Index

প্রবচন - Chapter 30

1 মাস্সা-নিবাসী যাকের সন্তান আগুরের বচনমালা। ইথিয়েলের প্রতি, ইথিয়েল ও উকালের প্রতি এই ব্যক্তির উক্তি।
2 আমি মানুষদের মধ্যে সবচেয়ে মূর্খ, মানবীয় সদ্বিবেচনা নেই আমার ;
3 আমি প্রজ্ঞার কথা শিখিনি, পবিত্র জ্ঞানও নেই আমার।
4 কে স্বর্গে আরোহণ করে আবার নেমে এসেছেন? কে নিজের হাতের মুঠোয় বাতাস জড় করেছেন? কে নিজের চাদরের মধ্যে জলরাশি বেঁধেছেন ? কে পৃথিবীর সকল প্রান্ত সুস্থির করেছেন? তাঁর নাম কী? তাঁর পুত্রের নাম কী? তুমি কি এই সমস্ত জান?
5 পরমেশ্বরের প্রত্যেকটা বাণী আগুনে যাচাই করা : যারা তাঁর আশ্রয় নেয়, তিনি তাদের ঢাল।
6 তাঁর সমস্ত বাণীতে কিছুই যোগ করো না; পাছে তিনি তোমাকে ভর্ৎসনা করেন আর তুমি মিথ্যাবাদী বলে প্রতিপন্ন হও।
7 তোমার কাছে আমি দু'টো যাচনা রাখি, আমি মরবার আগে তুমি তা আমাকে দিতে অস্বীকার করো না
8 আমা থেকে ছলনা ও মিথ্যা দূরে রাখ; দীনতা বা ঐশ্বর্য আমাকে দিয়ো না ; কিন্তু আমার যতটুকু খাদ্য দরকার, ততটুকু আমাকে দাও,
9 পাছে তৃপ্তি সহকারে খাওয়ার পর আমি তোমাকে অস্বীকার করে বলি : 'প্রভু কে?' কিংবা পাছে দরিদ্র হয়ে পড়ে আমি চুরি করে বসি, ও আমার পরমেশ্বরের নামের প্রতি অসম্মান দেখাই।
10 মনিবের কাছে দাসের দুর্নাম করো না, পাছে সে তোমাকে অভিশাপ দেয়, আর তোমাকে সেই দণ্ড বহন করতে হয়।
11 এমন প্রজন্মের মানুষ আছে, যারা পিতাকে অভিশাপ দেয়, ও মাতাকে আশীর্বাদ করে না।
12 এমন প্রজন্মের মানুষ আছে, যারা নিজেদের শুদ্ধ মনে করে, তবু নিজেদের মলিনতা থেকে ধৌত হয়নি।
13 এমন প্রজন্মের মানুষ আছে, যাদের চোখ কতই না উদ্ধত ! যাদের চোখের পাতা কেমন না গর্বিত!
14 এমন প্রজন্মের মানুষ আছে, যাদের দাঁত খড়া ও চোয়াল চুরি, যেন দেশ থেকে বিনম্রদের, ও মানবসমাজ থেকে নিঃস্বদের উচ্ছিন্ন করে গ্রাস করতে পারে।
15 জোঁকের দু'টো মেয়ে আছে: 'দাও! দাও!' তিনটে জিনিস আছে, যা কখনও তৃপ্ত হয় না, এমনকি চারটে জিনিস আছে যা কখনও বলে না: 'যথেষ্ট!'—
16 পাতাল ও বন্ধ্যা স্ত্রীলোক, আবার, ভূমি, যা জলে কখনও তৃপ্ত হয় না, শেষে আগুন, যা বলে না : 'যথেষ্ট! '
17 যে চোখ পিতাকে অবজ্ঞা করে, মাতার প্রতি দেয় বাধ্যতা তুচ্ছ করে, সেই চোখকে উপত্যকার কাকেরা ঠুকরে বের করে নিক, ঈগলের শাবকেরা তা খেয়ে ফেলুক।
18 তিনটে জিনিস আমার কাছে কঠিন লাগে, এমনকি আমি চারটে জিনিস বুঝতে পারি না :
19 আকাশে ঈগলের পথ, শৈলের উপর দিয়ে সাপের পথ, সমুদ্র-গভীরে জাহাজের পথ, যুবতীর অন্তরে পুরুষের পথ।
20 ব্যভিচারিণীর পথ এরূপ : সে খায়, এবং মুখ মুছে বলে : আমি খারাপ কিছু করিনি!
21 তিনটে জিনিসের ভারে পৃথিবী কাঁপে, এমনকি চারটে জিনিসের ভার পৃথিবী সহ্য করতে পারে না :
22 দাসের ভার, যখন সে রাজা হয়, মূর্খের ভার, যখন সে তৃপ্তি সহকারে খায়,
23 ঘৃণ্য স্ত্রীলোকের ভার, যখন সে স্বামী পায়, আর দাসীর ভার, যখন সে উত্তরাধিকারিণী হয়।
24 পৃথিবীতে চারটে অতিক্ষুদ্র প্রাণী রয়েছে, তবু সেগুলি বড় প্রজ্ঞায় পূর্ণ :
25 পিঁপড়া এমন জাতের প্রাণী যার শক্তি নেই, তবু গ্রীষ্মকালে খাদ্য যোগাড় করে ;
26 শাফন এমন জাতের প্রাণী যার বল নেই, তবু শৈলরাজির মধ্যে ঘর বাঁধে ;
27 পঙ্গপাল এমন প্রাণী যার রাজা নেই, তবু দল বেঁধে রণযাত্রা করে ;
28 টিকটিকি এমন প্রাণী যাকে হাত দিয়ে ধরা যেতে পারে, তবু রাজাদের প্রাসাদেও প্রবেশ করে।
29 তিনটে প্রাণী গাম্ভীর্যের সঙ্গে চলে, এমনকি চারটে প্রাণী সুন্দরভাবে চলে :
30 সিংহ, যে পশুদের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী, সে কারও সামনে থেকে পিছটান দেয় না :
31 কোমরে প্রবল ডোরাকাটা অশ্ব, ছাগ, ও সৈন্যদলের অগ্রভাগে রাজা।
32 তুমি যদি নিজেকে বড় করে তুলে মূর্খের মত কাজ করে থাক, এবং পরে চিন্তা-ভাবনা করে থাক, তবে মুখে হাত দাও,
33 কেননা দুধে চাপ দিলে মাখন বের হয়, নাকে চাপ দিলে রক্ত বের হয়, ক্রোধে চাপ দিলে ঝগড়া বের হয়।