Index

Sirach - Chapter 33

1 যে কেউ প্রভুকে ভয় করে, তার কোন অমঙ্গল হবে না, পরীক্ষার মধ্যেও সে উদ্ধার পাবে।
2 প্রজ্ঞাবান বিধান ঘৃণা করে না, কিন্তু এবিষয়ে যে ভণ্ড, সে ঝড়ের মধ্যে জাহাজের মত।
3 বুদ্ধিমান মানুষ বিধানে বিশ্বাস রাখে, তার কাছে বিধান দৈববাণীর মতই বিশ্বাসযোগ্য।
4 তোমার উপদেশ প্রস্তুত কর, আর লোকে তোমাকে শুনবে ; তোমার তত্ত্ব সুসংবদ্ধ কর, পরে উত্তর দাও।
5 মূর্খের ভাব গরুর গাড়ির চাকার মত, তার যুক্তি চাকার বেড়ের মত নিজের উপর ঘুরতে থাকে।
6 অস্থির ঘোড়া বিদ্রূপকারী বন্ধুর মত, তার পিঠে যে কেউ চরুক না কেন, সে চিঁ-হি-হি করে।
7 কেন একটা দিন অন্য দিনের চেয়ে উত্তম, যদিও বছরের প্রতিটি দিনের আলো সূর্য থেকেই আসে?
8 দিনগুলি প্রভুর মন অনুসারেই আলাদা আলাদা করা হয়েছে, তিনি ঋতু ও পর্ব পৃথক পৃথক করেছেন।
9 কতগুলি দিন তিনি মর্যাদা ও পবিত্রতায় মণ্ডিত করেছেন, আর কতগুলি দিন তিনি সাধারণ দিনগুলির সংখ্যায় স্থান দিয়েছেন।
10 মানুষ মাটি থেকে আগত, আদম নিজেই ভূমি থেকে সৃষ্ট হলেন।
11 প্রভু তাঁর মহাপ্রজ্ঞায় তাদের পৃথক পৃথক করেছেন, তাদের জন্য আলাদা আলাদা নিয়তি নিরূপণ করেছেন।
12 কাউকে তিনি আশিসধন্য করে উন্নীত করেছেন, ও তাদের পবিত্র করে নিজের সঙ্গে বেঁধেছেন, কাউকে তিনি অভিশপ্ত করে নমিত করেছেন ও তাদের পদচ্যুত করেছেন।
13 যেমন কুমোরের হাতে মাটি, যা সে নিজের ইচ্ছামত মাখে, তেমনি তাদের নির্মাতার হাতে মানুষেরা, যাদের তিনি তাঁর বিচারমত প্রতিফল দেন।
14 অমঙ্গলের বিপরীতে দাঁড়ায় মঙ্গল, মৃত্যুর বিপরীতে জীবন; তেমনি ভক্তপ্রাণের বিপরীতে দাঁড়ায় পাপী।
15 সুতরাং পরাৎপরের সকল কর্ম বিবেচনা করে দেখ; তুমি দেখবে, সেগুলি দু'টো দু'টো করে দাঁড়ায় —একটা আর একটার বিপরীতে।
16 আমি যদিও সকলের পরে এসেছি, তবু অধ্যয়নে নিবিষ্ট থাকলাম, হ্যাঁ, আঙুর ফল সংগ্রহকারীরা যা ফেলে রেখেছে, তা কুড়োয় এমন মানুষের মত।
17 প্রভুর আশীর্বাদে লক্ষ্যে পৌঁছেছি, আঙুর ফল সংগ্রহকারীর মত মাড়াইকুণ্ড পূর্ণ করেছি।
18 লক্ষ কর— কেবল নিজের জন্যই শ্রম করেছি, এমন নয়; যারা শিক্ষাবাণীর অন্বেষণ করে, তাদেরও জন্য।
19 হে সমাজনেতা সকল, আমার কথা শোন, তোমরা, যারা জনমণ্ডলীকে পরিচালনা কর, মনোযোগ দাও।
20 পুত্র কি বধূ, ভাই কি বন্ধু, তুমি জীবিত থাকতে এদের কাউকেই তোমার উপর অধিকার দিয়ো না। অন্য কাউকেও তোমার ধন দান করো না, পাছে পরে তোমার দুঃখ হলে তার কাছ থেকে তা ফিরিয়ে চাইতে হয়।
21 যতদিন জীবিত থাক, যতদিন তোমার শ্বাস থাকে, ততদিন কারও হাতে নিজেকে সঁপে দিয়ো না।
22 সন্তানদের ইচ্ছার উপর নির্ভর করার চেয়ে, এ-ই বরং ভাল যে, সন্তানেরা তোমারই কাছে যাচনা করবে।
23 তোমার সমস্ত কাজে তুমিই হও কর্তা, তোমার সুনাম কলঙ্কিত হবে এমনটি হতে দিয়ো না।
24 যখন তোমার জীবনের আয়ু ফুরিয়ে যায়, সেই মৃত্যুক্ষণেই উত্তরাধিকার বণ্টন কর।
25 গাধার জন্য জাব, লাঠি ও বোঝা ক্রীতদাসের জন্য রুটি, শাসন ও কাজ।
26 তোমার দাসকে কঠোর পরিশ্রম করাও, তুমি মনে বিশ্রাম পাবে; তার হাত শিথিল রাখ, আর সে স্বাধীনতা চাইবে।
27 জোয়াল ও বন্না ঘাড় নত করে ; ধূর্ত ক্রীতদাসের জন্য উৎপীড়ন ও শান্তি।
28 তাকে কাজে লাগাও, সে যেন শিথিল না থাকে, কেননা শিথিলতা যত কুকর্ম শেখায়।
29 তার যে উচিত কাজ, তাকে সেই কাজ করাও, সে অবাধ্য হলে তার পায়ে বেড়ি লাগাও।
30 কিন্তু কারও কাছ থেকে অতিমাত্রায় কিছুই দাবি করো না; ন্যায্য্যতা-বিপরীত কিছু করো না।
31 তোমার কি একজনমাত্র ক্রীতদাস আছে? সে তোমারই মত হোক, যেহেতু তোমার নিজের রক্তমূল্যে তাকে কিনেছ ;
32 তোমার কি একজনমাত্র ক্রীতদাস আছে? তোমার কাছে সে ভাইয়েরই মত হোক, যেহেতু তুমি যেমন নিজের কাছে প্রয়োজনীয়, সেও তেমনি তোমার কাছে প্রয়োজনীয়।
33 তার প্রতি দুর্ব্যবহার করলে সে যদি পালিয়ে যায়, কোন্ পথ ধরে তুমি তার খোঁজে যাবে?