Index

যোশুয়া - Chapter 18

1 ইস্রায়েল সন্তানদের গোটা জনমণ্ডলী শীলোতে এসে একত্রে সমবেত হয়ে সেখানে সাক্ষাৎ-তাঁবু স্থাপন করল। দেশকে তাদের বশীভূত করা হয়েছিল।
2 নিজ নিজ উত্তরাধিকার তখনও পায়নি, ইস্রায়েল সন্তানদের মধ্যে এমন সাত গোষ্ঠী বাকি ছিল।
3 তখন যোশুয়া ইস্রায়েল সন্তানদের বললেন, 'তোমাদের পিতৃপুরুষদের পরমেশ্বর প্রভু তোমাদের যে দেশ দিয়েছেন, সেই দেশে গিয়ে তা অধিকার করতে তোমরা আর কত সময় নষ্ট করবে ?
4 তোমরা তোমাদের এক এক গোষ্ঠীর তিন তিনজনকে বেছে নাও। আমি তাদের প্রেরণ করব, আর তারা উঠে অঞ্চলের সর্বত্র ঘুরে তাদের উত্তরাধিকার উদ্দেশ্য ক'রে ভূমি জরিপ করবে ও আমার কাছে ফিরে আসবে।
5 তারা তা সাত ভাগে বিভক্ত করবে : দক্ষিণদিকে তার নিজের এলাকায় যুদা থাকবে, এবং উত্তরদিকে তার নিজের এলাকায় যোসেফকুল থাকবে।
6 তোমরা দেশটি সাত অংশ অনুসারে জরিপ করে তার লিখিত বর্ণনা আমার কাছে আনবে আর আমি এখানে আমাদের পরমেশ্বর প্রভুর সাক্ষাতে তোমাদের জন্য গুলিবার্ট করব;
7 তথাপি তোমাদের মধ্যে লেবীয়দের জন্য কোন অংশ থাকবে না, যেহেতু প্রভুর যাজকত্ব-পদই তাদের আপন উত্তরাধিকার; আর গাদ, রবেন ও মানাসের অর্ধেক অংশ যদনের পুবপারেই নিজ নিজ উত্তরাধিকার পেয়েছে, যেভাবে প্রভুর দাস মোশী তাদের মঞ্জুর করেছিলেন।
8 তাই সেই লোকেরা উঠে রওনা হল। যারা সেই দেশ জরিপ করতে যাচ্ছিল, যোওয়া তাদের এই আজ্ঞা দিলেন, “তোমরা গিয়ে অঞ্চলের সর্বত্র ঘুরে তার ভূমি জরিপ করে আমার কাছে ফিরে এসো, আর আমি এখানে, এই শীলোতে, প্রভুর সাক্ষাতে তোমাদের জন্য গুলিবাঁট করব।'
9 সেই লোকেরা গিয়ে অঞ্চলের সর্বত্র ঘুরল, এবং শহর অনুসারে ভূমির সাত অংশ জরিপ করে একটা পুস্তকে তার বর্ণনা লিখে শীলোতে অবস্থিত শিবিরে যোওয়ার কাছে ফিরে এল।
10 তখন যোওয়া শীলোতে প্রভুর সাক্ষাতে তাদের জন্য গুলিবাঁট করলেন, এবং যোওয়া সেখানে ইস্রায়েল সন্তানদের মধ্যে তাদের বিভাগ অনুসারে দেশ ভাগ করে দিলেন।
11 গুলিবাঁট ক্রমে এক অংশ নিজ নিজ গোত্র অনুসারে বেঞ্জামিন সস্তানদের গোষ্ঠীর নামে উঠল। গুলিবাঁটে তাদের যে অংশ পড়ল, তার এলাকা ছিল। যুদা-সন্তানদের ও যোসেফ-সন্তানদের মধ্যে।
12 তাদের উত্তর পাশের সীমানা বর্নন থেকে যেরিখোর উত্তর পাশ দিয়ে গেল, পরে পার্বত্য অঞ্চলের মধ্য দিয়ে পশ্চিমদিকে বেথ-আবেনের মরুপ্রান্তর পর্যন্ত গেল।
13 সেখান থেকে সেই সীমানা লুজে, দক্ষিণদিকে লুজের অর্থাৎ বেথেলের পাশ পর্যন্ত গেল, এবং নিচের বেথ-হোরোনের দক্ষিণে অবস্থিত পর্বত দিয়ে আটারোৎ-আদ্দারের দিকে নেমে গেল।
14 সেখান থেকে সেই সীমানা ফিরে পশ্চিম পাশে, বেগ-হোৱোনের দক্ষিণে অবস্থিত পর্বত থেকে দক্ষিণদিকে গেল; আর কিরিয়াৎ-বায়াল অর্থাৎ কিরিয়াৎ- যেয়ারিম নামে ঘুদা-সন্তানদের এই শহর পর্যন্ত গেল: এ পশ্চিম পাশ।
15 দক্ষিণ পাশ এ কিরিয়াৎ-যোয়ারিমের প্রান্ত থেকেই তার আরম্ভ; পরে সেই : সীমানা পশ্চিমদিকে নির্গত হয়ে নেণ্ডোয়াহর জলের উৎস পর্যন্ত এগিয়ে গেল;
16 আর বেন্-হিল্লোম উপত্যকার সামনে ও রেফাইম উপত্যকার উত্তরদিকের পর্বতের প্রান্ত পর্যন্ত নেমে গেল, এবং হিল্লোম উপত্যকায়, ফেব্রুসীয়দের দক্ষিণ পাশে নেমে এসে এন-রোগেলে গেল।
17 পরে উত্তরদিকে ফিরে এন-শেষেশে এগিয়ে গেল, এবং আদুপ্রিম আরোহণ পথের সামনে যে পাথর, তার দিকে নির্গত হয়ে রূবেন-সন্তান বোহানের পাথর পর্যন্ত নেমে গেল।
18 আর উত্তরদিকে আরাবা নিম্নভূমির সামনের পাশে গিয়ে আরাবা নিম্নভূমিতে নেমে গেল।
19 সীমানাটা উত্তরদিকে বেথ্র-হগ্লার পাশ পর্যন্ত গেল; যদনের দক্ষিণ প্রান্তে যে লবণ-সাগর, তার উত্তর খাড়ি ছিল সেই সীমানার শেষ প্রান্ত এ দক্ষিণ সীমানা।
20 পুব পাশে যদনই : ছিল তার সীমানা। এ ছিল তার চতুঃসীমানা অনুসারে, নিজ নিজ গোত্র অনুসারে বেঞ্জামিন-সন্তানদের উত্তরাধিকা।
21 নিজ নিজ গোত্র অনুসারে বেঞ্জামিন সন্তানদের গোষ্ঠীর শহরগুলো এ যেরিখো, বেথ্-হগ্লা, এমেক-কেসিস,
22 বেথ্-আরাবা, সেমারাইম, বেথেল,
23 আব্বিম, পারা, অফ্রা,
24 কেফার আম্মোনাই, অগ্নি ও পেবা নিজ নিজ গ্রাম সমেত বারোটা শহর;
25 গিবেয়োন, রামা, বেয়েরোধ,
26 মিস্প্রে, কেফিরা, মোসা,
27 রেকেম, ইর্পেডোল, তারেয়ালা,
28 সেলা-এলেফ, যেস অর্থাৎ যেরুসালেম, গিবেয়া ও কিরিয়াৎ: নিজ নিজ গ্রাম সমেত চৌদ্দটা শহর। এ হল নিজ নিজ গোত্র অনুসারে বেঞ্জামিন-সন্তানদের উত্তরাধিকার।