1 প্রভূ মোয়াবের নিম্নভূমিতে যেরিখোর এলাকায় বর্জনের কাছে মোশীকে আরও বললেন,
2 “তুমি ইস্রায়েল সন্তানদের আজ্ঞা দেবে, যেন তারা নিজ নিজ অধিকৃত অংশ থেকে বাস করার জন্য কতগুলো শহর লেবীয়দের দেয়; সকল শহরের সঙ্গে তোমরা চারদিকের চারণভূমিও লেবীয়দের দেবে।
3 সেই সকল শহর হবে আবাস-স্থান, এবং শহরগুলোর চারণভূমি হবে তাদের পশু, সম্পত্তি ও সমস্ত প্রাণীদের জন্য।
4 তোমরা শহরগুলোর যে সকল চারণভূমি লেবীয়দের দেবে, তার পরিমাপ হবে নগরপ্রাচীর থেকে চতুর্দিকে এক হাজার হাত।
5 তোমরা শহরের বাইরে তার পুব সীমানা দু'হাজার হাত, দক্ষিণ সীমানা দু'হাজার হাত, পশ্চিম সীমানা দু'হাজার হাত ও উত্তর সীমানা দু'হাজার হাত পরিমাপ করবে; মধ্যস্থলে শহরটি থাকবে। তাদের জন্য সেটিই হবে তাদের শহরগুলির চারণভূমি।
6 তোমরা লেবীয়দের যে যে শহর দেবে, সেগুলোর মধ্যে ছ'টা হবে আশ্রয়-নগর; সেগুলো তোমরা নিরূপণ করবে, যেন সেইখানে গিয়ে নরঘাতক রক্ষা পেতে পারে; এই শহরগুলো ছাড়া তোমরা আরও বিয়াল্লিশটা শহর লেবীয়দের দেবে।
7 সবসমেত আটচল্লিশটা শহর ও সেগুলোর চারণভূমি লেবীয়দের দেবে।
8 ইস্রায়েল সন্তানদের অধিকার থেকে সেই সকল শহর দিতে গিয়ে তোমরা যাদের বেশি শহর আছে তাদের কাছ থেকে বেশি শহর নেবে, ও যাদের কম শহর আছে, তাদের কাছ থেকে কম শহর নেবে; প্রতিটি গোষ্ঠী তার পাওয়া উত্তরাধিকার অনুপাতেই কতগুলো শহর লেবীয়দের দেবে।
9 প্রভু মোশীকে বললেন,
10 “ইস্রায়েল সন্তানদের কাছে কথা বল; তাদের বল : যখন যদন পার হয়ে কানান দেশে এসে উপস্থিত হবে,
11 তখন কয়েকটা শহর নিরূপণ করবে, যেন সেগুলো তোমাদের আশ্রয়-নগর হয়; যে কেউ পূর্ণ সচেতন না হয়ে কারও প্রাণনাশ করে, এমন নরঘাতক যেন সেখানে গিয়ে রক্ষা পেতে পারে।
12 তাই সেই সকল শহর রক্তের প্রতিফলদাতার হাত থেকে রক্ষা পাবার উদ্দেশ্যে তোমাদের আশ্রয়স্থান হবে, যেন নরঘাতক বিচারের জন্য জনমণ্ডলীর সামনে উপস্থিত হওয়ার আগে মারা না পড়ে।
13 তাই তোমরা যে যে শহর দেবে, সেগুলোর মধ্যে ছ'টা হবে আশ্রয়-নগর।
14 ঘর্দনের পুবপারে তোমরা তিনটে শহর ও কানান দেশে তিনটে শহর দেবে : সেগুলো আশ্রয়-শহর হবে।
15 ইস্রায়েল সন্তানদের জন্য, এবং তাদের মধ্যে প্রবাসী ও বিদেশীর জন্য এই ছ'টা শহর আশ্রয়-নগর হবে, যেন কেউ পূর্ণ সচেতন না হয়ে মানুষকে হত্যা করলে সেখানে গিয়ে রক্ষা পেতে পারে।
16 কিন্তু যদি কেউ লোহার অস্ত্র দিয়েই কাউকে এমন আঘাত করে যে, তার ফলে তার মৃত্যু ঘটে, তবে সেই লোক নরঘাতক : নরঘাতকের প্রাণদণ্ড হবেই।
17 যা দিয়ে মৃত্যু ঘটানো যায়, এমন পাথর হাতে নিয়ে যদি সে কাউকে আঘাত করে, ও তার ফলে তার মৃত্যু হয়, তবে সে নরঘাতক : নরঘাতকের প্রাণদণ্ড হবেই।
18 কিংবা যা দিয়ে মৃত্যু ঘটানো যায়, এমন কোন কাঠের বস্তু হাতে নিয়ে যদি সে কাউকে আঘাত করে, আর তার ফলে তার মৃত্যু হয়, তবে সে নরঘাতক : নরঘাতকের প্রাণদণ্ড হবেই।
