Index

দ্বিতীয় বিবরণ - Chapter 28

1 আমি আজ যে সকল আজ্ঞা তোমার জন্য জারি করি, তা সযত্নেই পালন করার জন্য যদি তুমি বিশ্বস্ততার সঙ্গে তোমার পরমেশ্বর প্রভুর প্রতি বাধ্য হও, তবে তোমার পরমেশ্বর প্রভু পৃথিবীর সমস্ত জাতির চেয়ে তোমাকেই ঊর্ধ্বে প্রতিষ্ঠিত করবেন,
2 কেননা তোমার পরমেশ্বর প্রভুর প্রতি বাধ্য হয়েছ বিধায় এই সমস্ত আশীর্বাদ তোমার উপরে বর্ষিত হয়ে তোমার কাছে পৌঁছবে।
3 তুমি নগরে আশীর্বাদের পাত্র হবে, মাঠেও আশীর্বাদের পাত্র হবে।
4 তোমার দেহের ফল, তোমার ভূমির ফল, তোমার পশুর ফল, তোমার গাভীদের বাচ্চা ও তোমার মেধীদের বাচ্চা আশীর্বাদের পাত্র হবে।
5 তোমার চুপড়ি ও তোমার ময়দার কাঠুয়া আশীর্বাদের পাত্র হবে।
6 ঘরে আসবার সময়ে তুমি আশীর্বাদের পাত্র হবে, বাইরে যাওয়ার সময়েও তুমি আশীর্বাদের পাত্র হবে।
7 তোমার যে শত্রুরা তোমার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়, প্রভু তাদের তোমার চোখের সামনেই পরাস্ত করবেন : তারা এক পথ দিয়ে তোমার বিরুদ্ধে আসবে, কিন্তু সাত পথ দিয়ে তোমার সামনে থেকে পালাবে।
8 প্রভু আশীর্বাদকে আজ্ঞা দেবেন, তা যেন তোমার গোলাঘরের উপর, ও তুমি যে কোন কাজে হাত দেবে, তার উপরে বিরাজ করে, এবং তোমার পরমেশ্বর প্রভু যে দেশ তোমাকে দিচ্ছেন, সেখানে তিনি তোমাকে আশীর্বাদ করবেন।
9 তাঁর শপথ অনুসারে প্রভু তোমা থেকে তাঁর উদ্দেশে পবিত্রীকৃত এক জাতির উদ্ভব ঘটাবেন: অবশ্যই, তুমি যদি তোমার পরমেশ্বর প্রভুর আজ্ঞা পালন কর ও তাঁর সমস্ত পথে চল।
10 তুমি যে প্রভুর আপন নাম বহন কর, তা দেখে পৃথিবীর সকল জাতি তোমার বিষয়ে ভীত হবে।
11 প্রভু যে দেশভূমি তোমাকে দেবেন বলে তোমার পিতৃপুরুষদের কাছে শপথ করেছেন, সেই দেশভূমিতে তিনি মঙ্গলার্থেই তোমার দেহের ফলে, তোমার পশুর বাচ্চায় ও তোমার ভূমির ফলে তোমাকে ঐশ্বর্যশালী করবেন।
12 ঠিক সময়ে তোমার ভূমির জন্য বৃষ্টি দিতে ও তোমার হাতের সমস্ত কাজে আশীর্বাদ করতে প্রভু তাঁর মঙ্গল-ভাণ্ডার সেই আকাশ খুলে দেবেন, তাই তুমি বহু বহু দেশকে ঋণ দেবে, কিন্তু নিজে ঋণ নেবে না।
13 প্রভু তোমাকে অগ্রভাগে রাখবেন, পশ্চাদ্ভাগে রাখবেন না; তুমি সবসময় উপরেই থাকবে, নিচে কখনও থাকবে না; অবশ্যই, তোমার পরমেশ্বর প্রভুর এই যে সকল আজ্ঞা আমি আজ তোমার জন্য জারি করি, সেগুলোর প্রতি তুমি যদি বাধ্য হয়ে তা সযত্নেই মেনে চল ও পালন কর,
14 এবং যে সকল বাণী আমি আজ তোমার জন্য জারি করি, তুমি যদি অন্য দেবতাদের সেবা করার জন্য, তাদের অনুগামী হবার জন্য সেই সকল কথার ডানে বা বাঁয়ে না সরে যাও।'
