1 তোমরা, পৃথিবীতে শাসনকর্তা যারা, ধর্মনীতি ভালবাস, প্রভুর সম্বন্ধে সুচিন্তা পোষণ কর, সরল অন্তরে তাঁর অন্বেষণ কর।
2 যারা তাঁকে যাচাই করে না, তাদেরই দ্বারা তিনি নিজেকে অনুসন্ধান পেতে দেন ; যারা তাঁকে বিশ্বাস করতে অস্বীকার করে না, তাদেরই কাছে তিনি দেখা দেন।
3 কুটিল চিন্তা মানুষকে ঈশ্বরের কাছ থেকে দূরে সরিয়ে দেয় ; তাকে যাচাই করলে সর্বশক্তি নির্বোধকে দূর করে দেয়।
4 প্রজ্ঞা অপকর্মার প্রাণে কখনও প্রবেশ করবে না, পাপের অধীন দেহের মধ্যেও কখনও বসতি করবে না,
5 কারণ উদ্বোধক সেই পবিত্র আত্মা ছলনা থেকে নিজেকে দূরে রাখেন, অবোধ কথন থেকেও দূরে থাকেন, অন্যায়-অধর্ম দেখা দিলেই তিনি সঙ্কুচিত হয়ে পড়েন।
6 প্রজ্ঞা এমন আত্মা, মানুষের প্রতি বন্ধুসুলভ যার ভাব, কিন্তু নিজের ওষ্ঠে যে ঈশ্বরনিন্দা করে, প্রজ্ঞা তাকে রেহাই দেবে না, কেননা ঈশ্বর মানুষের ভাবগতির প্রত্যক্ষ সাক্ষী, তার হৃদয়ের সূক্ষ্মদর্শী, তার সমস্ত কথার শ্রোতা।
7 বস্তুত বিশ্বজগৎ প্রভুর আত্মায় পরিপূর্ণ, সেই আত্মা সমস্ত কিছু একতাবদ্ধ রাখেন, উচ্চারিত সমস্ত কথা জানেন।
8 এজন্য যে কেউ অন্যায় কথা বলে, সে তাঁর অগোচর হবে না, প্রতিফলদাতা সেই ন্যায্যতা তাকে রেহাই দেবে না।
9 হ্যাঁ, ভক্তিহীনের সঙ্কল্প সূক্ষ্মভাবে পরীক্ষিত হবে, তার সমস্ত কথা প্রভুর কান পর্যন্ত পৌঁছবে, তখন তার সমস্ত অন্যায়ের দণ্ড হবে।
10 সূক্ষ্মতম এমন এক কান আছে, যা সবকিছুই শোনে, বিড়বিড়ানির মর্মরধ্বনিও তার অশ্রুত থাকে না।
11 তাই তোমরা অসার বিড়বিড়ানি বিষয়ে সতর্ক থাক, পরনিন্দা থেকে জিহ্বা বিরত রাখ, কারণ গোপনে উচ্চারিত একটা কথাও নিষ্ফল হবে না, এবং মিথ্যাবাদী মুখ প্রাণের মৃত্যু ঘটায়।
12 তোমাদের জীবনের ভুলভ্রান্তিতে মৃত্যুকে উত্তেজিত করো না, তোমাদের হাতের কর্মে নিজেদের উপরে বিনাশ ডেকে এনো না,
13 কেননা ঈশ্বর মৃত্যুকে গড়েননি, জীবিতদের বিনাশেও তিনি প্রীত নন।
14 আসলে তিনি জীবনকেই উদ্দেশ্য করে সবকিছু সৃষ্টি করলেন। পৃথিবীর যত প্রাণী, সবই তো সুস্থ ; তাদের মধ্যে নেই মৃত্যুর বিষ, পৃথিবীর উপরে পাতালেরও রাজত্ব নেই,
15 কেননা ধর্মময়তা অমর।
16 কিন্তু ভক্তিহীনেরা তাদের কথা-কর্মে নিজেদের উপরে মৃত্যুকে ডাকে, তাকে বন্ধু মনে করে তারা তার জন্য নিজেদের উজাড় করে দেয় তার সঙ্গে তারা চুক্তি করে, তারা যে তারই অধিকার হবার যোগ্য!