1 মাস্সার রাজা লেমুয়েলের বচনমালা; তাঁর মাতা তাঁকে এই বচনগুলি শিখিয়ে দিয়েছিলেন।
2 সন্তান আমার! হে আমার গর্ভের সন্তান ! হে আমার মানতের সন্তান, কী বলব?
3 তুমি স্ত্রীলোকদের তোমার শক্তি দিয়ো না ; রাজাদেরও যারা বিনাশ করে, তাদের তোমার ঐশ্বর্য দিয়ো না।
4 রাজাদের পক্ষে, হে লেমুয়েল, রাজাদের পক্ষে আঙুররস খাওয়া উপযুক্ত নয়, মদ্যপানীয় বাসনা করা শাসনকর্তাদের পক্ষে উপযুক্ত নয় ;
5 পাছে পান করে তাঁরা তাঁদের জারীকৃত বিধিনিয়ম ভুলে যান, ও বিচারে দুঃখীদের পক্ষ অবহেলা করেন।
6 যে মরণাপন্ন, তাকেই মদ্যপানীয় দাও, যে তিক্তপ্রাণ, তাকেই আঙুররস দাও।
7 সে পান করে নিজের দীনতার কথা ভুলে যাক, নিজের দুর্দশার কথা আর তার মনে না থাকুক।
8 তুমি বোবার পক্ষে মুখ খোল, এতিমদের রক্ষা করার জন্যই মুখ খোল।
9 হ্যাঁ, মুখ খোল, ন্যায়বিচার কর, দুঃখী ও নিঃস্বের পক্ষ সমর্থন কর।
10 গুণবতী নারী—তাকে কে পেতে পারে ? মণিমুক্তার চেয়েও তার মূল্য অনেক বেশি।
11 তার স্বামীর হৃদয় তার উপরে ভরসা রাখে, সেই স্বামীর লাভের অভাব হবে না।
12 তার জীবনের সমস্ত দিন ধরে সে স্বামীর মঙ্গল করে, তার অমঙ্গল নয়।
13 সে পশম ও ক্ষোম যোগাড় করে, তার দু'হাত উদ্যোগের সঙ্গে কাজ করে।
14 সে এমন বাণিজ্য-তরণির মত, যা দূর থেকে যত খাদ্য সামগ্রী তার ঘরে আনে।
15 সে রাত থাকতেই উঠে তার ঘরের সকলের জন্য খাদ্য প্রস্তুত করে, এবং দাসীদের উপযুক্ত নির্দেশ দেয়।
16 সে একখণ্ড জমির কথা বিচার-বিবেচনা করে তা কিনে নেয়, কাজ করে অর্থ যোগাড় করেই সে সেই জমিতে আঙুরগাছ পোঁতে।
17 সে তৎপর হয়ে কোমর কষে বাঁধে, কাজে ব্যস্ত থেকে দেখায় তার বাহুর কেমন শক্তি।
18 সে দেখতে পায়, তার কাজকর্ম সফলতা পাচ্ছে, রাতেও তার প্রদীপ নিভে যায় না।
19 সুতাকাটার যন্ত্র হাতে নিয়ে সে আঙুল দিয়ে টাকু চালায়।
20 দরিদ্রের প্রতি সে হাত বাড়ায়, নিঃয়ের প্রতি বাহু প্রসারিত করে।
21 তুষারপাত হলেও তার ঘরের কারও জন্য সে ভয় পায় না, কারণ সকলে গরম কাপড় পরে আছে।
22 সে নিজে নিজের বিছানার কম্বল বুনে তৈরি করে, তার পরন সূক্ষ্ম ক্ষোম ও বেগুনি দামী কাপড়।
23 তার স্বামী নগরদ্বারে সম্মানের পাত্র, সেখানে সে দেশের প্রবীণদের সঙ্গেই আসন গ্রহণ করে।
24 সে নিজে ক্ষোমের কাপড় তৈরি করে তা বিক্রি করে, বণিকের জন্য কোমর বন্ধনী সরবরাহ করে।
25 শক্তি ও মর্যাদা, এই তো তার পরন, সে হাসিমুখেই আগামী দিনের অপেক্ষায় থাকতে পারে।
26 সে প্রজ্ঞার সঙ্গে মুখ খোলে, তার জিহ্বায় সহৃদয় নির্দেশবাণী উপস্থিত।
27 বাড়ির সকলের আচরণের দিকে সে লক্ষ রাখে, তার অন্ন অলসতার ফল নয়।
28 তার সন্তানেরা উঠে তাকে সুখী ঘোষণা করে, তার স্বামীও উঠে তার প্রশংসাবাদ করে বলে,
29 ‘অনেক নারী আপন কর্মে নিজেদের গুণবতী দেখিয়েছে, কিন্তু তাদের সকলের মধ্যে তুমিই শ্রেষ্ঠা।'
30 কমনীয়তা প্রবঞ্চক, সৌন্দর্য অসার, কিন্তু যে নারী প্রভুকে ভয় করে, সে-ই প্রশংসনীয়া।
31 তার কর্মের ফল তাকে দেওয়া হোক, নগরদ্বারে তার নিজের কর্মই তার প্রশংসাবাদ করুক।