Index

Wisdom - Chapter 15

1 কিন্তু তুমি, হে আমাদের ঈশ্বর, তুমি তো মঙ্গলময় ও বিশ্বস্ত, তুমি ধৈর্যশীল, তুমি দয়া অনুসারে সবকিছু শাসন কর।
2 যদিও পাপ করি, তবু আমরা তোমারই, যেহেতু তোমার প্রতাপ স্বীকার করি; কিন্তু পাপ করব না একথা জেনে যে, আমরা তোমারই বলে গণ্য।
3 বস্তুত, তোমাকে জানা-ই সিদ্ধ ধর্মময়তা, তোমার প্রতাপ স্বীকার করা-ই অমরত্বের মূল।
4 জঘন্য শিল্পের কোন মানব-আবিষ্কার আমাদের পথভ্রান্ত করেনি, চিত্রকরের নিষ্ফল পরিশ্রমও নয় – তা তো নানা রঙে বিকৃত প্রতিকৃতিমাত্র,
5 যার দৃশ্য নির্বোধের অন্তরে বাসনা জাগায়, মৃত প্রতিমূর্তির প্রাণহীন রূপের প্রতি আকাঙ্ক্ষাই সৃষ্টি করে।
6 তারাই অনিষ্টপ্রেমী ও তেমন অসার প্রত্যাশার যোগ্য, যারা দেবমূর্তি তৈরি করে, আকাঙ্ক্ষা করে ও পূজা করে।
7 কুমোরের কথা ধর; সে পরিশ্রম করে নরম মাটি মাখে, আমাদের ব্যবহারের জন্য যত রকম পাত্র গড়ে : একই ভিজা মাটি দিয়ে সে এমন পাত্র গড়ে, যা উত্তম ব্যবহারের জন্য স্থিরীকৃত, এমন পাত্রও গড়ে, যা বিপরীত ব্যবহারে নির্ধারিত পদ্ধতি এক! কিন্তু এক একটা পাত্র যে কোন্ ব্যবহারে নিরূপিত, তা কুমোরই স্থির করে।
8 পরে—আহা কী ঘৃণ্য শ্ৰম ! একই মাটি থেকে সে অসার দেবমূর্তি গড়ে, অথচ সে নিজেই অল্পকাল আগেই মাটি থেকে জন্ম নিল আর অল্পকাল পরে সে, যা থেকে উদ্গত হয়েছে, সেই মাটিতে ফিরে যাবে, যখন তার কাছ থেকে তার প্রাণের কৈফিয়ত চাওয়া হবে।
9 কিন্তু তবুও, তাকে যে মরতে হবে, কিংবা, তার জীবন যে অল্পকালব্যাপী, তাতে তার কোন দুশ্চিন্তা হয় না ; এমনকি, স্বর্ণকার ও রুপোকারদের সঙ্গে সে প্রতিযোগিতাই করে ব্রঞ্জের শিল্পকারদের কাজ অনুকরণ করে ; অসার বস্তু গড়া—এ তার গর্ব !
10 তার হৃদয় হাইমাত্র, তার আশা মাটির চেয়েও নীচতর, তার জীবন ভিজা মাটির চেয়েও নগণ্য,
11 কারণ যিনি তাকে গড়লেন, তার অন্তরে ক্রিয়াশীল প্রাণ সঞ্চার করলেন, তার মধ্যে জীবন্ত আত্মা প্রবিষ্ট করলেন, সে তাঁর ধারণা বিকৃত করেছে।
12 আর শুধু তা নয়, আমাদের এই জীবন তার কাছে লীলার ব্যাপারই যেন, আমাদের জীবনকাল লাভজনক মেলামাত্র। সে বলে: ‘সবকিছু থেকে, অনিষ্ট থেকেও লাভ বের করা চাই!'
13 সকলের চেয়ে এ-ই ভাল জানে যে, তার কর্ম পাপময়, কেননা মর্ত মাল দিয়ে পাত্র ও দেবমূর্তি উভয় তৈরি করে।
14 কিন্তু তারাই সবচেয়ে নির্বোধ, তাদেরই অবস্থা শিশুর প্রাণের চেয়েও শোচনীয় যারা তোমার জনগণের শত্রু হয়ে তাকে অত্যাচার করল।
15 তারা বিজাতীয়দের সেই দেবমূর্তিগুলি ঈশ্বর বলে গণ্য করল, দেখবার মত যেগুলির চোখও নেই নিশ্বাস নেবার মত নাসিকাও নেই, শুনবার মত কানও নেই, ছোঁবার মত হাতের আঙুলও নেই, যেগুলির পা হাঁটতে অক্ষম।
16 একজন মানুষ সেগুলিকে তৈরি করেছে, ধার করে নেওয়াই যার প্রাণবায়ু, এমন প্রাণীই সেগুলিকে গড়েছে। কোন মানুষ এমন দেবতাকে গড়তে পারে না, যা তারই সদৃশ;
17 সে মরণশীল হওয়ায় তার অপকর্মপূর্ণ হাত মরা বস্তুই মাত্র জন্মাতে পারে। যে বস্তুগুলিকে সে পূজা করে, তাদের চেয়ে সে নিজেই শ্রেষ্ঠ, সে কমপক্ষে একদিন জীবিতই ছিল, কিন্তু সেগুলি কখনও জীবিত হয়নি।
18 তারা ঘৃণ্যতম এমন পশুদেরও পূজা করে, যেগুলি নির্বুদ্ধিতা ক্ষেত্রে অন্য পশুদের চেয়েও নীচতর,
19 যেগুলির সৌন্দর্যের লেশমাত্র নেই —সৌন্দর্যই পশুদের আকর্ষণীয় করতে পারে— যেগুলি ঈশ্বরের প্রশংসাবাদ ও আশীর্বাদ থেকে বঞ্চিত।