Index

Wisdom - Chapter 6

1 শোন, রাজারা, বুঝতে চেষ্টা কর ; সারা পৃথিবীর অধিপতিরা, উদ্বুদ্ধ হও।
2 কান পেতে শোন তোমরা সকলে, যারা অগণিত মানুষের শাসক, তোমাদের প্রজাদের বিপুল সংখ্যায় যারা তত গর্বিত !
3 কেননা তোমাদের শাসনক্ষমতা প্রভু থেকেই আগত, তোমাদের প্রতাপও সেই পরাৎপর থেকে আগত, যিনি তোমাদের সমস্ত কর্ম তন্ন তন্ন করে পরীক্ষা করবেন, তোমাদের যত অভিপ্রায় তলিয়ে দেখবেন ;
4 অতএব, তাঁর রাজ্যের সেবক হয়ে যদি তোমরা ন্যায্যভাবে শাসন করে না থাক, বিধানও যদি পালন করে না থাক, ঈশ্বরের ইচ্ছা অনুসারেও যদি আচরণ করে না থাক,
5 তবে তিনি ভয়াবহভাবে তোমাদের সামনে অকস্মাৎ রুখে দাঁড়াবেন, কারণ যারা উচ্চতে থাকে, তাদের বিরুদ্ধে বিচার কঠিন ;
6 নিম্ন পর্যায়ের মানুষ দয়ার যোগ্য, কিন্তু প্রতাপশালীরা কঠোরভাবে পরীক্ষিত হবে।
7 বিশ্বপ্রভু তো কারও সামনে পিছটান দেন না, মহত্ত্বের সামনেও তিনি সঙ্কুচিত হন না, কারণ তিনি ছোটকেও গড়েছেন, বড়কেও গড়েছেন, তাই সকলের প্রতি সমান যত্ন দেখান।
8 কিন্তু তবুও প্রতাপশালীদের জন্য কঠিন পরীক্ষা অপেক্ষা করছে।
9 সুতরাং, হে রাজনেতা সকল, আমার বাণী তোমাদেরই লক্ষ করে, যেন প্রজ্ঞার শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ হয়ে তোমাদের পতন না ঘটে।
10 যে কেউ পবিত্র বিষয় পবিত্রতার সঙ্গে পালন করে, সে পবিত্র বলে গণ্য হবে, যে কেউ সেগুলো শিখে উদ্বুদ্ধ হয়েছে, সেগুলোতেই সে আত্মপক্ষসমর্থন পাবে।
11 অতএব আমার বাণীর আকাঙ্ক্ষী হও, সেই বাণী বাসনা কর, তবে উদ্বুদ্ধ হয়ে উঠবে।
12 প্রজ্ঞা উজ্জ্বল, কখনও ম্লান হয় না। প্রজ্ঞাকে যে ভালবাসে, সে সহজেই পায় তার দর্শন, তার সন্ধান যে করে, সে সহজেই পায় তার সন্ধান।
13 নিজেকে জ্ঞাত করতে প্রজ্ঞা নিজেই আপন আকাঙ্ক্ষীদের কাছে আসে।
14 তার জন্য যে কেউ সকালে সকালে ওঠে, তার কোন কষ্ট হবে না, সে বরং দরজায় এসে দেখবে, প্রজ্ঞা সেখানে আসীন।
15 প্রজ্ঞা ধ্যানে নিবিষ্ট থাকা, এ তো সিদ্ধ সদ্বিবেচনার প্রমাণ, তার জন্য যে জাগ্রত থাকে, সে হঠাৎ নিরুদ্বিগ্ন হয়ে উঠবে।
16 যারা তাকে পাবার যোগ্য, তাদের সন্ধানে সে নিজেই বেরিয়ে পড়ে, মঙ্গলভাব দেখিয়ে সে রাস্তা-ঘাটে তাদের কাছে দেখা দেয়, সমস্ত মঙ্গলময়তা দেখিয়ে তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এগিয়ে আসে।
17 উদ্বুদ্ধ হওয়ার সরল আকাঙ্ক্ষা, এ প্রজ্ঞালাভের সূচনা; উদ্বুদ্ধ হতে যত্নশীল হওয়া, এ প্রজ্ঞার প্রতি ভালবাসা ;
18 তার বিধিনিয়ম পালনেই সেই ভালবাসার প্রকাশ, বিধিনিয়মের প্রতি সম্মানেই অক্ষয়শীলতার নিশ্চিত পণ ;
19 এবং অক্ষয়শীলতা ঈশ্বরের সান্নিধ্য দান করে;
20 ফলে প্রজ্ঞালাভের আকাঙ্ক্ষা রাজ্যের দিকে চালিত করে।
21 অতএব, হে জাতিগুলির রাজনেতারা, যদি রাজাসনে ও রাজদণ্ডেই তোমরা প্রীত, প্রজ্ঞাকে সম্মান কর; তবে রাজত্ব করতে পারবে চিরকাল ধরে।
22 প্রজ্ঞা যে কী, তার উদ্ভব কেমন, আমি এখন একথা ব্যাখ্যা করব : তার নিগূঢ় রহস্য তোমাদের কাছে গোপন রাখব না, বরং তার উৎপত্তি থেকেই তার পাদচিহ্ন পালন করে আসব, তার পরিচয় সুস্পষ্টই করে তুলব, সত্য থেকে সরব না।
23 গ্রাসকারী সেই হিংসা আমার সহচর হবে না, প্রজ্ঞার সঙ্গে হিংসার তো কোন সম্বন্ধ নেই।
24 প্রজ্ঞাবানের বিপুল সংখ্যাই জগতের পরিত্রাণ, সুবিবেচক রাজাই তাঁর আপন জাতির নিরাপত্তার সার।
25 তাই তোমরা আমার বাণী দ্বারা উদ্বুদ্ধ হয়ে ওঠ; তোমাদের লাভ নিশ্চিত।