Index

ইসাইয়া - Chapter 54

1 সানন্দে চিৎকার কর, বন্ধ্যা, —তুমি যে কখনও সন্তান প্রসব করনি! সানন্দে চিৎকার কর, উল্লাসে ফেটে পড় তুমি যে প্রসবযন্ত্রণা কখনও ভোগ করনি! কারণ বিবাহিতার সন্তানদের চেয়ে পরিত্যক্তার সন্তানেরা বেশি—এই কথা প্রভু বলছেন।
2 তোমার তাঁবুর স্থান বিস্তৃত কর, ব্যয় আশঙ্কা না করে তোমার আবাসের পরদাগুলো বিছিয়ে দাও, দড়িগুলো লম্বা কর, শক্ত কর যত গোঁজ,
3 কারণ তুমি ডানে বামে বিস্তীর্ণা হবে, তোমার বংশ দেশগুলো দেশছাড়া করবে, পরিত্যক্ত শহরগুলোতে লোক বসাবে।
4 ভয় করো না, তোমাকে আর লজ্জা পেতে হবে না ; উদ্বিগ্ন হয়ো না, তোমাকে আর দুর্নাম ভোগ করতে হবে না ; কারণ তুমি তোমার যৌবনের লজ্জার বিষয় ভুলে যাবে, তোমার বৈধব্যের দুর্নামও আর মনে থাকবে না।
5 কেননা তোমার নির্মাতাই তোমার পতি, তাঁর নাম সেনাবাহিনীর প্রভু : ইস্রায়েলের সেই পবিত্রজনই তোমার মুক্তিসাধক, তিনি সমস্ত পৃথিবীর পরমেশ্বর বলে অভিহিত।
6 হ্যাঁ, প্রভু তোমাকে পরিত্যক্তা ও আত্মায় দুঃখিনী পত্নীর মত, যৌবনকালের বিচ্যুতা বধূর মত ডেকে ফিরিয়েছেন ; —এই কথা বলছেন তোমার আপন পরমেশ্বর!
7 আমি ক্ষুদ্রই এক মুহূর্তের জন্য তোমাকে ত্যাগ করেছি, কিন্তু মহাস্নেহে তোমাকে ফিরিয়ে নেব।
8 আমি ক্রোধের আবেশে এক মুহূর্তের জন্য তোমা থেকে শ্রীমুখ লুকিয়েছিলাম, কিন্তু চিরকালীন কৃপায় তোমাকে স্নেহ করেছি; —এই কথা বলছেন প্রভু, তোমার মুক্তিসাধক।
9 আমার কাছে এখন এমনটি হবে নোয়ার সেই দিনগুলির মত, যখন আমি শপথ করেছিলাম যে, নোয়ার জলরাশি পৃথিবীকে আর প্লাবিত করবে না ; তেমনি এখন আমি শপথ করছি যে, তোমার উপর আর কখনও ক্রুদ্ধ হব না, তোমাকে আর কোন ধমক দেব না।
10 পর্বতমালা সরে যাক, উপপর্বতও টলে যাক, কিন্তু আমার কৃপা তোমা থেকে সরে যাবে না, আমার শাস্তি-সন্ধিও টলবে না: —এই কথা বলছেন প্রভু, তোমাকে যিনি স্নেহ করেন।
11 হে দুঃখিনী, হে ঝঞ্ঝা-আলোড়িতা, হে সান্ত্বনা-বঞ্চিতা, দেখ, আমি রসাঞ্জনের উপরে তোমার পাথর বসাব, নীলকান্তমণির উপরে তোমার ভিত স্থাপন করব :
12 পদ্মরাগমণি দিয়ে তোমার আলিসা, মণিমাণিক্য দিয়ে তোমার সমস্ত তোরণদ্বার, ও বহুমূল্য মণিমুক্তা দিয়ে তোমার সমস্ত প্রাচীরবেষ্টনী নির্মাণ করব।
13 তোমার সকল সন্তান প্রভুর কাছেই শিক্ষা পাবে, তোমার সন্তানদের মহা সমৃদ্ধি হবে।
14 তোমাকে ধর্মময়তায় দৃঢ়প্রতিষ্ঠিত করা হবে, তুমি অত্যাচার থেকে মুক্তা হবে : না, তোমাকে আর কোন বিভীষিকায় ভীত হতে হবে না, কারণ তা তোমার কাছে আসবে না।
15 দেখ, তোমার প্রতি আক্রমণ ঘটলে, তা আমা থেকে হবে না: যে তোমাকে আক্রমণ করবে, তোমার খাতিরে তার পতন হবে।
16 দেখ, যে কর্মকার জ্বলন্ত অঙ্গারে বাতাস দেয়, ও নিজের ব্যবহারের জন্য যন্ত্রপাতি তৈরি করে, তাকে আমিই সৃষ্টি করেছি, তা নিশ্চিহ্ন করার জন্য আমি ধ্বংসনকারীকেও সৃষ্টি করেছি।
17 তোমার বিরুদ্ধে গড়া কোন অস্ত্র সফল হবে না, বিচারে তোমার প্রতিবাদী সমস্ত জিহ্বাকে তুমি দণ্ডিত করবে। এটি প্রভুর দাসদের অধিকার, এটি সেই ধর্মময়তা, যা আমার পক্ষ থেকে তাদের প্রাপ্য ; -প্রভুর উক্তি।