1 তখন যোব প্রভুকে উত্তর দিয়ে বললেন :
2 আমি বুঝতে পারছি, তোমার পক্ষে সবই সাধ্য,
তোমার কোন সঙ্কল্প বৃথা যেতে পারে না।
3 সে-ই কে, যে জ্ঞানবিহীন হয়ে তোমার সুমন্ত্রণা আচ্ছন্ন করতে পারে?
সত্যি, আমি যা বুঝি না, তেমন কথাই আমি বলেছি,
এমন কথা, যা আমার পক্ষে দুরূহ, আমার বোধের অতীত।
4 আমি নাকি বলছিলাম, 'দোহাই তোমার, শোন, আর আমি কথা বলব ;
আমি তোমাকে প্রশ্ন করব, আর তুমি আমাকে উদ্বুদ্ধ করবে।”
5 আগে আমি পরের কথা শুনেই তোমাকে জানতাম ;
এখন কিন্তু আমার নিজের চোখই তোমাকে দেখতে পাচ্ছে :
6 এজন্য ধুলা ও ছাই অবজ্ঞা করলেও আমি এখন সান্ত্বনা পাই ।
7 যোবকে এই সমস্ত কথা বলার পর প্রভু তেমান-নিবাসী এলিফাজকে বললেন, 'তোমার ও তোমার দুই বন্ধুর উপর আমার আক্রোশ জ্বলে উঠেছে, কারণ আমার দাস যোব আমার বিষয়ে যেমন যথার্থ কথা বলেছে, তোমরা সেইমত কথা বলনি।
8 সুতরাং তোমরা সাতটা বাছুর ও সাতটা ভেড়া নিয়ে আমার দাস যোবের কাছে গিয়ে তোমাদের কল্যাণে আহুতি দাও; আর আমার দাস যোব তোমাদের জন্য প্রার্থনা নিবেদন করবে, যেন তার খাতিরে আমি তোমাদের নির্বুদ্ধিতার শাস্তি না দিই ; কেননা আমার দাস যোর আমার বিষয়ে যেমন যথার্থ কথা বলেছে, তোমরা সেইমত কথা বলনি।'
9 তখন তেমান-নিবাসী এলিফাজ, শুয়াহ-নিবাসী বিদাদ ও নায়ামাথ-নিবাসী জোফার গিয়ে প্রভুর কথামত কাজ করলেন; এবং প্রভু যোবের প্রার্থনা গ্রহণ করলেন।
10 যোব তাঁর বন্ধুদের জন্য প্রার্থনা নিবেদন করার পর প্রভু তাঁকে তাঁর আগের অবস্থায় পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করলেন; এমনকি প্রভু যোবের আগেকার সম্পদ দ্বিগুণ করলেন।
11 তাঁর সকল ভাই, বোন, আর আগেকার পরিচিতজনেরা সকলেই তাঁর সঙ্গে দেখা করতে এল; তাঁর বাড়িতে খাওয়া-দাওয়া করে তারা তাঁকে সহানুভূতি দেখাল, এবং প্রভু তাঁর উপর যত অমঙ্গল এনেছিলেন, তার জন্য তাঁকে সান্ত্বনা দিল; তারা এক একজন তাঁকে একটা করে রুপোর মুদ্রা ও একটা করে সোনার আঙটি উপহার দিল।
12 প্রভু আগেরটার চেয়ে যোবের এই বর্তমান অবস্থাকেই বেশি আশীর্বাদ করলেন, ফলে যোব চৌদ্দ হাজার মেষ, ছ'হাজার উট, এক হাজার জোড়া বলদ ও এক হাজার গাধীর মালিক হলেন।
13 তাঁর ঘরে আরও সাত ছেলে ও তিন মেয়ের জন্ম হল।
14 তিনি বড় মেয়ের নাম ঘুঘু, দ্বিতীয়জনের নাম দারুচিনি, ও তৃতীয়জনের নাম কাজল রাখলেন।
15 যোবের মেয়েদের মত সুন্দরী তরুণী সমস্ত দেশে মিলল না; তাদের পিতা তাদের ভাইদের সঙ্গে তাদেরও উত্তরাধিকারিণী করলেন।
16 এই সমস্ত কিছুর পর যোব আরও একশ' চল্লিশ বছর বেঁচে থেকে চতুর্থ প্রজন্ম ত পর্যন্ত তাঁর পুত্রপৌত্রদের দেখতে পান।
17 শেষে, বৃদ্ধ ও পূর্ণায়ু হয়ে যোবের মৃত্যু হয়।