথিবীর গর্ভে ফিরে যাবে।