Index

যোব - Chapter 27

1 যোব এবিষয়ে তাঁর গম্ভীর কথা বলে চললেন; তিনি বললেন :
2 জীবনময় ঈশ্বরের দিব্যি ! —যিনি অগ্রাহ্য করেছেন আমার বিচার, সেই সর্বশক্তিমানের দিব্যি ! – যিনি তিস্ত করেছেন আমার প্রাণ,
3 আমার মধ্যে যতদিন শ্বাস থাকবে, আমার নাকে যতদিন ঈশ্বরের প্রাণবায়ু থাকবে,
4 আমার ওষ্ঠ ততদিন অন্যায় কথা বলবে না, আমার জিহ্বাও প্রবঞ্চনার কথা উচ্চারণ করবে না!
5 আমি কখনও বলব না যে, তোমরা ঠিক; মৃত্যু পর্যন্ত আমি আমার সততা অস্বীকার করব না।
6 আমার ধর্মময়তা আমি রক্ষা করব, ছাড়ব না, আমি জীবিত থাকতে আমার বিবেক আমাকে ধিক্কার দেবে না।
7 আমার শত্রুই বরং দুর্জন বলে গণ্য হোক, আমার প্রতিদ্বন্দ্বীই অন্যায়কারী বলে সাব্যস্ত হোক।
8 তোমরা কি একথা বল না : ভক্তিহীন উচ্ছিন্ন হলে, ও পরমেশ্বর তার প্রাণ হরণ করলে তার আর কী আশা থাকে?
9 তার উপরে যখন দুর্দশা নেমে পড়বে, তখন ঈশ্বর কি তার চিৎকার শুনবেন?
10 সে কি সর্বশক্তিমানে আমোদ পাবে? সে কি অনুক্ষণ পরমেশ্বরকে ডাকবে?
11 আমি ঈশ্বরের হাত বিষয়ে সঠিক উপদেশ দেব, সর্বশক্তিমানের চিন্তা-ভাবনা তোমাদের কাছে গোপন রাখব না।
12 দেখ, তোমরা সকলেই তা দেখতে পাচ্ছ, তবে এই সমস্ত অসার কথা বলে কেন সময় নষ্ট কর?
13 এটিই ধূর্ত মানুষের জন্য ঈশ্বরের নির্ধারিত ভাগ্য, এটিই দুর্দান্তের জন্য সর্বশক্তিমানের নিরূপিত উত্তরাধিকার।
14 তার যত সন্তান হোক না কেন, খড়্গই তাদের নিয়তি, তার বংশধরদের জন্য তৃপ্তি পাবার মত খাদ্য থাকবে না ;
15 বেঁচে থাকবে যারা, মড়কই তাদের কবর দেবে, তাদের বিধবারা বিলাপ করার সুযোগ পাবে না।
16 সে যদিও গুলার মত রুপো জমায়, যদিও কাদামাটির মত পোশাক জড় করে,
17 তবু তা জড় করলেও ধার্মিকজনই সেই পোশাক পরবে, নির্দোষী মানুষই সেই রুপো ভাগ ভাগ করে নেবে।
18 তার গাঁথা গৃহ কাঠপোকার বাসার মত, খেত-রক্ষকের তৈরী কুঁড়ে ঘরের মত।
19 সে ধনী হয়ে শোয়, কিন্তু আর বেশিক্ষণের জন্য নয়; সে চোখ খোলে আর কিছুই নেই!
20 দিনের বেলায় সন্ত্রাস তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে, রাতে ঘূর্ণিঝড় তাকে উড়িয়ে নেয়।
21 পুবাতাস তাকে তুলে নিয়ে চলে যায়, তার স্থান থেকে তাকে দূরে উপড়ে ফেলে।
22 ঈশ্বর তীর ছুড়ে ছুড়ে মারবেন, দয়া করবেন না: সে তাঁর হাত এড়াতে চেষ্টা করে।
23 লোকে তার এই দশায় হাততালি দেয়, তার বাসস্থান থেকে তার দিকে শিস দেয়।