1 যখন তুমি ক্ষমতাশালীর সঙ্গে ভোজে বস, তখন তোমার সামনে যা আছে, ভালোমত তা বিবেচনা করে দেখ;
2 আর বেশি ক্ষুধার্ত হলে তবে নিজের গলায় নিজে ছুরি দাও।
3 তার সুস্বাদু খাদ্যে লালসা করো না, কারণ তা বঞ্চনার খাদ্য।
4 ধন জমাতে অতিব্যস্ত হয়ো না, তেমন চিন্তা প্রত্যাখ্যান কর।
5 ধনের দিকে একবার তাকালে, তুমি দেখবে সেগুলো আর নেই ; কারণ সেগুলোতে পাখা গজাবেই ও ঈগলের মত আকাশে উড়ে যাবে।
6 যার চোখ মন্দ, তার খাদ্য খেয়ো না, তার সুখাদ্য খেতে লালসা করো না;
7 কেননা সে এমন মানুষ, যে শুধু হিসাবের কথাই ভাবে ; সে তোমাকে বলবে : খাওয়া-দাওয়া কর ! কিন্তু তার হৃদয় তোমার সঙ্গে নয়।
8 তুমি যে টুকরো রুটি খেয়েছ, তা উপরে ফেলবে, আর তোমার সমস্ত মধুর কথা অপব্যয় করবে।
9 নির্বোধের সঙ্গে কথা বলো না, সে তোমার প্রজ্ঞাপূর্ণ কথা অবজ্ঞা করবে।
10 পুরাতন সীমানা-ফলক স্থানান্তর করো না, এতিমদের জমি দখল করো না;
11 কেননা তাদের প্রতিফলদাতা শক্তিশালী, তিনি তোমার বিরুদ্ধে তাদের পক্ষ সমর্থন করবেন।
12 তুমি শিক্ষাবাণীতে হৃদয় নত কর, সজ্ঞানের কথায় কান দাও।
13 বালককে শাসন করতে ত্রুটি করো না ; লাঠি দিয়ে মারলেও সে মরবে না ;
14 এমনকি, তুমি তাকে লাঠি দিয়ে প্রহর করলে পাতাল থেকে তার প্রাণ রক্ষা করবে।
15 সন্তান আমার, তোমার হৃদয় যদি প্রজ্ঞাময় হয়, তবে আমারও হৃদয় আনন্দিত হবে;
16 বাস্তবিক আমার সর্বাঙ্গই উল্লসিত হবে, যখন তোমার ওষ্ঠ ন্যায় বাণী উচ্চারণ করবে।
17 তোমার হৃদয় পাপীদের হিংসা না করুক, কিন্তু অনুক্ষণ প্রভুভয়ে নিষ্ঠাবান হোক,
18 কেননা এভাবে তোমার একটা ভবিষ্যৎ থাকবে, আর তোমার আশা ছিন্ন হবে না।
19 শোন, সন্তান আমার ; প্রজ্ঞাবান হও, তোমার হৃদয় সৎপথে চালিত কর।
20 যারা শুধু শুধু আঙুররসে মত্ত হয়, তাদের সঙ্গী হয়ো না, যারা পেটুক ও মাংস বেশি পছন্দ করে, তাদেরও সঙ্গী হয়ো না,
21 কেননা মাতাল ও পেটুকের শেষ দশাই দীনতা, আর ঘুম ঘুম ভাব মানুষকে ছেঁড়া কাপড় পরায়।
22 তোমার জন্মদাতা যিনি, তোমার সেই পিতার কথা শোন, তোমার মাতা বৃদ্ধা হলে তাঁকে অবজ্ঞা করো না।
23 প্রকৃত সত্যকে উপার্জন কর, তা কখনও বিক্রি করো না : তা হল প্রজ্ঞা, শিক্ষাবাণী ও সদ্বিবেচনা।
24 ধার্মিকের পিতা মহা উল্লাসে মেতে উঠবেন, প্রজ্ঞাবান সন্তানের জন্মদাতা তার সেই সন্তানে আনন্দ ভোগ করবেন।
25 তোমার পিতামাতা আনন্দ ভোগ করুন, তোমার জননী উল্লাসে মেতে উঠুন।
26 সন্তান আমার, তোমার আস্থা আমার উপর স্থাপন কর, তোমার চোখ আমার সমস্ত পথে নিবদ্ধ থাকুক।
27 কেননা বেশ্যা গভীর একটা গহ্বর, বিজাতীয়া স্ত্রীলোক সঙ্কীর্ণ একটা কুয়ো।
28 সে দস্যুর মত ওত পেতে থাকে, মানুষদের মধ্যে অবিশ্বস্তদের দলের সংখ্যা বাড়ায়।
29 কারা হায় হায় করে? কারা হাহাকার করে? কারা ঝগড়া করে? কারা বকবক করে ? কারা অকারণে মার খায়? কাদের চোখ বিবর্ হয়?
30 তারা, যারা আঙুররসের পিছনে বেশি সময় কাটায় ও সুরা খেয়ে দেখবার জন্য তার খোঁজে বেড়ায়।
31 আঙুররস রক্তলাল হলেও তার দিকে তাকিয়ো না, তা পাত্রে চকমক করলেও নয়, তা গলায় সহজে নেমে গেলেও নয়।
32 শেষে তা তোমাকে সাপের মত কামড়াবে, বিষাক্ত সাপের মত কামড় দেবে।
33 আর তখন তোমার চোখ অদ্ভুত দৃশ্য দেখবে, তোমার মন এলোমেলো কথা বলবে ;
34 আর তোমার মনে হবে, তুমি সমুদ্র-গভীরে শুয়ে আছ, কিংবা মাস্কুলের উপরেই শুয়ে ঘুমাচ্ছ!
35 তুমি বলবে : ‘ওরা আমাকে আঘাত করেছে, অথচ ব্যথা পাইনি; আমাকে লাঠি দিয়ে মেরেছে, কিন্তু কিছুই টের পাইনি। কখন আমি জেগে উঠব, যেন আরও আঙুররসের খোঁজে যাই?'