15 কিন্তু তুমি যদি তোমার পরমেশ্বর প্রভুর প্রতি বাধ্য না হও, আমি আজ তাঁর যে সকল আজ্ঞা ও বিধি তোমার জন্য জারি করি, তুমি যদি সেই সমস্ত কিছু সযত্নেই পালন না কর, তবে তোমার উপরে এই সমস্ত অভিশাপ বর্ষিত হয়ে তোমার কাছে পৌঁছবে :
16 তুমি নগরে অভিশাপের পাত্র হবে, মাঠেও অভিশাপের পাত্র হবে।
17 তোমার চুপড়ি ও তোমার ময়দার কাঠুয়া অভিশাপের পাত্র হবে।
18 তোমার দেহের ফল, তোমার ভূমির ফল, তোমার গাভীদের বাচ্চা ও তোমার মেষীদের বাচ্চা অভিশাপের পাত্র হবে।
19 ঘরে আসবার সময়ে তুমি অভিশাপের পাত্র হবে, বাইরে যাওয়ার সময়েও তুমি অভিশাপের পাত্র হবে।
20 যে পর্যন্ত তোমার সংহার ও আকস্মিক বিনাশ না হয়, সেপর্যন্ত যে কোন কাজে তুমি হাত দাও, সেই কাজে প্রভু তোমার উপরে অভিশাপ, বিষণ্ণতা ও শাসানি নিক্ষেপ করবেন ; এর কারণ তোমার কুব্যবহার, যা দ্বারা তুমি আমাকে পরিত্যাগ করেছ।
21 অধিকার করার জন্য তুমি যে দেশভূমিতে প্রবেশ করতে যাচ্ছ, সেই দেশভূমি থেকে যতদিন উচ্ছিন্ন না হও, ততদিন প্রভু তোমার উপর মহামারী ডেকে আনবেন।
22 প্রভু ক্ষয়রোগ, জ্বর, জ্বালা, প্রচণ্ড উত্তাপ ও দুর্ভিক্ষ এবং শস্যের শোষ ও ম্লানি দ্বারা তোমাকে আঘাত করবেন: সেই সব কিছু তোমাকে উৎপীড়ন করবে, যে পর্যন্ত তোমার বিনাশ না হয় ।
23 তোমার মাথার উপরে যে আকাশ, তা পিতল, ও নিম্নে যে ভূমি, তা লোহাই হবে।
24 প্রভু তোমার দেশে জলের স্থানে ধুলা ও বালি বর্ষণ করবেন : তা আকাশ থেকে নেমে তোমার উপরে পড়বে, যেপর্যন্ত তোমার বিনাশ না হয়।
25 প্রশ্ন এমনটি করবেন যে, তুমি তোমার শত্রুদের দ্বারা পরাজিত হবে; তুমি এক পথ দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে যাবে, কিন্তু সাত পথ দিয়ে তাদের সামনে থেকে পালাবে ; হ্যাঁ, তুমি পৃথিবীর সমস্ত রাজ্যের কাছে বিতৃষ্ণার বস্তু হবে।
26 তোমার মৃতদেহ আকাশের পাখিদের ও বন্যজন্তুদের খাদ্য হবে; কেউই তাদের তাড়িয়ে দেবে না।
27 প্রভু মিশরের নালী ঘা, এবং ফোড়া, মামড়ি ও পাঁচড়া—এই সব রোগ দ্বারা তোমাকে এমন আঘাত করবেন যে, তুমি নিরাময় হতে পারবে না।
28 প্রভু উন্মাদনা, অন্ধতা ও ক্ষিপ্ততা দ্বারা তোমাকে এমন আঘাত করবেন যে
29 অন্ধ যেমন অন্ধকারে হাতড়ে বেড়ায়, তেমনি তুমি মধ্যাহ্নেই হাতড়ে বেড়াবে। তোমার কোন পথে তুমি সফল হবে না, প্রতিদিন হবে অত্যাচারিত ও লুণ্ঠিত, আর কেউই তোমাকে ত্রাণ করবে না।
