1 ধার্মিকজন মারা পড়ছে, কিন্তু সেবিষয়ে কেউই মনে মনে চিন্তাটুকুও করে না ; ভক্তজনদের কেড়ে নেওয়া হচ্ছে, কিন্তু কেউই বুঝতে পারে না যে, অনিষ্ট থেকে রেহাই দেবার জন্যই ধার্মিককে কেড়ে নেওয়া হচ্ছে।
2 সে শান্তিতে প্রবেশ করে ; এবং যে কেউ সরল পথে চলে, সে নিজের বিছানার উপরে বিশ্রাম করে।
3 কিন্তু তোমরা, হে ডাকিনীর সন্তানেরা, হে ব্যভিচারীর ও বেশ্যার বংশ, এখন তোমরা এখানে এসো!
4 কাকে তোমরা ভেংচি দিচ্ছ? কার দিকে তোমরা মুখ বাঁকাও ও জিহ্বা বের কর ? তোমরা কি বিদ্রোহীদের সন্তান, মিথ্যাবাদীদের বংশ নও?
5 তোমরা তো তার্পিনগাছের বাগানের মধ্যে, যত সবুজ গাছের তলায় কামে জ্বলে থাক, নানা উপত্যকায় ও শৈল-ফাটলের মধ্যে তোমাদের ছেলেদের বলি দাও।
6 খাদনদীর চিকন পাথরগুলির মধ্যেই রয়েছে তোমার প্রাপ্য অংশ ; এগুলিই তোমার স্বত্বাংশ ! এগুলির উদ্দেশেই তুমি পানীয়-নৈবেদ্য নিবেদন করেছ, এগুলির কাছেই তোমার শস্য-নৈবেদ্য এনেছ। এসব কিছু দেখে আমি কি ক্ষান্ত হব?
7 তুমি প্রকাণ্ড ও উচ্চ পর্বতের উপরে তোমার বিছানা পেতেছ ; সেখানেও তুমি বলি দিতে উঠেছিলে।
8 তুমি দরজা ও চৌকাটের পিছনে তোমার বিজাতীয় স্মৃতিচিহ্নগুলি রেখেছ। তুমি আমাকে ত্যাগ করে তোমার খাটের কাপড় খুলে তার উপরে উঠেছ আর বিছানাটা বিস্তৃত করেছ ; আর যাদের বিছানা তুমি ভালবাস, তাদের সঙ্গে চুক্তি করেছ : তাদের উলঙ্গতার দিকে তুমি চোখ নিবদ্ধ রেখেছ !
9 তুমি জলপাই তেল নিয়ে মেলেকের কাছে গিয়েছ, প্রচুর সুগন্ধিদ্রব্য গায়ে মেখেছ, তোমার দূতদের দূরদেশে পাঠিয়েছ, পাতাল পর্যন্তই নিজেকে নমিত করেছ!
10 তোমার এত বহু পথে তুমি শ্রান্ত হয়ে পড়েছ, কিন্তু 'এ বৃথা চেষ্টা' এ বলনি। তোমার তেজ নবীকৃত করার জন্য উপায় খুঁজে পেয়েছ, এজন্য মূর্ছা যাওনি।
11 বল দেখি, কার সামনে এমন ভীতা, কার সামনেই বা এমন সন্ত্রাসিতা হয়েছ যে, আমার প্রতি অবিশ্বস্তা হয়েছ, আমার কথা বিস্তৃতা হয়েছ, আমার বিষয়ে চিন্তাটুকু করনি? আমি বহুদিন থেকে নীরব আছি, তাই বুঝি আমাকে ভয় কর না?
12 আমি তোমার এই ধর্মময়তা ব্যক্ত করব, আর সেইসঙ্গে তোমার যত কাজ! তেমন কাজ তোমার কোনও উপকারে আসবে না।
13 যখন তুমি হাহাকার করবে, তখন যত অসার বস্তু তুমি জমিয়েছ, সেগুলিই তোমাকে উদ্ধার করুক। বাতাসই সেগুলিকে উড়িয়ে নেবে, একটা ফুৎকার সেইসব নিয়ে যাবে। কিন্তু যে কেউ আমাতে ভরসা রাখে, সে দেশের উত্তরাধিকারী হবে, সে আমার পবিত্র পর্বত অধিকার করবে।
14 তখন লোকে বলবে : সমতল কর, সমতল কর, পথ প্রস্তুত কর, আমার আপন জনগণের পথ থেকে বাধা দূর কর।
15 কেননা সেই উচ্চ ও সর্বোচ্চ যিনি, যিনি অনন্তকাল-নিবাসী ও যাঁর নাম 'পবিত্র', তিনি একথা বলছেন : “আমি সর্বোচ্চ ও পবিত্র স্থানে বাস করি, কিন্তু বিনম্রদের আত্মাকে সঞ্জীবিত করার জন্য ও চূর্ণ মানুষের হৃদয় পুনরুজ্জীবিত করার জন্য আমি চূর্ণ ও বিনম্র-আত্মা মানুষের সঙ্গেও বাস করি।
16 কারণ আমি সবসময় অভিযোগ তুলব, সর্বদাই ক্রুদ্ধ হব এমনটি চাই না; নইলে যে আত্মা ও প্রাণবায়ুর আমি নিজে নির্মাতা, তারা আমার সামনে মূর্ছা যাবে।
17 তার পাপময় লোভের জন্য আমি ক্রুদ্ধ হলাম, তাকে আঘাত করলাম, ক্রোধে নিজের মুখ লুকালাম, অথচ সে বিমুখ হয়ে তার মনোমত পথে চলল।
18 আমি তার পথগুলি দেখেছি, তবু তাকে নিরাময় করব, তাকে চালনা করব, তার অন্তরে নতুন সান্ত্বনা সঞ্চার করব,
19 আমি তার দুঃখীদের ওঠে স্তুতির ফল সৃষ্টি করব। শান্তি! দূরবর্তী নিকটবর্তী সকলের জন্য শান্তি ! —একথা বলছেন প্রভু—আমি তাদের নিরাময় করব।'
20 কিন্তু দুর্জনেরা এমন আলোড়িত সমুদ্রের মত, যা স্থির হতে পারে না, যার জলে পঙ্কিল মাটি ও কাদা ওঠে।
21 আমার পরমেশ্বর বলছেন : দুর্জনদের জন্য শান্তি নেই !