Index

দ্বিতীয় বিবরণ - Chapter 15

1 তুমি প্রতি সাত বছর শেষে সমস্ত ঋণ ক্ষমা করে দেবে।
2 তেমন ঋণক্ষমার ব্যবস্থা এ যে কোন পাওনাদার ধারের বিনিময়ে তার প্রতিবেশীর কাছ থেকে যে পাওনার দাবি রাখে, তা থেকে তাকে মুক্ত করে দেবে; প্রভুর উদ্দেশে ঋণক্ষমা-বর্ষ একবার ঘোষণা করা হলে, সে তার প্রতিবেশী বা ভাইয়ের কাছ থেকে তা আদায় করবে না।
3 তুমি বিজাতীয়ের কাছেই তা আদায় করতে পারবে, কিন্তু তোমার ভাইয়ের কাছে তোমার যে দাবি আছে, তা তুমি ছেড়ে দেবে।
4 আসলে, তোমাদের মধ্যে অভাবগ্রস্ত কেউ থাকবে, তা উপযুক্ত নয়, কারণ তোমার পরমেশ্বর প্রভু তোমার উত্তরাধিকার-রূপে যে দেশ দিচ্ছেন, সেই দেশে প্রভু তোমাকে নিশ্চয়ই আশীর্বাদ মঞ্জুর করবেন।
5 অবশ্যই তুমি যদি তোমার পরমেশ্বর প্রভুর প্রতি বাধ্য হয়ে এই সকল আজ্ঞা সযত্নে পালন কর, যা আমি আজ তোমাকে দিলাম।
6 হ্যাঁ, তোমার পরমেশ্বর প্রভু যেমন তোমার কাছে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তেমনি তোমাকে আশীর্বাদ করবেন ; আর তুমি বহু বহু দেশকে ঋণ দেবে, কিন্তু নিজেই ঋঋণ নেবে না; বহু বহু জাতির উপরে কর্তৃত্বও করবে, কিন্তু তারা তোমার উপরে কর্তৃত্ব করবে না।
7 তোমার পরমেশ্বর প্রভু তোমাকে যে দেশ দিচ্ছেন, সেখানকার কোন একটা শহরে তোমার কোন ভাই নিঃস্ব হলে তুমি হৃদয় কঠিন করবে না, নিঃস্ব ভাইয়ের প্রতি হাত রুদ্ধ করবে না।
8 তুমি বরং মুক্তহস্ত হয়ে তার অভাবের জন্য প্রয়োজনমত তাকে ঋণ দেবে।
9 সাবধান, সপ্তম বছর, সেই ঋণক্ষমা-বর্ষ কাছে এসে গেছে, একথা ব'লে তোমার হৃদয়ে এই কুচিন্তার উদয় হলে যেন এমনটি না হয় যে, তোমার পরিব ভাইয়ের প্রতি অশুভ চোখে তাকিয়ে তাকে কিছু দেবে না; সে তোমার বিরুদ্ধে প্রভুর কাছে চিৎকার করবে, আর তখন তোমার বড়ই পাপ হবে।
10 তুমি তাকে মুক্তহস্তে দান করবে, এবং দেওয়ার সময়ে তোমার হৃদয় যেন দুঃখিত না হয়, কারণ এই কাজের জন্য তোমার পরমেশ্বর প্রভু তোমার সমস্ত কাজে, এবং তুমি যা কিছুতে হাত দিয়েছ, সেই সমস্ত কিছুতে তোমাকে আশীর্বাদ করবেন।
11 কেননা তোমার দেশের মধ্যে নিঃস্বদের কখনও অভাব হবে না; এজন্যই আমি তোমাকে এই আজ্ঞা দিয়ে বলছি : তুমি তোমার দেশে তোমার ভাইয়ের প্রতি, এবং যে কোন দুঃখী ও নিঃস্বের প্রতি মুক্তহস্ত হবে!”
12 তোমার হিব্রু কোন ভাই বা হিব্রু কোন স্ত্রীলোক যদি তোমার কাছে নিজেকে বিক্রি করে দেয়, সে ছ'বছর ধরে তোমার সেবা করে যাবে, কিন্তু সপ্তম বছরে তুমি তাকে মুক্ত অবস্থায়ই তোমার কাছ থেকে বিদায় দেবে।
13 আর মুক্ত অবস্থায় তোমার কাছ থেকে বিদায় দেওয়ার সময়ে তুমি তাকে খালি হাতে বিদায় দেবে না।
14 তুমি তোমার পাল, খামার ও পেষাইযন্ত্র থেকে যথেষ্ট কিছু তুলে তার মাথায় চাপিয়ে দেবে; যেমন তোমার পরমেশ্বর প্রভু তোমাকে আশীর্বাদ করেছেন, সেই অনুসারে তোমাকেও তাকে দিতে হবে।
15 মনে রাখবে, তুমি মিশর দেশে দাস ছিলে, এবং তোমার পরমেশ্বর প্রভু তোমার মুক্তিকর্ম সাধন করেছেন; এজন্যই আমি আজ তোমাকে এই আজ্ঞা দিচ্ছি।
16 কিন্তু তোমার কাছে সুখে থাকায় সে তোমাকে ও তোমার পরিজনদের ভালবাসে বিধায় যদি বলে, আমি তোমাকে ছেড়ে যেতে চাই না,
17 তবে তুমি একটা সুচ দিয়ে দরজায় তার কান বিধিয়ে দেবে, আর সে সবসময়ের মত তোমার দাস হয়ে থাকবে; দাসীর ক্ষেত্রেও তাই করবে।
18 মুক্ত অবস্থায় তাকে বিদায় দেওয়াটি যেন তোমার মনে কঠিন না লাগে, কারণ ছ'বছর ধরেই সে তোমার সেবা করে এসেছে, ও তোমার কাছে দিনমজুরের মজুরির চেয়ে সে দ্বিগুণ যোগ্য; আর এভাবে তোমার পরমেশ্বর প্রভু তোমার সমস্ত কাজে তোমাকে আশীর্বাদ করবেন।'
19 তুমি তোমার গবাদি পশুপালের বা মেষ ছাগের পালের সমস্ত প্রথমজাত মদ্দা পশুকে তোমার পরমেশ্বর প্রভুর উদ্দেশে পবিত্রীকৃত করবে; তুমি গরুর প্রথমজাতকে কোন কাজে লাগাবে না, এবং তোমার প্রথমজাত মেষের লোম কাটবে না।
20 প্রভু যে স্থান বেছে নেবেন, সেইখানে তোমার পরমেশ্বর প্রভুর সাক্ষাতে তুমি ও তোমার পরিজন সকলে মিলে প্রতিবছর তা খাবে।
21 যদি সেই পশুর দেহে কোথাও খুঁত থাকে, অর্থাৎ পশুটা যদি খোঁড়া বা অন্ধ হয়, কিংবা তার দেহে কোন প্রকার গুরুতর খুঁত থাকে, তবে তুমি তোমার পরমেশ্বর প্রভুর উদ্দেশে তা বলিদান করবে না।
22 তোমার নগরদ্বারের ভিতরে তা খাবে ; অশুচি বা শুচি নির্বিশেষে সকলেই কৃষ্ণসার বা হরিণের মত তা খেতে পারবে।
23 তুমি কেবল তার রক্ত খাবে না; তা জলের মত মাটিতে ঢেলে দেবে।'