1 প্রভু মোশীকে বললেন,
2 “ইস্রায়েল সন্তানদের বল, যেন তারা আমার জন্য একটা অবদান আলাদা করে রাখে; হৃদয়ের ইচ্ছায় যে নিবেদন করে, তার কাছ থেকেই তোমরা আমার জন্য সেই অবদান গ্রহণ করে নেবে।
3 তাদের কাছ থেকে তোমরা যা গ্রহণ করে নেবে, তা এ সোনা, রুপো ও ব্রঞ্জ ;
4 নীল, বেগুনি ও সিঁদুরে লাল সুতো, এবং শুভ্র ক্ষোম-সুতো ও ছাগলোম ;
5 রক্তলাল করা ভেড়ার চামড়া, সিন্ধুঘোটকের চামড়া ও বাবলা কাঠ ;
6 দীপাধারের জন্য তেল, এবং অভিষেকের তেলের ও সুগন্ধি ধূপের জন্য গন্ধদ্রব্য ;
7 এফোদ ও বুকপাটার জন্য বৈদূর্য মণি ইত্যাদি পাথর, যা খচিত হবে।
8 তারা আমার জন্য একটা পবিত্রধাম নির্মাণ করবে যেন আমি তাদের মাঝে বসবাস করতে পারি।
9 আবাসের ও তার সমস্ত দ্রব্যের যে নমুনা আমি তোমাকে দেখাব, সেই অনুসারেই - তোমরা সবই করবে।'
10 তুমি বাবলা কাঠের একটা মঞ্জুষা তৈরি করবে; তা আড়াই হাত লম্বা, দেড় হাত চওড়া ও দেড় হাত উঁচু হবে;
11 তুমি ভিতর ও বাইরের দিকটা খাঁটি সোনায় মুড়ে দেবে, এবং তার চারদিকে সোনার নিকাল গড়ে দেবে।
12 তার চার পায়ার জন্য সোনার চারটে কড়া ঢালাই দেবে; তার এক পাশে দু'টো কড়া ও অন্য পাশে দু'টো কড়া থাকবে।
13 তুমি বাবলা কাঠের দু'টো বহনদণ্ড করে তা সোনায় মুড়ে দেবে,
14 এবং মঞ্জুষা বইবার জন্য ওই বহনদণ্ড মঞ্জুষার দু'পাশের কড়াতে ঢোকাবে।
15 সেই বহনদণ্ড মঞ্জুষার কড়াতে থাকবে, তা থেকে বের করা হবে না।
16 আমি তোমাকে যে সাক্ষ্যলিপি দেব, তা ওই মঞ্জুষাতেই রাখবে।
17 তুমি খাঁটি সোনা দিয়ে প্রায়শ্চিত্তাসন প্রস্তুত করবে : তা আড়াই হাত লম্বা ও দেড় হাত চওড়া করা হবে।
18 পিটানো সোনা দিয়ে দু'টো খেরুব তৈরি করে প্রায়শ্চিত্তাসনের দুই মুড়াতে দেবে।
19 তার এক মুড়াতে এক খেরুব ও অন্য মুড়াতে অন্য খেরুব, প্রায়শ্চিত্তাসনের দুই মুড়াতে তার সঙ্গে অখণ্ড দুই খেরুব দেবে।
20 সেই দুই খেরুব পাখা ঊর্ধ্বে মেলে ওই পাখা দিয়ে প্রায়শ্চিত্তাসন ঢেকে রাখবে, এবং তাদের মুখমণ্ডল পরস্পরমুখী হবে; খেরুবদের মুখমণ্ডল প্রায়শ্চিত্তাসনমুখী হবে।
21 তুমি এই প্রায়শ্চিত্তাসন সেই মঞ্জুষার উপরে বসাবে, এবং আমি তোমাকে যে সাক্ষ্যলিপি দেব, তা ওই মঞ্জুষার মধ্যে রাখবে।
