Index

Sirach - Chapter 4

1 সন্তান, দীনহীনকে তার জীবিকা দিতে অস্বীকার করো না, অভাবী মানুষের চোখ যখন তোমার দিকে নিবদ্ধ, তখন পাষণ্ড হয়ো না।
2 ক্ষুধার্তকে দুঃখ দিয়ো না, সঙ্কটে পতিত মানুষকে ক্ষুব্ধ করো না।
3 ক্ষুব্ধ হৃদয়কে আলোড়িত করো না, অভাবীকে তার প্রত্যাশিত দান থেকে বঞ্চিত করো না।
4 নিঃস্বের মিনতি ফিরিয়ে দিয়ো না, দীনহীন থেকে দৃষ্টি ফিরিয়ে নিয়ো না।
5 গরিব মানুষ থেকে চোখ ফিরিয়ে নিয়ো না, কেউ তোমাকে অভিশাপ দেবে, এমন সুযোগ সৃষ্টি করো না,
6 কেননা তিক্ততা-ভরা অন্তরে কেউ তোমাকে অভিশাপ দিলে তার নির্মাতা তার প্রার্থনায় সাড়া দেবেন।
7 জনমণ্ডলীর ভালবাসার পাত্র হতে চেষ্টা কর, মহাব্যক্তিত্বের সামনে মাথা নত কর।
8 দীনহীনের প্রতি কান দাও, তার শান্তি-কামনায় মমতার সঙ্গে উত্তর দাও।
9 অত্যাচারিতকে অত্যাচারীর হাত থেকে উদ্ধার কর, বিচার দানে ছোটমনা হয়ো না।
10 পিতৃহীনদের কাছে পিতার মত হও, তাদের মাতার প্রতি স্বামীসুলভ যত্ন দেখাও ; তবে তুমি পরাৎপরের সন্তানের মত হবে, তিনি তোমার মাতার চেয়েও তোমাকে বেশি ভালবাসবেন।
11 প্রজ্ঞা নিজের সন্তানদের প্রতিপালন করে, যারা তার অন্বেষণ করে, সে তাদের যত্ন নেয়।
12 প্রজ্ঞাকে যে ভালবাসে, সে জীবনকেই ভালবাসে, যারা তৎপর হয়ে তার সন্ধান করে, তারা আনন্দে পূর্ণ হবে।
13 যে প্রজ্ঞার অধিকারী, সে গৌরবের অধিকারী হবে, যেইখানে সে যাক না কেন, প্রভু তাকে আশীর্বাদ করেন।
14 যারা প্রজ্ঞার সেবা করে, তারা সেই পবিত্রজনেরই পরিচর্যা করে, এবং প্রজ্ঞাকে যারা ভালবাসে, প্রভু তাদের ভালবাসেন।
15 যে কেউ প্রজ্ঞার কথায় কান দেয়, সে ন্যায়বিচার সম্পাদন করে, যে তার প্রতি মনোযোগ দেয়, সে নির্ভয়ে বাস করে।
16 সে যদি প্রজ্ঞায় ভরসা রাখে, উত্তরাধিকার রূপে প্রজ্ঞাই পাবে, আর তার বংশধরেরা সেই অধিকার রক্ষা করবে ;
17 কেননা, যদিও প্রজ্ঞা আগে তাকে মোচড়ানো পথে চালনা করে, তার অন্তরে ভয় ও আশঙ্কা সঞ্চার করে, ও তার সংশোধন দ্বারা তাকে উৎপীড়ন করে যতদিন না তার উপরে আস্থা রাখতে পারে ও তার বিধিনিয়ম দ্বারা তাকে পরীক্ষা করে,
18 তবু পরে প্রজ্ঞা তার কাছে সরাসরি ফিরে আসবে, তাকে আনন্দিত করবে, ও তার আপন রহস্য তার কাছে প্রকাশ করবে।
19 কিন্তু সে যদি ভ্রষ্ট পথে চলে, প্রজ্ঞা তাকে যেতে দেবে, তার নিজের নিয়তির হাতে তাকে ফেলে রাখবে।
20 অবস্থা-পরিস্থিতি লক্ষ কর, অনিষ্টের বিষয়ে সাবধান থাক, তোমার নিজের বিষয়েও লজ্জাবোধ করো না।
21 কেননা এমন লজ্জা আছে, যা পাপের দিকে চালিত করে, আবার এমন লজ্জা আছে, যা গৌরব ও অনুগ্রহের নামান্তর।
22 নিজের বিষয়ে বেশি কঠোর হয়ো না, লজ্জা তোমার পতন ঘটাবে, এমনটি হতে দিয়ো না।
23 উপযুক্ত সময়ে কথা বলতে অস্বীকার করো না, তোমার প্রজ্ঞা লুকিয়ে রেখো না।
24 কেননা কথন থেকেই প্রজ্ঞার পরিচয়লাভ, এবং জিহ্বার বচন থেকেই সুশিক্ষার প্রকাশ।
25 সত্যের প্রতিবাদ করো না, বরং তোমার অজ্ঞতা বিষয়ে লজ্জাবোধ কর।
26 তোমার পাপ স্বীকার করতে লজ্জিত হয়ো না, নদীর প্রবাহ প্রতিরোধ করো না।
27 মূর্খ মানুষের অধীনে নিজেকে বর্ণীভূত করো না, প্রভাবশালীর পক্ষপাত করো না।
28 সত্যের পক্ষে মৃত্যু পর্যন্তই সংগ্রাম কর, তবে প্রভু ঈশ্বর তোমার পক্ষে যুদ্ধ করবেন।
29 কথায় দম্ভ দেখিয়ো না যখন কর্মে তুমি অলস ও শিথিল !
30 নিজের ঘরে সিংহের মত হয়ো না, আবার, কর্মচারীদের সামনে ভীরু হয়ো না।
31 তোমার হাত পাবার উদ্দেশ্যে প্রসারিত না হোক, আবার, ফিরিয়ে দেওয়ার সময়ে তা রুদ্ধ না হোক।