30 তোমার সঙ্গে কনের বাগদান হবে, কিন্তু অন্য পুরুষ তাকে ভোগ করবে ; তুমি ঘর তৈরি করবে, কিন্তু তার মধ্যে বাস করতে পারবে না ; আঙুরখেত প্রস্তুত করবে, কিন্তু তার ফল কুড়োবে না।
31 তোমার বলদকে তোমার চোখের সামনে বধ করা হবে, আর তুমি তার মাংসের কিছুই খেতে পারবে না; তোমার গাধাকে তোমার সাক্ষাতে জোর প্রয়োগে কেড়ে নেওয়া হবে আর তোমাকে ফিরিয়ে দেওয়া হবে না; তোমার মেষপাল তোমার শত্রুদের দেওয়া হবে আর তোমার পক্ষে ত্রাণকর্তা কেউ থাকবে না।
32 তোমার ছেলেমেয়েদের অন্য জাতির মানুষকে দেওয়া হবে, সমস্ত দিন তাদের অপেক্ষায় তাকাতে তাকাতে তোমার চোখ ক্ষীণ হয়ে যাবে, ও তোমার হাত সম্পূর্ণ অবশ হয়ে যাবে।
33 তোমার অজানা এক জাতি তোমার ভূমির ফল ও তোমার শ্রমের ফল ভোগ করবে আর তুমি সবসময় কেবল অত্যাচারিত ও নিষ্পেষিত হবে ;
34 স্বচক্ষে তোমাকে যা দেখতে হবে, তার কারণে তুমি পাগল হবে।
35 প্রভু তোমার হাঁটু ও জঙ্ঘা এমন নালী-ঘা দ্বারা আঘাত করবেন যা কখনও নিরাময় হবে না; পায়ের তলা থেকে মাথার তালু পর্যন্তই তিনি তোমাকে আঘাত করবেন।
36 প্রভু তোমাকে এবং যে রাজাকে তুমি তোমার উপরে নিযুক্ত করবে, তাকে তোমার অজানা ও তোমার পিতৃপুরুষদের অজানা এক জাতির কাছে পাঠিয়ে দেবেন; সেখানে তুমি অন্য দেবতাদের— কাঠ ও পাথরেরই দেবতাদের সেবা করবে।
37 প্রভু তোমাকে যে সকল জাতির মধ্যে নিয়ে যাবেন, তাদের কাছে তুমি বিস্ময়, ঠাট্টা ও উপহাসের বস্তু হবে।
38 তুমি বহু বীজ বয়ে মাঠে নিয়ে যাবে, কিন্তু অল্প ফসল পাবে, কেননা পঙ্গপাল তা নষ্ট করবে।
39 তুমি আঙুরখেত প্রস্তুত করে তা চাষ করবে, কিন্তু আঙুররস পান করতে বা আঙুরফল জড় করতে পারবে না, কেননা পোকে তা গ্রাস করবে।
40 তোমার সমস্ত এলাকায় জলপাই বাগান হবে বটে, কিন্তু তুমি সেগুলোর তেল নিজের গায়ে মাখতে পারবে না, কেননা তোমার জলপাই গাছ থেকে কাঁচাই ঝরে পড়বে।
41 তুমি ছেলেমেয়েদের পিতা হবে, কিন্তু তারা তোমার হবে না, কেননা তারা। বন্দিদশায় চলে যাবে।
42 তোমার সমস্ত গাছ ও ভূমির ফল হবে পোকার শিকার।
43 তোমার মধ্যে বাস করে যে বিদেশী, সে তোমার উপরে উত্তরোত্তর উন্নীত হবে, ও তুমি উত্তরোত্তর অবনত হবে।
44 সে তোমাকে ঋণ দেবে, কিন্তু তুমি তাকে ঋণ দেবে না; সে মাথায় থাকবে, তুমি থাকবে পিছনেই।
45 এই সমস্ত অভিশাপ তোমার উপরে এসে পড়বে, তোমাকে ধাওয়া করবে, তোমার নাগাল পাবেই যেপর্যন্ত তোমার বিনাশ না হয়, কেননা তোমার পরমেশ্বর প্রভু যে সকল আজ্ঞা ও বিধি তোমাকে দিয়েছেন, তা পালন করার জন্য তুমি তাঁর প্রতি বাধ্য হলে না ।
