1 প্রজ্ঞাবান শাসনকর্তা তার আপন জনগণকে উদ্বুদ্ধ করে তোলে, সদজ্ঞানী মানুষের শাসন পালিত হবে।
2 যেমন বিচারক, তেমন তাঁর কর্মচারী; যেমন নগরপাল, তেমন নগরবাসী।
3 বিশৃঙ্খল রাজা হবেন নিজের জনগণের সর্বনাশ, শহরের সমৃদ্ধি সমাজনেতাদের সুবুদ্ধিতেই নির্ভর করে।
4 পৃথিবীর নিয়ন্ত্রণ প্রভুর হাতে, তিনি উপযুক্ত সময়ে উপযুক্ত মানুষের উদ্ভব ঘটাবেন।
5 মানুষের সাফল্য প্রভুর হাতে, তিনিই শাস্ত্রীকে গৌরবে ভূষিত করেন।
6 তোমার প্রতিবেশীর যে কোন অনিষ্টের বিষয়ে ক্ষুব্ধ হয়ো না ; ক্রোধের বশে কিছুই করো না।
7 প্রভুর কাছে ও মানুষদের কাছে গর্ব ঘৃণার বস্তু, অন্যায্যতা উভয়েরই দৃষ্টিতে ঘৃণ্য কাজ।
8 অন্যায্যতা, হিংসা ও অর্থলালসার কারণে রাজক্ষমতা এক জাতি থেকে অন্য জাতির হাতে যায়।
9 যে মাটি ও ছাইমাত্র, গর্ব করার মত তার কী আছে? সে জীবিত থাকতেও তার অস্ত্ররাজি বিতৃষ্ণার বস্তু।
10 দীর্ঘদিনের অসুস্থতা চিকিৎসককে হাসির পাত্র করে। আজ যিনি রাজা, কাল তিনি লাশমাত্র।
11 কেননা মানুষ যখন মরে, তখন পোকা, হিংস্র পশু ও কীট, এ তো তার উত্তরাধিকার।
12 প্রভু থেকে সরে যাওয়া, আপন নির্মাতা থেকে হৃদয় দূরে রাখাই মানব-গর্বের সূচনা।
13 যেহেতু পাপ-ই তো গর্বের সূচনা, পাপের হাতে যে নিজেকে সঁপে দেয়, চারপাশে সে জঘন্য কাজ ছড়ায়। এজন্য প্রভু কল্পনার অতীত দুর্বিপাকে আঘাত করেন, তাদের নিঃশেষে উল্টিয়ে দেন।
14 প্রভু নৃপতিদের আসন ভেঙে দিলেন, তাদের পদে বিনম্রদেরই আসন দিলেন।
15 প্রভু জাতিসকলের মূল উপড়ে ফেললেন, তাদের স্থানে নিম্নাবস্থার মানুষকে রোপণ করলেন।
16 প্রভু জাতিসকলের দেশ উল্টিয়ে দিলেন, পৃথিবীর ভিত্তিমূল থেকেই তাদের ধ্বংস করলেন।
17 তিনি তাদের উৎপাটন করে নিশ্চিহ্ন করলেন, পৃথিবী থেকে তাদের স্মৃতি মুছে দিলেন।
18 পর্ব মানুষদের জন্য সৃষ্ট হয়নি, রোধপূর্ণ ক্রোধও নারীজাতদের জন্য নয়।
19 কোন্ জাতি সম্মানের পাত্র? মানবজাতি। কোন্ জাতি সম্মানের পাত্র? তারা, প্রভুভীরু যারা। কোন্ জাতি অসম্মানের পাত্র? মানবজাতি। কোন্ জাতি অসম্মানের পাত্র? তারা, বিধান লঙ্ঘন করে যারা।
20 নেতা তার নিজের ভাইদের মধ্যে সম্মানের পাত্র; আর যারা প্রভুভীরু, তারা তাঁর সম্মানের পাত্র।
21 ধনী মানুষ, মহামান্য মানুষ, দীনহীন মানুষ, প্রভুভয়ই হোক এদের সকলের গর্ব।
22 সুবিবেচক যে গরিব, তাকে হেয়জ্ঞান করা ন্যায্য নয়, এবং পাপী মানুষকে শ্রদ্ধা করা আদৌ উচিত নয়।
23 গণ্যমান্য ব্যক্তি, বিচারক ও প্রভাবশালী মানুষ সকলেই শ্রদ্ধার পাত্র, কিন্তু তারা কেউই প্রভুভীরুর চেয়ে মহান নয়।
24 স্বাধীন মানুষেরা প্রজ্ঞাবান ক্রীতদাসের সেবা করবে, উদ্বুদ্ধ মানুষেরা এতে গজগজ করবে না।
25 নিজের কাজ সম্পাদনে নিজেকে তত দেখিয়ো না, তত গর্বও করো না, যখন অভাবের মধ্যে আছ!
26 গর্ব ক'রে যে ঘুরে বেড়ায় অথচ যার খাদ্যের অভাব, তার চেয়ে সে-ই শ্রেয়, যে পরিশ্রম করে, কিন্তু সবকিছুতে পরিপূর্ণ।
27 সন্তান, নিজের বিষয়ে মাত্রা বজায় রেখেই গর্ব কর, তোমার প্রকৃত যোগ্যতা অনুসারেই নিজেকে গণ্য কর।
28 নিজে নিজের ক্ষতি করে, এমন মানুষের পক্ষ কে সমর্থন করবে? নিজে নিজেকে হেয়জ্ঞান করে, এমন মানুষকে কে শ্রদ্ধা করবে?
29 দরিদ্র মানুষ তার সুবুদ্ধির জন্যই সম্মানিত, ধনী মানুষ তার ঐশ্বর্যের জন্যই শ্রদ্ধার পাত্র।
30 দরিদ্রতায় যে শ্রদ্ধার পাত্র, ঐশ্বর্যে সে আর কতই না শ্রদ্ধার পাত্র হবে! ঐশ্বর্যে যে অশ্রদ্ধার পাত্র, দরিদ্রতায় সে আর কতই না অশ্রদ্ধার পাত্র হবে!