1 জগতের পিতাকে যখন প্রথম গড়া হয়, তখন তাকে প্রজ্ঞাই রক্ষা করল, ও তার পতন থেকে প্রজ্ঞাই তাকে উদ্ধার করল,
2 আর সেইসঙ্গে তাকে সমস্ত কিছুর উপরে কর্তৃত্ব করার শক্তি দিল।
3 কিন্তু অধর্মময় একজন যখন নিজ ক্রোধে প্রজ্ঞাকে ত্যাগ করল, তখন নিজ ভ্রাতৃঘাতী রোষে বিনষ্ট হল।
4 তার কারণে যখন পৃথিবী জলে ডুবে গেল, তখন আবার প্রজ্ঞাই তা পরিত্রাণ করল, সে সেই ধার্মিককে সামান্য একটা কাষ্ঠের মধ্য দিয়ে চালিত করল।
5 অপকর্মে পরস্পর সহযোগিতার ফলে সমস্ত জাতি যখন এলোমেলো অবস্থায় নিক্ষিপ্ত হয়েছিল, প্রজ্ঞাই তখন সেই ধার্মিককে চিনল, ঈশ্বরের সামনে তাকে কলঙ্কমুক্ত করে রাখল, ও সন্তানের প্রতি তার মমতা সত্ত্বেও তাকে দৃঢ়মনা করে তুলল।
6 সেই ভক্তিহীনদের বিনাশ ঘটতে ঘটতে সে তখন সেই ধার্মিককে নিস্তার করল, যখন সে সেই পাঁচ শহরের উপরে পড়া আগুন থেকে পালিয়ে যাচ্ছিল।
7 সেই অপকর্মের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যরূপে এখনও এমন দেশ রয়েছে, যা উৎসন্ন, ধূমায়মান দেশ, সেই দেশের গাছ এমন ফল উৎপন্ন করে, যা কখনও পাকে না ; অবিশ্বাসী একটা প্রাণের স্মৃতিচিহ্ন রূপে সেখানে লবণের একটা স্তম্ভও দাঁড়ায়।
8 কেননা প্রজ্ঞার পথ ত্যাগ করার ফলে তারা যে শুধু মঙ্গল না জানবার ক্ষতি ভোগ করল এমন নয়, জীবিতদের কাছে নির্বুদ্ধিতার একটা স্মৃতিচিহ্নও রেখে গেল, যেন তাদের অপরাধ গুপ্ত না থাকে।
9 কিন্তু প্রজ্ঞা তার আপন ভক্তদের যত সঙ্কট থেকে নিস্তার করল।
10 সেই ধার্মিক মানুষ আপন ভাইয়ের ক্রোধ থেকে পলাতক হওয়ার সময়ে প্রজ্ঞা তাকে ন্যায় পথে চালনা করল, তাকে দেখাল ঈশ্বরের রাজ্য, তাকে দিল পবিত্র যত বিষয়ের জ্ঞান, তার পরিশ্রমে তাকে সফলতা দিল, বাড়িয়ে দিল তার শ্রমের ফল ;
11 তার বিরোধীদের কৃপণতার বিরুদ্ধে সে তার পাশে দাঁড়াল, তাকে ধনবান করে তুলল :
12 শত্রুদের হাত থেকে তাকে রেহাই দিল, সেই শত্রুদের পাতা ফাঁদ থেকে তাকে রক্ষা করল, কঠোর লড়াইতে তাকে জয়ভূষিত করল, যেন সে একথা জানতে পারে যে, সমস্ত কিছুর চেয়ে ধর্মময়তাই শক্তিশালী।
13 সে সেই বিক্রীত ধার্মিককে একা ফেলে রাখল না, বরং পাপ থেকে তাকে নিস্তার করল ;
14 তার সঙ্গে সেও সেই গহ্বরে নেমে গেল, তার শৃঙ্খলিত অবস্থায় তাকে একা ফেলে রাখল না, যতদিন না তার জন্য একটা রাজদণ্ড ও তার বিরোধীদের উপরে কর্তৃত্বও এনে দিল ; তাতে তার অভিযোক্তাদের মিথ্যাবাদী বলে প্রমাণিত করল আর তাকে দিল চিরন্তন গৌরব।
15 প্রজ্ঞাই পুণ্য একটি জনগণকে, কলঙ্কমুক্তই এক বংশকে অত্যাচারী এক দেশ থেকে নিস্তার করল।
16 প্রভুর এক সেবকের প্রাণে প্রবেশ ক'রে সে নানা অলৌকিক লক্ষণ ও চিহ্নকর্ম দ্বারা ভয়ঙ্কর রাজাদের প্রতিরোধ করল।
17 পুণ্যজনদের তাদের পরিশ্রমের মজুরি দিল, অপরূপ এক পথ দিয়ে তাদের চালনা করল, দিনমানে সে হল তাদের আশ্রয়, রাত্রিবেলায় তারকারাজির আলো ;
18 বিশাল জলরাশির মধ্য দিয়ে তাদের চালনা ক'রে লোহিত সাগর পার করাল তাদের,
19 কিন্তু তাদের শত্রুদের নিমজ্জিত ক'রে অতলের গভীর থেকে তাদের উদ্গিরণ করল।
20 তাই ধার্মিকেরা ভক্তিহীনদের সম্পদ লুট করে নিল, এবং তোমার পবিত্র নাম বন্দনা করল, প্রভু; একসুরে করল তোমার রক্ষাকারী হাতের প্রশংসাগান,
21 প্রজ্ঞাই যে বোবার মুখ খুলে দিল, শিশুর জিহ্বা বাক্পটু করল।