46 এই সমস্ত কিছু তোমার উপরে ও যুগে যুগে তোমার বংশধরদের উপরে চিহ্ন ও অলৌকিক লক্ষণস্বরূপ হয়ে থাকবে।
47 যেহেতু সব ধরনের ঐশ্বর্যের মহাপ্রাচুর্যের মধ্যে তুমি আনন্দিত মনে ও প্রফুল্লচিত্তে তোমার পরমেশ্বর প্রভুর সেবা করনি,
48 এজন্য প্রভু তোমার বিরুদ্ধে যে শত্রুদের পাঠাবেন, তুমি ক্ষুধায়, তৃষ্ণায়, উলঙ্গতায় ও সবকিছুর অভাব ভোগ করতে করতে তাদের সেবা করবে; তারা তোমার ঘাড়ে লোহার জোয়াল চাপিয়ে রাখবে, : যেপর্যন্ত তোমাকে বিনাশ না করে।
49 প্রভু তোমার বিরুদ্ধে বহু দূর থেকে, পৃথিবীর প্রান্ত থেকেই এমন এক জাতিকে আনবেন, যা ঈগলের মত উড়ে আসবে; সেই জাতি এমন, যার ভাষা তুমি বুঝতে পারবে না,
50 যার চেহারা হিংস্র, যা বৃদ্ধের প্রতি মমতা অনুভব করবে না ও বালকের প্রতি করুণা দেখাবে না,
51 যা তুমি নিশ্চিহ্ন না হওয়া পর্যন্ত তোমার পশুর বাচ্চা ও তোমার ভূমির ফল গ্রাস করবে, যা - তোমাকে বিনাশ না করা পর্যন্ত তোমার জন্য গম, নতুন আঙুররস বা তেল, তোমার • গাভীর বাচ্চা বা তোমার মেষীর বাচ্চা কিছুই বাকি রাখবে না।
52 তোমার সমস্ত দেশে যে সকল উচ্চ ও দৃঢ় প্রাচীরে তুমি আস্থা রাখতে, সেইসব ভূমিসাৎ না হওয়া পর্যন্ত সেই জাতি তোমার সমস্ত শহরগুলির মধ্যে তোমাকে অবরোধ করবে; তোমার পরমেশ্বর প্রভু যে দেশ তোমাকে দেবেন, তোমার সেই দেশ জুড়ে সমস্ত শহরগুলির মধ্যে সে তোমাকে অবরোধ করবে।
53 অবরোধের সময়ে তোমার শত্রুরা তোমার উপরে যে কষ্ট নিক্ষেপ করবে, তার জন্য তোমার দেহের ফল, তোমার পরমেশ্বর - প্রভুর দেওয়া নিজ ছেলেমেয়োদেরই মাংস খাবে।
54 তোমার মধ্যে যে পুরুষ সবচেয়ে ভোগবিলাসী ও সবচেয়ে কোমল, তার ভাইয়ের উপরে, তার নিজেরই স্ত্রীর উপরে ও বেঁচে যাওয়া ছেলেদের উপরে তার চোখ টাটাবে,
55 যেন সে, নিজের ছেলেদের যে মাংস খাবে, তাদের কাউকে সেই মাংসের কিছুই না দেয়; কেননা তোমার সকল শহরের অবরোধের সময়ে তোমার শত্রুরা তোমার উপরে যে কষ্ট নিক্ষেপ করবে, তার জন্য তার কিছুমাত্র বাকি থাকবে না।
56 যে স্ত্রীলোক ভোগবিলাসিতা ও কোমলতার জন্য নিজ পা পর্যন্তও মাটিতে রাখতে সাহস করত না, তোমার মধ্যে সবচেয়ে ভোগবিলাসিনী ও সবচেয়ে কোমলা সেই স্ত্রীলোকের চোখ তার নিজের স্বামীর উপরে, নিজের ছেলেমেয়েদের উপরে,
57 এমনকি, তার নিজের দুই পায়ের মধ্য থেকে নির্গত গর্ভফলের ও নিজের প্রসব করা শিশুদের উপরে টাটাবে; কেননা অবরোধের সময়ে এবং তোমার সকল শহরগুলির মধ্যে তোমার শত্রুরা তোমার উপরে যে কষ্ট নিক্ষেপ করবে, সেই কষ্টের সময়ে সবকিছুর অভাবের কারণে সে এদের গোপনে খেয়ে ফেলতে বাধ্য হবে!
