1 দেখ, তাকে বশীভূত করার প্রত্যাশা মিথ্যা ;
তাকে দেখামাত্র মানুষ লুটিয়ে পড়ে।
2 তাকে উত্তেজিত করবে এমন সাহসী কেউই নেই;
তবে আমার সামনে কে দাঁড়াতে পারে?
3 কে আমাকে অগ্রিম কিছু দিয়েছে যে, আমি তাকে প্রতিদান দিতে বাধ্য ?
সমস্ত আকাশের নিচে সবই আমার!
4 আমি তার নানা অঙ্গ সম্বন্ধে নীরব থাকব না :
তার বল ও শরীরের সুগঠনের বিষয়েও নীরব থাকব না।
5 তার বাইরের পোশাক কে খুলে দিয়েছে?
কে যেতে পেরেছে তার দ্বিগুণ বর্মার মধ্যে ?
6 তার মুখের কবাট কে খুলতে পেরেছে?
তার দাঁতের চারদিকে সন্ত্রাস !
7 তার পিঠ ফলকশ্রেণী-মণ্ডিত,
একটা আর একটার সঙ্গে দৃঢ়ভাবে সংবদ্ধ ;
8 সেগুলো একে অপরের সঙ্গে এমন সংলগ্ন যে,
তার অন্তরালে বাতাসও প্রবেশ করতে অক্ষম।
9 সেগুলো পরস্পর সংযুক্ত,
সেগুলো একত্রে সংলগ্ন, কিছুতেই ভিন্ন হয় না।
10 তার হাঁচিতে আলো ছড়িয়ে পড়ে,
তার চোখ ঊষার চোখের পাতার মত।
11 তার মুখ থেকে জ্বলন্ত মশাল নির্গত হয়,
অগ্নিস্ফুলিঙ্গ উৎপন্ন হয়।
12 তার নাসারন্ধ্র থেকে,
যেন আগুনের উপরে ফুটন্ত জলের হাঁড়ি থেকেই ধোঁয়া নির্গত হয়।
13 তার শ্বাসে অঙ্গার জ্বলে ওঠে,
তার মুখ থেকে বের হয় আগুনের শিখা।
14 ঘাড়েই রয়েছে তার বল,
তার আগে আগে সন্ত্রাসই দৌড়ে চলে।
15 তার মাংসের পার্ট পরস্পর সংযুক্ত,
তা তার উপরে দৃঢ়বদ্ধ, সরতে পারে না।
16 তার হৃৎপিণ্ড পাথরের মত কঠিন,
জাঁতার নিচের পাটের মতই শক্ত।
17 সে উঠে দাঁড়ালে শক্তিশালীরাও উদ্বিগ্ন হয়,
সন্ত্রাসিত হয়ে তারা হতবুদ্ধি হয়ে পড়ে।
18 তার নাগাল পায় যে খড়্গা, তা নিষ্ফল ;
বর্শা, তীর ও বল্লমও বিফল।
19 তার কাছে লোহা খড়কুটোর মত,
ব্রঞ্জ পচা কাঠের মত।
20 তীর তাকে তাড়াতে পারে না,
তার কাছে ফিঙের পাথর তুষের মত।
21 গদা তার কাছে ঘাসের মত,
বর্শার শব্দে সে হাসে।
22 তার তলদেশ ধারালো পাথরকুচির মত,
সে কাদার উপর দিয়ে কাঁটার মইয়ের মত চলে
23 সে অতল জলকে হাঁড়িতে জলের মত ফোটায়,
সমুদ্রকেও মলমের পাত্রের মত।
24 পিছনে সে চমক পথ ছাড়ে,
অতল গহ্বর পাকাচুলের মত দেখায়।
25 পৃথিবীতে তার তুলনায় কিছুই নেই,
নির্ভীক হবার জন্যই তাকে গড়া হয়েছে।
26 সে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে যত দাম্ভিক প্রাণীর উপর,
যত গর্বোদ্ধত জন্তুর মধ্যে সে-ই রাজা।