22 আমি সেইখানে তোমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করব, এবং প্রায়শ্চিত্তাসনের উপরের অংশ থেকে, সাক্ষ্য-মঞ্জুষার উপরে বসানো দুই খেরুবের মধ্য থেকে তোমার সঙ্গে কথা বলে ইস্রায়েল সন্তানদের বিষয়ে আমার সমস্ত আজ্ঞা তোমাকে জানাব।
23 তুমি বাবলা কাঠের একটা ভোজন-টেবিল তৈরি করবে; তা দুই হাত লম্বা, এক হাত চওড়া ও দেড় হাত উঁচু হবে।
24 খাঁটি সোনায় তা মুড়ে দেবে, এবং তার চারদিকে সোনার নিকাল গড়ে দেবে।
25 তার চারদিকে চার আঙুল চওড়া একটা বেড় দেবে, এবং বেড়ের চারদিকে সোনার নিকাল গড়ে দেবে।
26 সোনার চারটে কড়া করে চার পায়ার চার কোণে লাগাবে।
27 টেবিল যেন বহন করা যেতে পারে, সেজন্য বহনদণ্ডের ঘর হবার জন্য ওই কড়া বেড়ের কাছে থাকবে।
28 ওই টেবিল বইবার জন্য বাবলা কাঠের দুই বহনদণ্ড তৈরি করে তা সোনায় মুড়ে দেবে।
29 টেবিলের থালা, বাটি, কলস ও ঢালবার জন্য সেকপাত্র গড়বে; এই সবকিছু খাঁটি সোনা দিয়েই গড়বে।
30 তুমি সেই টেবিলের উপরে আমার সামনে নিত্য-ভোগ-রুটি রাখবে।
31 তুমি খাঁটি সোনার একটা দীপাধার তৈরি করবে; দীপাধার পিটানো সূক্ষ্ম কাজেই তৈরী হবে; তার কাণ্ড, শাখা, গোলাধার, কলিকা ও ফুল সবই অখণ্ড হবে।
32 তার দুই পাশ থেকে ছ'টা শাখা নির্গত হবে : দীপাধারের এক পাশ থেকে তিনটে শাখা ও দীপাধারের অন্য পাশ থেকে তিনটে শাখা।
33 এক শাখায় থাকবে বাদামফুলের মত তিনটে গোলাধার, একটা কলিকা ও একটা ফুল; এবং অন্য শাখায় থাকবে বাদামফুলের মত তিনটে গোলাধার, একটা কলিকা ও একটা ফুল : দীপাধার থেকে নির্গত ছ'টা শাখায় এইরূপ হবে।
34 দীপাধারে থাকবে বাদামফুলের মত চারটে গোলাধার, ও সেগুলোর কলিকা ও ফুল।
35 দীপাধারের যে ছ'টা শাখা নির্গত হবে, সেগুলোর প্রতিটি জোড়া শাখার নিচে তার একটা কলিকা, অন্য জোড়া শাখার নিচে তার একটা কলিকা, ও উপরের জোড়া শাখার নিচে তার একটা কলিকা থাকবে।
36 কলিকা ও তার শাখাগুলো সবই অখণ্ড হবে; সমস্তই পিটানো খাঁটি সোনার এক বস্তুই হবে।
37 তুমি তার সাতটা প্রদীপ তৈরি করবে; সেগুলো উপরেই রাখবে, যেন সামনের জায়গা আলোকিত হয়।
38 তার চিমটে ও ছাইধানীগুলো খাঁটি সোনা দিয়ে তৈরী হবে।
39 এই দীপাধার আর ওই সমস্ত দ্রব্য-সামগ্রী এক বাট খাঁটি সোনা দিয়ে তৈরী হবে।
40 লক্ষ রাখ, এই সবগুলোর যে নমুনা তোমাকে পর্বতে দেখানো হয়েছে, এই সবকিছু তুমি যেন সেই অনুসারেই কর।