Index

Sirach - Chapter 18

1 চিরজীবনময় যিনি, তিনি নিখিল বিশ্ব সৃষ্টি করেছেন।
2 কেবল প্রভুই ধর্মময় বলে গণ্য হবেন।
3
4 কাউকে দেওয়া হয়নি তাঁর কর্মকীর্তি প্রচার করতে : কে তলিয়ে দেখবে তাঁর মহা মহা কাজ ?
5 কে পরিমাণ করবে তাঁর মহত্ত্বের প্রতাপ? কে তাঁর দয়ার কীর্তি-কাহিনী উত্তরোত্তর বর্ণনা করে যাবে?
6 যোগ করা বা বিয়োগ করার কিছু নেই, প্রভুর আশ্চর্য কাজ তলিয়ে দেখা সম্ভব নয়।
7 একজন যখন শেষ করে, সে তখনই শুরু করে ; আর যখন থামে, তখন বিহ্বল হয়।
8 মানুষ কী? তার উপযোগিতা কী? তার পক্ষে মঙ্গল কী? অমঙ্গল কী ?
9 মানুষের আয় উপরে একশ' বছর!
10 সমুদ্রে যেমন এক জলবিন্দু বা বালুর এক কণা, শাশ্বতকালের সামনে তেমনি এই স্বল্প বছরগুলি।
11 এজন্য প্রভু মানুষের প্রতি ধৈর্যশীল, ও তাদের উপরে তাঁর দয়া বর্ষণ করেন।
12 তিনি তো দেখেন ও জানেন তাদের পরিণাম কেমন হীন, এজন্য নিজের করুণা তত মহান করেন।
13 মানুষের দয়া প্রতিবেশী পর্যন্ত বিস্তৃত, কিন্তু প্রভুর দয়া নিখিল প্রাণীর প্রতিই প্রসারিত। তিনি ভর্ৎসনা করেন, সংশোধন করেন, উদ্বুদ্ধ করেন, এবং মেষপালকের মত ফিরিয়ে আনেন তাঁর আপন পাল।
14 যারা তাঁর সংশোধনের বাণী গ্রহণ করে, ও তাঁর সুবিচার অন্বেষণে তৎপর, তিনি তাদের প্রতি দয়াবান।
15 সন্তান, উপকারের সঙ্গে ভর্ৎসনা, ও উপহারের সঙ্গে তিক্ত কথা মিশিয়ো না।
16 শিশির কি উত্তাপকে প্রশমিত করে না? তেমনি উপহারের চেয়ে কথাই মূল্যবান।
17 দেখ, উত্তম উপহারের চেয়েও কথা কি শ্রেয় নয়? দানশীল মানুষ দু'টোই অর্পণ করে।
18 মূর্খ মানুষ কিছু অর্পণ করে না—কেবল টিটকারিই তার দান; হিংসুকের উপহার চোখ ক্ষীণ করে।
19 কথা বলার আগে, শেখ; অসুস্থ হয়ে পড়ার আগে, নিজের প্রতি যত্ন নাও।
20 বিচার আসবার আগে নিজেকে পরীক্ষা কর, তাই ঐশ রায়ের দিনে নির্দোষী বলে প্রতিপন্ন হবে।
21 অসুস্থ হয়ে পড়ার আগে নিজেকে নমিত কর, কিন্তু একবার পাপ করলে, অনুতাপ দেখাও।
22 ঠিক সময়ে মানত পূরণ করায় কিছুই যেন তোমাকে বাধা না দেয়, শোধ করতে মৃত্যুক্ষণ পর্যন্ত অপেক্ষা করো না।
23 মানত করার আগে নিজেকে প্রস্তুত কর, এমন একজনের মত হয়ো না, প্রভুকে যে যাচাই করে।
24 চরম দিনগুলির ঐশরোষের কথা মনে রেখ, প্রতিফলের কালের কথাও চিন্তা কর, যখন তিনি শ্রীমুখ ফিরিয়ে নেবেন।
25 সমৃদ্ধির দিনে দুর্ভিক্ষের কথা ভাব; প্রাচুর্যের দিনে দরিদ্রতা ও অভাবের কথা চিন্তা কর।
26 সকাল থেকে সন্ধ্যার মধ্যে আবহাওয়ার পরিবর্তন ঘটে, প্রভুর সামনে সবকিছু ক্ষণস্থায়ী।
27 প্রজ্ঞাবান সমস্ত কিছুতে সতর্ক, পাপের দিনে শঠতা থেকে মুক্ত থাকে।
28 সদজ্ঞানী যে কোন মানুষ প্রজ্ঞা চেনে, প্রজ্ঞার যে সন্ধান পেয়েছে, তাকে সে সম্মান করে।
29 যারা উক্তির অর্থ বোঝে, তারাও প্রজ্ঞাবান, নিজেদের প্রজ্ঞা দেখায়।
30 তোমার কামনা-বাসনা দ্বারা নিজেকে শাসিত হতে দিয়ো না, তোমার সমস্ত প্রবল আকাঙ্ক্ষা সংযত রাখ।
31 নিজের প্রাণকে যদি তার যত কামনা-বাসনায় তৃপ্তি পেতে দাও, তা তোমাকে তোমার শত্রুদের তাচ্ছিল্যের বস্তু করবে।
32 আমোদপ্রমোদে ভরা জীবন ভোগ করো না, দ্বিগুণ দরিদ্রতা এ তার ফলাফল।
33 ধার নেওয়া অর্থ অপব্যয় ক'রে দরিদ্রতার পথে যেয়ো না, —যখন তোমার থলিতে কিছু নেই!