19 রক্তের প্রতিফলদাতাই নরঘাতকের মৃত্যু ঘটাবে; তার দেখা পেলেই তাকে বধ করবে।
20 যদি হিংসার বশে কেউ কাউকে ধাক্কা দেয়, কিংবা পূর্বসর নিয়ে তার উপর অস্ত্র ছোড়ে ও তার ফলে তার মৃত্যু হয়,
21 কিংবা শত্রুতা করে যদি কেউ কাউকে নিজের হাতে আঘাত করে ও তার ফলে তার মৃত্যু হয়, তবে যে তাকে আঘাত করেছে, তার প্রাণদণ্ড হবেই; সে নরঘাতক : রক্তের প্রতিফলদাতা তার দেখা পেলেই সেই নরঘাতককে বধ করবে।
22 কিন্তু যদি শত্রুতা ছাড়া হঠাৎ কেউ কাউকে ধাক্কা দেয়, কিংবা পূর্বসঙ্কল্প না করে তার গায়ে অস্ত্র হোড়ে,
23 কিংবা যা দিয়ে মৃত্যু ঘটানো যায়, এমন পাথর কারও উপরে না দেখে ফেলে, আর তার ফলেই তার মৃত্যু হয়, অথচ সে তার শত্রু ছিল না, তার অমঙ্গলও ঘটাবার চেষ্টায় ছিল না,
24 তবে জনমণ্ডলী সেই নরঘাতক ও প্রতিফলদাতার ব্যাপারে এই সকল বিচারমতে বিচার করবে:
25 জনমণ্ডলী রক্তের প্রতিফলদাতার হাত থেকে সেই নরঘাতককে উদ্ধার করবে, এবং সে যেখানে গিয়ে রক্ষা পেয়েছিল, তার সেই আশ্রয়-নগরে জনমণ্ডলী তাকে আবার পৌঁছিয়ে দেবে, আর যে পর্যন্ত পবিত্র তেলে অভিষেকপ্রাপ্ত মহাযাজকের মৃত্যু না হয়, সেপর্যন্ত সে সেই শহরে থাকবে।
26 কিন্তু সেই নরঘাতক যে আশ্রয়-নগরে গিয়ে রক্ষা পেয়েছিল, কোন সময়ে যদি তার সীমার বাইরে যায়,
27 এবং রক্তের প্রতিফলদাতা আশ্রয়-নগরের সীমার বাইরে তাকে পায়, তবে সেই রক্তের প্রতিফলদাতা তাকে বধ করলেও রক্তপাতের অপরাধে অপরাধী হবে না।
28 কেননা মহাযাজকের মৃত্যু পর্যন্ত নিজের আশ্রয়-নগরে থাকাই তার উচিত ছিল; কিন্তু মহাযাজকের মৃত্যু হলে পর সেই নরঘাতক নিজের অধিকার ভূমিতে ফিরে যেতে পারবে।
29 তোমাদের পুরুষানুক্রমে তোমাদের সকল বাসস্থানে এই সমস্ত তোমাদের পক্ষে বিচার-বিধি হবে।
30 যে ব্যক্তি কোন লোককে হত্যা করে, সেই নরঘাতককে সাক্ষীদের কথার ভিত্তিতেই হত্যা করা হবে; কিন্তু কোন লোকের বিরুদ্ধে একজনমাত্র সাক্ষীর সাক্ষ্য ি প্রাণদণ্ডের জন্য গ্রাহ্য হবে না।
31 প্রাণদণ্ডে দণ্ডিত নরঘাতকের প্রাণের জন্য তোমরা কোন মুক্তিমূল্য গ্রহণ করবে না, কেননা তার প্রাণদণ্ড আবশ্যক।
32 যে কেউ নিজের আশ্রয়-নগরে গিয়ে রক্ষা পেয়েছে, সে যেন যাজকের মৃত্যুর আগে আবার দেশে ফিরে গিয়ে বাস করতে পারে, এজন্য তোমরা তার জন্যও কোন মুক্তিমূল্য গ্রহণ করবে না।
33 তোমরা তোমাদের বসতির দেশ অপবিত্র করবে না, কেননা রক্ত দেশকে অপবিত্র করে, এবং সেখানে যে রক্তপাত করে, তার জন্য রক্তপাতীর রক্তপাত ছাড়া দেশের প্রায়শ্চিত্ত হতে পারে না।
34 তোমরা যে দেশ অধিকার করতে যাচ্ছ ও যার মধ্যে আমি নিজে বাস করব, তোমরা তা অশুচি করবে না; কেননা আমি প্রভু, যিনি ইস্রায়েল সন্তানদের মাঝে বসবাস করেন।'