Index

Wisdom - Chapter 11

1 পবিত্র এক নবীর মধ্য দিয়ে সে তাদের কর্ম সাফল্যমণ্ডিত করল :
2 তারা জনশূন্য প্রাস্তর পার হয়ে অগম্য মরুভূমিতে তাঁবু বসাল।
3 বিরোধীদের সামনে দৃঢ়তার সঙ্গে দাঁড়াল, শত্রুদের দূরে রাখল।
4 পিপাসিত হলে তারা তোমাকেই ডাকল, তখন খাড়া শৈল থেকে তাদের জল দেওয়া হল, হ্যাঁ, কঠিন এক পাথর থেকে নির্গত হল তাদের পিপাসার প্রতিকার।
5 তাতে যা কিছু হয়েছিল তাদের শত্রুদের শাস্তি দেওয়ার উপায়, প্রয়োজনের দিনে তা তাদের জন্য হল উপকার।
6 সনাতন নদীর জলস্রোতের পরিবর্তে, যা রক্ত ও কাদায় কলুষিত হয়ে গেছিল
7 শিশুহত্যা-রাজাজ্ঞার শান্তিরূপে, তুমি—প্রত্যাশার অতীতে তাদের মঞ্জুর করলে প্রচুর জল,
8 ও তাদের সেই দিনগুলির পিপাসার মধ্য দিয়ে তুমি দেখালে তাদের বিপক্ষদের কেমন কঠোর শাস্তি দেওয়া হল।
9 বস্তুত একবার পরীক্ষিত হলে— যদিও এমন শাস্তি ভোগ করল যা দয়ায় পূর্ণ—তারা বুঝতে পারল কেমন ক্রোধপূর্ণ বিচারেই না যন্ত্রণা ভোগ করল সেই ভক্তিহীন সকল,
10 কেননা এদের তুমি সেইভাবে পরীক্ষা করলে পিতা যেভাবে সংশোধন করেন, কিন্তু ওদের তুমি সেইভাবে শাস্তি দিলে নির্দয় রাজা যেভাবে দণ্ড দেন।
11 দূরে ছিল কি কাছে ছিল, তারা সবসময়ই ছিল ক্লেশের মধ্যে,
12 কেননা দ্বিগুণ যন্ত্রণা তাদের ধরল, এবং অতীতের স্মরণে ক্রন্দন :
13 হ্যাঁ, তারা যখন জানল যে, তাদের শাস্তি থেকে অন্যেরা পাচ্ছিল উপকার, তখন প্রভুকে উপলব্ধি করল।
14 কেননা যাঁকে তারা একসময় বাইরে ফেলে রেখেছিল ও পরবর্তীকালে বিদ্রূপের সঙ্গে প্রত্যাখ্যান করেছিল, সব ঘটনার শেষে, এমন পিপাসা ভোগ ক’রে যা ধার্মিকদের পিপাসা থেকে সম্পূর্ণরূপে ভিন্ন, তারা তাঁর প্রতি কেবল সম্মান পোষণ করল।
15 তাদের অধর্মের সেই অসার যুক্তির কারণে, যা বুদ্ধিহীন সরিসৃপ ও নীচ পোকা পূজা করতে তাদের ভ্রষ্ট করেছিল, তুমি শান্তিরূপে তাদের বিরুদ্ধে পাঠালে বুদ্ধিহীন পশুর অরণ্য,
16 তারা যেন বোঝে যে, যা দ্বারা মানুষ পাপ করে, তা দ্বারা মানুষ শাস্তি পায়।
17 নিশ্চয়, ঘোর বস্তু থেকে বিশ্বকে যা সৃষ্টি করেছিল, তোমার সেই সর্বশক্তিশালী হাতের পক্ষে কোন অসুবিধা ছিল না যে, তাদের বিরুদ্ধে ভালুক ও হিংস্র সিংহের বিরাট দল পাঠাবে,
18 কিংবা নবসৃষ্ট এমন অজানা জন্তুও পাঠাবে, যা ছিল ক্রোধে পূর্ণ, যা ছড়াত অগ্নিময় নিশ্বাস, বা ছাড়ত দুর্গন্ধময় ধোঁয়া, বা চোখ থেকে ঝলকিয়ে তুলত ভয়ঙ্কর অগ্নিশিখা :
19 এসব এমন জন্তু, যাদের আক্রমণ তাদের নিশ্চিহ্ন করবে শুধু নয়, যাদের ভয়ঙ্কর চেহারাও ছিল তাদের সংহার করতে সক্ষম।
20 এ ছাড়াও তারা এক ফুৎকার দ্বারা বিনষ্ট হতে পারত, ন্যায় দ্বারা তাড়িত হয়ে, তোমার পরাক্রান্ত আত্মা দ্বারা বিক্ষিপ্ত হয়ে কিন্তু তুমি পরিমাপ, সূক্ষ্ম হিসাব ও ওজন অনুসারে সমস্ত কিছু ব্যবস্থা করলে।
21 বল প্রয়োগে জয়ী হওয়া তোমার পক্ষে সততই সাধ্য; তোমার বাহুর প্রতাপ কেইবা প্রতিরোধ করতে পারবে?
22 তোমার সামনে সমগ্র জগৎ তো তুলাদণ্ডে ধুলারই মত, মাটিতে পড়া প্রাতঃকালীন শিশির-বিন্দুর মত।
23 অথচ তুমি সকলের প্রতি দয়াময়, কারণ তোমার পক্ষে সবই সাধ্য ; তুমি মানুষের পাপ দেখেও দেখ না, সে যেন অনুতাপ করে।
24 কেননা যা কিছু আছে, তুমি সেইসব ভালবাস ; যা কিছু গড়েছ, সেগুলোর তুমি কিছুই ঘৃণা কর না ; যেহেতু কোন কিছুর প্রতি যদি তোমার ঘৃণা থাকত, তা তুমি গড়তে না!
25 তুমি ইচ্ছা না করলে কেমন করেই বা কোন কিছুর অস্তিত্ব থাকতে পারবে? অস্তিত্বের উদ্দেশে তোমার আহ্বান না থাকলে তা কেমন করেই বা বেঁচে থাকবে ?
26 তুমি বরং সব কিছু বাঁচাও, কারণ, হে জীবনপ্রেমী প্রভু, সবই তোমার ;