Index

প্রবচন - Chapter 13

1 প্রজ্ঞাবান সন্তান পিতার শাসনের ফল ; বিদ্রূপকারী ভর্ৎসনা শোনে না।
2 নিজের মুখের ফলে মানুষ মঙ্গল ভোগ করে ; অবিশ্বস্তদের প্রাণ অত্যাচারে তৃপ্তি পায়।
3 নিজের মুখের উপরে যে সতর্ক দৃষ্টি রাখে, সে নিজের প্রাণ রক্ষা করে; যে কেউ ওষ্ঠ বেশি খুলে দেয়, তার সর্বনাশ অবশ্যম্ভাবী।
4 অলসের প্রাণ অর্থললুপ, কিন্তু কিছুই পায় না ; পরিশ্রমীদের প্রাণ পরিতৃপ্ত হয়।
5 ধার্মিক মিথ্যাকথা ঘৃণা করে; কিন্তু দুর্জন পরনিন্দা ও দুর্নাম রটিয়ে বেড়ায়।
6 যার আচরণ নিখুঁত, ধর্মময়তা তাকে রক্ষা করে পাপ দুর্জনের সর্বনাশ ঘটায়।
7 কেউ আছে যে ধনবান হওয়ার ভান করে, কিন্তু তার কিছু নেই; আর কেউ আছে যে ধনশূন্য হওয়ার ভান করে, কিন্তু তার আছে মহাধন।
8 মানুষের ধন তার প্রাণের মুক্তিমূল্য : কিন্তু দরিদ্রকে কোন হুমকি শুনতে হবে না।
9 ধার্মিকের আলো আনন্দদায়ী। দুর্জনদের প্রদীপ নিভে যায়।
10 দন্তে কেবল ঝগড়া-বিবাদের উদ্ভব হয় ; যারা পরামর্শ শোনে, তাদেরই কাছে প্রজ্ঞা বিরাজিত।
11 একনিমেষে অর্জিত ধন ক্ষয় হয় ; আস্তে আস্তে যে সঞ্চয় করে, তার ধন বৃদ্ধি পায়।
12 বিলম্বিত প্রত্যাশা হৃদয় পীড়িত করে; মনোবাঞ্ছার সিদ্ধি জীবনবৃক্ষ স্বরূপ।
13 বাণীকে যে তুচ্ছ করে, সে নিজের সর্বনাশ ঘটায় আজ্ঞা যে মেনে চলে, সে পুরস্কার পাবে।
14 প্রজ্ঞাবানের নির্দেশবাণী জীবনের উৎস তা মৃত্যুর ফাঁদ এড়াবার পথ।
15 পাকা বুদ্ধি অনুগ্রহ জয় করে ; কিন্তু অবিশ্বস্তদের পথ রূঢ় পথ।
16 যে কেউ সতর্ক, সে জেনে শুনেই কাজ করে; নির্বোধ নিজের মূর্খতা প্রকাশ করে।
17 দুর্জন দ্রুত অনিষ্ট ঘটায়: বিশ্বস্ত দূত স্বাস্থ্যস্বরূপ।
18 শাসন যে অমান্য করে, সে দরিদ্রতা ও লজ্জা পাবে; ভর্ৎসনা যে মান্য করে, সে সমাদৃত হবে।
19 বাসনার সিদ্ধি প্রাণে মধুর লাগে; অন্যায় থেকে সরে যাওয়া নির্বোধের কাছে জঘন্য কাজ।
20 প্রজ্ঞাবানদের সহচর হও, নিজেই প্রজ্ঞাবান হবে ; যে নির্বোধদের বন্ধু, সে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
21 অমঙ্গল পাপীদের পিছনে ধাওয়া করে; কিন্তু সমৃদ্ধিই হবে ধার্মিকদের পুরস্কার।
22 সৎমানুষ সন্তানসন্ততিদের জন্য উত্তরাধিকার রেখে যায়; পাপীর ধন ধার্মিকদের জন্যই সঞ্চিত।
23 দরিদ্রদের ভূমির আল অন্নে পরিপূর্ণ : কিন্তু এমন কেউ আছে, যে ন্যায়ের অভাবে মরে।
24 লাঠি যে কম ব্যবহার করে, সে সন্তানকে ঘৃণা করে ; কিন্তু তাকে যে ভালবাসে, সে তাকে শাসন করতে তৎপর।
25 ধার্মিক তৃপ্তি সহকারেই খায় ; দুর্জনদের উদর শূন্য থাকে।