1 তোমরা তোমাদের পরমেশ্বর প্রভুর সন্তান! তোমরা মৃতলোকদের জন্য নিজেদের দেহে কাটাকাটি করবে না ও ভ্রূর মধ্যস্থলে ক্ষুর চালাবে না;
2 কেননা তুমি তোমার পরমেশ্বর প্রভুর উদ্দেশে পবিত্রীকৃতই এক জাতি : পৃথিবীর বুকে যত জাতি রয়েছে, তাদের মধ্য থেকে প্রভু তাঁর নিজস্ব অধিকার হবার জন্য তোমাকেই বেছে নিয়েছেন।'
3 তুমি জঘন্য কোন কিছুই খাবে না।
4 যে সকল পশু তুমি খেতে পারবে, সেগুলো এই : বলদ, মেষ ও ছাগল
5 হরিণ, কৃষ্ণসার, ক্ষুদ্র হরিণ, বন্য ছাগল, রাতপ্রমী, মহিষ ও পাহাড়িয়া ছাগ।
6 আর পশুদের মধ্যে যত পশুর খুর সম্পূর্ণ দ্বিখন্ড, এবং জাবর কাটে, সেই সকল পশুকে তোমরা খেতে পারবে
7 কিন্তু যেগুলো জাবর কাটে ও যেগুলোর খুর দ্বিখণ্ড, সেগুলোর মধ্যে তোমরা এই এই পশু খাবে না : উট, খরগোশ ও শাফন; কেননা এগুলো জাবর কাটে বটে, কিন্তু তাদের খুর দ্বিখণ্ড নয়; তাই এগুলো তোমার পক্ষে অশুচি
8 শূকরের খুর সম্পূর্ণরূপে দ্বিখণ্ড বটে, কিন্তু সে জাবর কাটে না, তাই শূকর তোমাদের পক্ষে অশুচি। তোমরা এগুলোর মাংস খাবে না, এগুলোর লাশও স্পর্শ করবে না।
9 জলচর প্রাণীর মধ্যে যে সকল জন্তু তোমরা খেতে পারবে, সেগুলো এই : যেগুলোর ডানা ও আঁশ আছে, সেগুলো খেতে পারবে ;
10 কিন্তু যেগুলোর ডানা ও আঁশ নেই, সেগুলো খেতে পারবে না; সেগুলো তোমাদের পক্ষে অশুচি।
11 তোমরা সবপ্রকার শুচি পাখি খেতে পারবে;
12 কিন্তু এগুলি খাবে না :
13 ঈগল, হাড়গিলে ও কুরস, চিল ও যে কোন প্রকার গৃধ্র,
14 যে কোন প্রকার কাক,
15 উটপাখি, রাত্রিশ্যেন, গাঙচিল ও যে কোন প্রকার শোন,
16 পেচক, মহাপেচক ও দীর্ঘগল হাঁস,
17 ক্ষুদ্র গগনভেলা, শকুন ও মাছরাঙা, সারস ও যে কোন প্রকার বক, টিটিভ ও বাদুড়।
18 যে কোন পোকার পাখা আছে, তাও তোমাদের পক্ষে
19 অশুচি ; তা তোমরা খাবে না।
20 'তোমরা যাবতীয় শুচি পাখি খেতে পারবে।
21 এমনি মারা গেছে তেমন পশুর মাংস তোমরা খাবে না; তোমার নগরদ্বারের মধ্যে বাস করে কোন বিদেশীকে তা খাবারের মত দিতে পারবে, কিংবা বিজাতীয় • লোকের কাছে তা বিক্রি করতে পারবে, কেননা তুমি তোমার পরমেশ্বর প্রভুর উদ্দেশে । পবিত্রীকৃতই এক জাতি। তুমি ছাগলের বাচ্চা তার মায়ের দুধে সিদ্ধ করবে না।'
22 তুমি তোমার বীজ থেকে উৎপন্ন যাবতীয় শস্যের, বছরে বছরে যা মাঠে উৎপন্ন হয়, তার দশমাংশ আলাদা করে রাখবে।
23 তোমার পরমেশ্বর প্রভু তাঁর আপন নামের আবাসরূপে যে স্থান বেছে নেবেন, সেইখানে তুমি তোমার গম, নতুন আঙুররস ও তেলের দশমাংশ, এবং গবাদি পশুপাল ও মেষ ছাগের পালের প্রথমজাতদের তাঁর সাক্ষাতে খাবে ; এইভাবে তোমার পরমেশ্বর প্রভুকে ভয় করতে শিখবে।
24 কিন্তু সেই যাত্রাপথ যদি তোমার পক্ষে বেশি দীর্ঘ হয়, এবং তোমার পরমেশ্বর প্রভু তাঁর আপন নামের আবাসরূপে যে স্থান বেছে নেবেন, তার দূরত্বের জন্য যদি তুমি তোমার এই সমস্ত দশমাংশ— তোমার পরমেশ্বর প্রভু তো তোমাকে আশীর্বাদই করেছেন! ― সেখানে নিয়ে যেতে না পার
25 তবে সেই সমস্ত কিছু টাকায় পরিবর্তন করে সেই টাকা হাতের মুঠোয় করে তোমার পরমেশ্বর প্রভুর বেছে নেওয়া স্থানে যাবে।
26 সেই টাকা দিয়ে তোমার ইচ্ছামত বলদ বা মেষ বা আঙুররস বা উগ্র পানীয় বা যে কোন জিনিসে তোমার রুচি হয়, তা কিনে সেইখানে তোমার পরমেশ্বর প্রভুর সাক্ষাতে খেয়ে তোমার পরিবার-পরিজনদের সঙ্গে আনন্দ করবে।
27 তোমার নগরদ্বারের মধ্যে বাস করে সেই লেবীয়কে একা ফেলে রাখবে না, কেননা তোমার সঙ্গে তার কোন অংশ বা উত্তরাধিকার নেই।
28 প্রতি তৃতীয় বছর শেষে তুমি সেই বছরে উৎপন্ন তোমার শস্যের যাবতীয় দশমাংশ বের করে এনে তোমার নগরদ্বারের ভিতরে সঞ্চয় করে রাখবে;
29 তোমার সঙ্গে যার কোন অংশ বা উত্তরাধিকার নেই, সেই লেবীয়, এবং বিদেশী, এতিম ও বিধবা, তোমার নগরদ্বারের মধ্যে বাস করে এই সকল লোক এসে তৃপ্তির সঙ্গেই খাওয়া-দাওয়া করবে; তবেই যত কাজে তুমি হাত দিয়েছ, সেই সকল কাজে তোমার পরমেশ্বর প্রভু তোমাকে আশীর্বাদ করবেন।