1 তুমি তোমার শত্রুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গিয়ে যখন তোমার চেয়ে বেশি ঘোড়া, রথ ও লোক দেখবে, তখন ভীত হয়ো না, কেননা তোমার সঙ্গে সঙ্গে সেই পরমেশ্বর প্রভুই আছেন, যিনি মিশর দেশ থেকে তোমাকে বের করে এনেছেন।
2 তোমরা সংগ্রামের সম্মুখীন হলে যাজক এগিয়ে এসে জনগণকে উদ্দেশ করে কথা বলবে,
3 তাদের বলবে শোন, ইস্ৰায়েল! তোমরা আজ তোমাদের শত্রুদের সঙ্গে সংগ্রাম করতে সম্মুখীন হচ্ছ; তোমাদের হৃদয় দুর্বল না হোক; ভয় করো না, দিশেহারা হয়ো না, ওদের কারণে সন্ত্রাসিত হয়ো না ;
4 কেননা তোমাদের পরমেশ্বর প্রভুই তোমাদের ত্রাণ করার জন্য তোমাদের পক্ষে তোমাদের শত্রুদের সঙ্গে সংগ্রাম করতে তোমাদের সঙ্গে সঙ্গে হেঁটে চলছেন।
5 শাস্ত্রীরা জনগণকে এই কথা বলবে : তোমাদের মধ্যে কে আছে, যে নতুন ঘর তৈরি করে এখনও তা [ঈশ্বরের উদ্দেশে] উৎসর্গ করেনি? সে ঘরে ফিরে যাক, পাছে সে যুদ্ধক্ষেত্রে মরলে অন্য কেউ তা উৎসর্গ করে।
6 কে আছে, যে আঙুর খেত প্রস্তুত করে তার প্রথম ফল এখনও ভোগ করেনি? সে ঘরে ফিরে যাক, পাছে সে যুদ্ধক্ষেত্রে মরলে অন্য কেউ তার প্রথম ফল ভোগ করে।
7 কে আছে, যার বাগবিবাহ হয়েছে কিন্তু পাক্কা বিবাহ এখনও হয়নি? সে ঘরে ফিরে যাক, পাছে সে যুদ্ধক্ষেত্রে মরলে অন্য কেউ সেই কনেকে নেয়।
8 শাস্ত্রীরা জনগণের কাছে আরও কথা বলবে; তারা বলবে: ভীত ও দুর্বলহৃদয় কে আছে? সে ঘরে ফিরে যাক, পাছে সে তার ভাইদেরও দুর্বলহৃদয় করে।
9 জনগণের কাছে কথা বলা শেষ করার পর শাস্ত্রীরা জনগণের উপরে সেনাপতি নিযুক্ত করবে।
10 যখন তুমি কোন শহর আক্রমণ করার জন্য তার দিকে এগিয়ে যাবে, তখন তার কাছে আগে শান্তির প্রস্তাব করবে।
11 যদি সেই শহর বলে “শান্তি!” ও তোমার জন্য দ্বার খুলে দেয়, তবে সেই শহরে যত মানুষ পাওয়া যায়, তারা তোমাকে কর দেবে ও তোমার সেবা করবে।
12 কিন্তু যদি শহরটা তোমার শান্তির প্রস্তাব ফিরিয়ে - দিয়ে যুদ্ধই চায়, তবে তুমি সেই শহর অবরোধ করবে।
13 তোমার পরমেশ্বর প্রভু তা তোমার হাতে তুলে দিলে পর তুমি তার সমস্ত পুরুষলোককে খঙ্গের আঘাতে মেরে ফেলবে,
14 কিন্তু স্ত্রীলোক, ছেলেমেয়ে ও পশুরা ইত্যাদি শহরের সবকিছু, সমস্ত লুটের মাল তুমি তোমার জন্য লুণ্ঠিত সম্পদরূপে কেড়ে নেবে, আর তোমার পরমেশ্বর প্রভু যে শত্রুদের লুটের মাল তোমাকে দেবেন, তাদের সেই লুটের মাল তুমি ভোগ করবে।
15 এই নিকটবর্তী জাতিগুলোর শহর ছাড়া যে সকল শহর তোমার কাছ থেকে অনেক দূরে আছে, সেগুলোর প্রতিও তেমনি করবে।
16 কিন্তু এই জাতিগুলোর যে সকল শহর তোমার পরমেশ্বর প্রভু উত্তরাধিকার-রূপে তোমাকে দিচ্ছেন, সেই সবগুলোর মধ্যে তুমি একটা প্রাণীকেও জীবিত রাখব না।
17 তুমি তোমার পরমেশ্বর প্রভুর আজ্ঞামত তাদের হিন্তীয়, আমোরীয়, কানানীয়, পেরিজীয়, হিব্বীয় ও যে সীয়দের বিনাশ-মানতের বস্তু করবে,
18 পাছে তারা তাদের দেবতাদের উদ্দেশে যে সমস্ত জঘন্য কাজ করে, তেমনি করতে তোমাদেরও শেখায়; তেমনটি করলে তোমরা তোমাদের পরমেশ্বর প্রভুর বিরুদ্ধে পাপ করবে।
19 যখন তুমি কোন শহর দখল ও জয় করার জন্য বহুদিন ধরে তা অবরোধ কর, তখন কুড়াল দিয়ে সেখানকার গাছপালা কেটে ধ্বংস করবে না : তুমি তার ফল খাবে, কিন্তু গাছটা কাটবে না, কেননা মাঠের গাছ কি একটা মানুষ যে তাও তোমার অবরোধের বস্তু হবে?
20 কিন্তু যে যে গাছ তুমি জান ফলদায়ী গাছ নয়, সেগুলোকে ধ্বংস করতে ও কাটতে পারবে, যেন, যে শহর তোমার সঙ্গে যুদ্ধ করছে, তার পতন না হওয়া পর্যন্ত সেই শহরের বিরুদ্ধে জাঙাল বাঁধতে পার।