1 প্রচুর ধনের চেয়ে সুনাম অর্জন করা ভাল ; রুপো ও সোনার চেয়ে অনুগ্রহই শ্রেয়।
2 ধনবান ও ধনহীন একত্রে মেলে : প্রভুই দু'জনের নির্মাতা।
3 সতর্ক মানুষ বিপদ দেখে নিজেকে লুকোয় অনভিজ্ঞ মানুষ এপিয়ে গিয়ে দণ্ড পায় !
4 প্রভুভয়ই বিনম্রতার পুরস্কার : তাছাড়া রয়েছে ধন, গৌরব ও জীবন।
5 কুটিল মানুষের পথে কাঁটা ও ফাঁদ উপস্থিত ; যে নিজের উপর দৃষ্টি রাখে, সে সেগুলো থেকে দূরে থাকে।
6 বালককে যে পথে চলতে হবে, সেই পথে তাকে দীক্ষিত কর, বার্ধক্যকালেও সে তা ছাড়বে না।
7 ধনবান ধনহীনের উপর কর্তৃত্ব চালায়, এবং ঋণী মহাজনের দাস হয়।
8 যে অধর্ম-বীজ বোনে, সে দুর্দশা-ফসল কাটবে, ও তেমন কোপের লাঠি লোপ পাবে।
9 যে দানশীল, সে আশীর্বাদের পাত্র হবে, কারণ সে দীনজনের সঙ্গে নিজের খাদ্য ভাগ করে।
10 বিদ্রূপকারীকে তাড়িয়ে দাও, গোলমালও চলে যাবে, ঝগড়া-বিবাদ ও অপমানও ঘুচে যাবে।
11 শুদ্ধহৃদয়কে যে ভালবাসে, যার কথা অনুগ্রহপূর্ণ, রাজা তার বন্ধু।
12 প্রভুর চোখ সজ্ঞান রক্ষা করে ; কিন্তু তিনি অবিশ্বস্তদের কথা উল্টিয়ে দেন।
13 অলস বলে : বাইরে সিংহ আছে, রাস্তার মধ্যেই আমি মারা পড়ব।
14 বিজাতীয় স্ত্রীলোকের মুখ গম্ভীর একটা গহ্বর ; যে প্রভুর ক্রোধের পাত্র, সে সেই গহ্বরে পড়বে।
15 বালকের হৃদয়ে মূর্খতা বাঁধা থাকে ; কিন্তু শাসন-দণ্ড তা তাড়িয়ে দেবে।
16 দীনহীনকে যে অত্যাচার করে, সে তার ধনবৃদ্ধিই ঘটায়, ধনবানকে যে দান করে, সে তাকে অভাবী করে।
17 তুমি প্রজ্ঞাবানদের বচনমালা কান পেতে শোন, আমার সজ্ঞানে মনোযোগ দাও:
18 কেননা সেই সমস্ত কথা অন্তরে রাখা ও একসঙ্গে ওষ্ঠে প্রস্তুত রাখা, তা মনোরম।
19 তোমার ভরসা যেন প্রস্তুতে থাকে, সেজন্য আমি তোমাকেই আজ এই সমস্ত কথা জানালাম।
20 যত পরামর্শ ও সজ্ঞান ধরে আমি তোমার জন্য কি ত্রিশটা উক্তি লিখিনি?
21 তাতে তুমি যেন সত্য বাণী ব্যক্ত করতে পার, ও কেউ তোমাকে জিজ্ঞাসা করলে তুমি যেন তাকে নিশ্চিত উত্তর দিতে পার।
22 গরিব বলে গরিবের দ্রব্য কেড়ে নিয়ো না, দুঃখীকেও বিচারালয়ে চূর্ণ করো না।
23 কেননা প্রভু তাদেরই পক্ষ সমর্থন করবেন, আর তাদের দ্রব্য যারা কেড়ে নেয়, তিনি তাদের প্রাণ কেড়ে নেবেন।
24 কোপ-প্রকৃতির মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করো না, ক্রোধ-স্বভাবের মানুষের সঙ্গে যাতায়াত করো না ;
25 পাছে তুমি তার আচার-আচরণ শেখ, ও নিজের জন্য ফাঁদ প্রস্তুত কর।
26 যারা পরের পক্ষে হাত তোলে ও ঋণের জামিন হয়, তুমি তাদের একজন হয়ো না।
27 তোমার যদি পরিশোধ করার সঙ্গতি না থাকে, তবে গায়ের নিচ থেকে তোমার শয্যা নেওয়া হবে।
28 তোমার পিতৃপুরুষেরা যা স্থাপন করেছিলেন, সেই পুরাতন সীমানা-ফলক তুমি স্থানান্তর করো না।
29 তুমি কোন মানুষকে তার নিজের কাজে তৎপর দেখেছ? সে রাজার সেবায় দাঁড়াবে, নিচু লোকদের সেবায় থাকবে না।