1 কিন্তু ধার্মিকদের প্রাণ ঈশ্বরেরই হাতে, কোন যন্ত্রণা তাদের স্পর্শ করবে না।
2 নির্বোধের দৃষ্টিতে দেখা দিয়েছিল তারা মৃত যেন, তাদের শেষ যাত্রা দুর্ঘটনা বলে গণ্য হল ;
3 আমাদের কাছ থেকে তাদের প্রস্থান বিনাশ বলে গণ্য হল, অথচ তারা শান্তিতেই বিরাজ করে।
4 যদিও মানুষের দৃষ্টিতে তারা শাস্তি ভোগ করে, তবুও তাদের আশা অমরত্বেই পরিপূর্ণ।
5 সামান্য দণ্ডের বিনিময়ে মহান হবে তাদের আশিস, কারণ ঈশ্বর পরীক্ষা করে দেখলেন, তাঁর নিজের সঙ্গে থাকবার তারা যোগ্য,
6 হাপরে সোনার মতই তাদের তিনি যাচাই করলেন, যোগ্য আহুতিবলি রূপেই তাদের গ্রহণ করলেন।
7 ঐশপরিদর্শনের সেই দিনে তারা দীপ্তিমান হয়ে উঠবে, খড়ের মধ্যকার স্ফুলিঙ্গই যেন তারা ছুটাছুটি করবে।
8 তারা বিজাতীয়দের বিচার করবে, জাতিসকলের উপর প্রভুত্ব করবে, তাদের উপর প্রভু রাজত্ব করবেন চিরকাল ধরে।
9 যারা তাঁর উপর ভরসা রাখে, তারা সত্যকে উপলব্ধি করবে, যারা বিশ্বস্ত, তারা তাঁর সঙ্গে ভালবাসায়ই জীবন যাপন করবে, কারণ তাঁর মনোনীতদের জন্য অনুগ্রহ ও দয়া সঞ্চিত আছে।
10 কিন্তু ভক্তিহীনেরা তাদের ভাবনার জন্য শাস্তি পাবে, কারণ তারা ধার্মিককে তুচ্ছ করেছে, প্রভুকে ত্যাগ করেছে।
11 হ্যাঁ, দুর্ভাগাই তারা, যারা প্রজ্ঞা ও শাসন অবজ্ঞা করে, তাদের প্রত্যাশা শূন্য, তাদের পরিশ্রম বৃথা, তাদের যত কর্ম ফলহীন।
12 তাদের বন্ধুরা নির্বোধ, তাদের সন্তানেরা ধূর্ত, তাদের বংশধরেরা অভিশপ্ত।
13 সুখী সেই বন্ধ্যা, যার কলুষ হয়নি, পাপময় শয্যা যে জানেনি; প্রাণদের পরিদর্শনের সেই দিনে সে তার আপন ফল পাবে।
14 সুখী সেই নংপুরুষ, যার হাত অপকর্ম করেনি, প্রভুর বিরুদ্ধে অসন্তোষ যার অন্তরে স্থান পায়নি ; তার বিশ্বস্ততার জন্য সে বিশেষ অনুগ্রহের পাত্র হবে, প্রভুর মন্দিরে তার থাকবে অধিক আকাঙ্ক্ষণীয় অংশের অধিকার।
15 কেননা সৎকর্মের ফল গৌরবময়, অক্ষয়ই সম্বিবেচনার মুল!
16 ব্যভিচারীদের সন্তানেরা বয়ঃপ্রাপ্ত হবে না, অবৈধ মিলনের বংশ নিশ্চিহ্ন হবে।
17 দীর্ঘায়ু হলেও তারা শূন্যতা বলে গণ্য হবে, শেষে তাদের বার্ধক্য হবে সম্মান-রহিত।
18 আর যদিও আগে আগে তাদের মৃত্যু হয়, তাদের কোন আশা থাকবে না, বিচারের দিনে সান্ত্বনাও তাদের থাকবে না,
19 কারণ অপকর্মাদের বংশের শেষ পরিণাম ভয়ঙ্কর!