58 তুমি যদি “তোমার পরমেশ্বর প্রভু” এই গৌরবপূর্ণ ও ভয়ঙ্কর নামকে ভয় না করে এই পুস্তকে লেখা এই বিধানের সমস্ত বাণী সযত্নে পালন না কর
59 তবে প্রভু তোমাকে ও তোমার বংশধরদের আশ্চর্য আঘাতে আঘাত করবেন: হ্যাঁ, ভারী ও দীর্ঘকালস্থায়ী আঘাত এবং দীর্ঘকালস্থায়ী ব্যথাজনক রোগ দ্বারা তোমাকে আঘাত এ করবেন।
60 তুমি যে পীড়া তত ভয় করতে, মিশরীয় সেই সমস্ত পীড়া আবার তোমার উপরে ফিরিয়ে আনবেন, আর সেগুলো তোমার গায়ে লেগে থাকবে।
61 আরও, যা এই বিধান-পুস্তকে লেখা নেই, এমন প্রতিটি রোগ ও আঘাত প্রভূ তোমার উপরে আনবেন, যেপর্যন্ত তোমার বিনাশ না হয়।
62 আকাশের তারানক্ষত্রের মত বহুসংখ্যক ছিলে যে তোমরা, তোমরা অল্পসংখ্যক হয়ে অবশিষ্ট থাকবে, কেননা তুমি তোমার পরমেশ্বর প্রভুর প্রতি বাধ্য হলে না।
63 যেমন তোমাদের মঙ্গল ও বংশবৃদ্ধি করায় প্রভু আনন্দ করতেন, তেমনি তোমাদের বিনাশ ও বিলোপ ঘটানোতে প্রভু আনন্দ করবেন; এবং অধিকার করার জন্য তুমি যে দেশভূমিতে প্রবেশ করতে যাচ্ছ, সেই ভূমি থেকে তোমাদের উপড়ে ফেলা হবে।
64 প্রভু তোমাকে পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত পর্যন্ত সমস্ত জাতির মধ্যে বিক্ষিপ্ত করবেন ; সেখানে তুমি তোমার অজানা ও তোমার পিতৃপুরুষদেরও অজানা অন্য দেবতাদের—কাঠ ও পাথরেরই দেবতাদের সেবা করবে।
65 তুমি সেই জাতিগুলোর মধ্যে একটুও স্বস্তি পাবে না, ও তোমার পায়ের জন্য বিশ্রামস্থান থাকবে না, প্রভু সেই জায়গায় তোমাকে হৃৎকম্প, চোখের ক্ষীণতা ও প্রাণের শুষ্কতা দেবেন।
66 তোমার জীবন তোমার চোখের সামনে হবে যেন সুতোয় ঝুলানো, দিবারাত্র তুমি শঙ্কার মধ্যে থাকবে, ও তোমার জীবনের বিষয়ে তোমার আর নিশ্চয়তা থাকবে না।
67 যে শঙ্কায় তোমার হৃদয়ে আলোড়িত হবে ও নিজের চোখে যে ভয়ঙ্কর দৃশ্য তোমাকে দেখতে হবে, সেসব কিছুর কারণে তুমি সকালে বলবে : হায় হায়! কখন সন্ধ্যা হবে? এবং সন্ধ্যায় বলবে: হায় হায় ! কখন সকাল হবে?
68 যে পথের বিষয়ে আমি তোমাকে বলেছিলাম : তুমি সেই পথ আর দেখবে না, প্রভু মিশর দেশে জাহাজে করে সেই পথ দিয়েই তোমাকে ফিরিয়ে দেবেন, এবং সেখানে তোমাদের শত্রুদের কাছে তোমরা নিজেরা দাস-দাসীরূপে বিক্রীত হতে চাইবে—কিন্তু কেউই তোমাদের কিনবে না!'
69 প্রভু হোরেবে ইস্রায়েল সন্তানদের সঙ্গে যে সন্ধি স্থির করেছিলেন, সেই সন্ধি ছাড়া মোয়াব দেশে তাদের সঙ্গে যে সন্ধি স্থির করতে মোশীকে আজ্ঞা করলেন, এই সমস্তই সেই সন্ধির বাণী।