Index

হোসেয়া - Chapter 13

1 এফ্রাইম যখন কথা বলত, তখন ইস্রায়েলে সন্ত্রাস ছড়িয়ে দিত; কিন্তু বায়াল-দেবের ব্যাপারে দোষী হওয়ায় সে মরল।
2 তবু তারা পাপ করে চলছে, তাদের রুপো দিয়ে তারা ছাঁচে ঢালাই করা এমন প্রতিমা তৈরি করল, যা তাদের নিজেদেরই পরিকল্পিত দেবমূর্তি : সবগুলোই কারুশিল্পীর কাজমাত্র। সেগুলোর বিষয়ে লোকে বলে : 'কেমন বলির উৎসর্গকারী মানুষ! বাছুরগুলিকেই তারা চুম্বন করে!'
3 তাই তারা হবে সকালের মেঘের মত, শিশিরের মত যা প্রত্যূষে উবে যায়, তুষের মত যা খামার থেকে দূরে ফেলা হয়, ধূমের মত যা জানালা থেকে চলে যায়।
4 অথচ আমিই মিশর দেশের সেই সময় থেকে তোমার পরমেশ্বর প্রভু ! আমাকে ছাড়া তুমি আর কোন ঈশ্বরকে জানবে না, আমি ব্যতীত ত্রাণকর্তা বলে আর কেউ নেই।
5 আমিই মরুপ্রান্তরে, সেই ভয়ঙ্কর তৃষ্ণার দেশে, তোমাকে যত্ন করেছি।
6 তাদের সেই চারণমাঠে তারা পরিতৃপ্ত হল, আর পরিতৃপ্ত হলে তাদের হৃদয় গর্বিত হল, এজন্যই তারা আমাকে ভুলে গেল।
7 তাই আমি তাদের পক্ষে সিংহের মত হব, চিতাবাঘের মত পথের ধারে ওত পেতে থাকব,
8 শাবক-বঞ্চিতা ভালুকীর মত তাদের আক্রমণ করব, তাদের হৃদয়ের পরদা ছিঁড়ে ফেলব, আর সেখানে সিংহীর মত তাদের গ্রাস করব : বন্যজন্তুই তাদের দীর্ণ-বিদীর্ণ করবে।
9 ইস্রায়েল, এই যে তোমার সর্বনাশ ! আমি ব্যতীত কেইবা তোমার পক্ষে সহায়করূপে দাঁড়াবে?
10 তোমার সেই রাজা কোথায়, সে যেন তোমাকে ত্রাণ করতে পারে? তোমার সকল শহরে কোথায় তোমার নেতারা, ও সেই গণশাসকেরা, যাদের বিষয়ে তুমি বলতে : আমাকে রাজা ও জনপ্রধান দাও?”
11 ক্রুদ্ধ হয়ে আমি তোমাকে এক রাজা দিলাম, এবং কুপিত হয়ে এখন তাকে ফিরিয়ে নিলাম।
12 এফ্রাইমের অপরাধ ভাল করে আটকে আছে, তার পাপ গচ্ছিত রাখা আছে।
13 প্রসবিনী নারীর যন্ত্রণার মত যন্ত্রণা তাকে ধরবে, কিন্তু সে অবোধ সন্তান, আসল সময়ে গর্ভের নির্গম-স্থানে উপস্থিত হয় না।
14 আমি কি পাতালের হাত থেকে তাদের উদ্ধার করব? মৃত্যু থেকে কি তাদের আবার মুক্ত করব? হে মৃত্যু, কোথায় তোমার মহামারী? হে পাতাল, কোথায় তোমার হত্যাকাণ্ড ? দয়া আমার চোখ থেকে লুকায়িত হবে।
15 এফ্রাইম তার ভাইদের মধ্যে সমৃদ্ধ হোক আসবেই সেই পুৰবাতাস, প্রান্তর থেকে উঠে আসবেই প্রভূর ফুৎকার, তা তার যত জলের উৎস শুষ্ক করবে, তার যত ঝরনা শুকিয়ে দেবে, তার ধনকোষের সমস্ত বহুমূল্য পাত্র কেড়ে নেবে।