1 তখন এলিয়াসিব মহাযাজক ও তাঁর ভাই যাজকেরা মেঘদ্বার গাঁথতে লাগলেন; তাঁরা দ্বার পবিত্রীকৃত করলেন ও তার কবাট বসালেন ; পরে মেয়া-দুর্গ থেকে হানানেয়েল-দুর্গ পর্যন্ত প্রাচীর নির্মাণকাজ চালিয়ে প্রাচীরটা পবিত্রীকৃত করলেন।
2 তাঁর পাশে পাশে যেরিখোর লোকেরা গাঁথছিল, আর এদের পাশে পাশে ইস্ত্রির সন্তান জাক্কুর গাঁথছিল।
3 শেনায়ার সন্তানেরা মৎস্যদ্বার গাঁথল : তার কাঠামোটা তৈরি করে তার কবাট বসাল এবং খিল ও অর্গল দিল।
4 তাদের পাশে হাক্কোসের পৌত্র উরিয়ার সন্তান মেরেমোৎ মেরামত করছিল; পাশে মেসেজাবেলের পৌত্র বেরেডিয়ার সন্তান মেওয়াম মেরামত করছিল। তাদের পাশে বানার সন্তান সাদোক মেরামত করছিল।
5 তাদের পাশে তেকোয়ীয়েরা মেরামত করছিল, কিন্তু তাদের জননেতারা তাদের মনিবদের কাজে ঘাড় দিল না!
6 পাসেয়াহুর সন্তান যোইয়াদা ও বেসোদিয়ার সন্তান মেঞ্জাম পুরাতন দ্বার মেরামত করল; তারা তার কাঠামোটা তৈরি করে তার কবাট বসাল এবং খিল ও অর্গল দিল।
7 তাদের পাশে গিরেয়োনীয় মেলাটিয়া ও মেরোনোথীয় যাদোন এবং গিবেয়োন ও মিস্পার লোকেরা মেরামত করছিল, এরা [ইউফ্রেটিস] নদীর ওপারের প্রদেশপালের অধীন হয়ে কাজ করছিল।
8 তাদের পাশে স্বর্ণকারদের মধ্যে হারাইয়ার সম্ভান উজ্জিয়েল মেরামত করছিল; তার পাশে সুগন্ধি প্রস্তুতকারকদের মধ্যে হানানিয়া মেরামত করছিল, তারা চওড়া প্রাচীরে না আসা পর্যন্ত যেরুসালেম ছাড়ল না।
9 তাদের পাশে যেরুসালেম প্রদেশের অর্ধভাগের প্রধান সেই রেফাইয়া মেরামত করছিলেন, তিনি হুরের সন্তান।
10 তাদের পাশে হারুমাফের সন্তান যেদাইয়া নিজের বাড়ির সামনে মেরামত করছিল; তার পাশে হাসবানিয়ার সন্তান হাটুশ মেরামত করছিল।
11 হারিমের সন্তান মাল্কিয়া ও পাহাৎ- মোয়াবের সন্তান হাসুৰ অন্য এক ভাগ ও তন্দুর-দুর্গ মেরামত করছিল।
12 তার পাশে যেরুসালেম প্রদেশের অর্ধভাগের প্রধান সেই শাল্লুম—যিনি হাল্লোহেশের সন্তান—ও তাঁর মেয়েরা মেরামত করছিলেন।
13 হানুন ও জানোয়াহ্-নিবাসীরা উপত্যকা-দ্বার মেরামত করল : তারা নতুন গাঁথনি দিল, তার কবাট বসাল এবং খিল ও অর্গল দিল; তাছাড়া সার-দ্বার পর্যন্ত প্রাচীরের এক হাজার হাত মেরামত করল।
14 বেথ-হেরেম প্রদেশের প্রধান সেই মাল্কিয়া সার-দ্বার মেরামত করলেন, তিনি রেখাবের সন্তান : তিনি নতুন গাঁথনি দিলেন, তার কবাট বসালেন এবং খিল ও অর্গল দিলেন।
15 মিস্পা প্রদেশের প্রধান সেই শাল্গুন ঝরনাধার মেরামত করলেন, তিনি কোল-হোজের সন্তান : তিনি তা গাঁথলেন, তার ছাদ দিলেন, তার কবাট বসালেন এবং খিল ও অর্গল দিলেন; যে সিঁড়ি দাউদ-নগরী থেকে নামে, সেই পর্যন্ত রাজার উদ্যানের সামনের পুকুরের প্রাচীর তিনি মেরামত করলেন।
16 তাঁর পরপরে বেথ-সুর প্রদেশের অর্থভাগের প্রধান সেই নেহেমিয়া — তিনি আজকের সন্তান—দাউদের সমাধিমন্দিরের সামনে পর্যন্ত, খনন করা পুকুর পর্যন্ত ও বীরপুরুষদের বাড়ি পর্যন্ত মেরামত করলেন।
17 তাঁর পরপরে লেবীয়েরা, বিশেষভাবে বানির সন্তান রেহুম মেরামত করছিল; তার পাশে কেইলা প্রদেশের অর্ধভাগের প্রধান সেই হাসাবিয়া তাঁর নিজের প্রদেশের পক্ষে মেরামত করছিলেন।
18 তাঁর পরপরে তাদের ভাইয়েরা অর্থাৎ কেইলা প্রদেশের অপর অর্ধভাগের প্রধান সেই বিন্নুই মেরামত করছিলেন, তিনি হেনাদাদের সন্তান।
19 তাঁর পাশে মিস্পার প্রধান সেই এজের—তিনি যেওয়ার সন্তান— অস্ত্রাগারের দিকে আরোহণ-পথের উল্টো দিকে, বাঁকেই, প্রাচীরের আর এক ভাগ মেরামত করছিলেন।
20 তাঁর পরপরে জাব্বাইয়ের সন্তান বারুক মন দিয়ে বাঁক থেকে মহাযাজক এলিয়াসিবের বাড়ির দরজা পর্যন্ত আর এক ভাগ মেরামত করছিল।
21 তার পরপরে হাক্কোসের পৌত্র উরিয়ার সন্তান মেরেমোৎ এলিয়াসিবের বাড়ির দরজা থেকে এলিয়াসিবের বাড়ির প্রান্ত পর্যন্ত আর এক ভাগ মেরামত করছিল।
22 তার পরপরে আশেপাশে নিবাসী যাজকেরা মেরামত করছিল।
23 তাদের পরপরে বেঞ্জামিন ও আসুব তাদের নিজেদের বাড়ির সামনে মেরামত করছিল। তাদের পরপরে আনানিয়ার পৌত্র মাসেইয়ার সন্তান আজারিয়া তার নিজের বাড়ির পাশে মেরামত করছিল।
24 তার পরপরে হেনাদাদের সন্তান বিন্নুই আজারিয়ার বাড়ি থেকে বাক ও কোণ পর্যন্ত আর এক ভাগ মেরামত করল।
25 উজাইয়ের সন্তান পালাল বাঁকের সামনে, এবং কারাগারের প্রাঙ্গণের নিকটবর্তী রাজপ্রাসাদের উপরতলা থেকে বহির্বর্তী দুর্গের সামনে মেরামত করল; তার পরপরে পারোশের সন্তান পেদাইয়া
26 (নিবেদিতেরা ওফেলেই বাস করত) পুবদিকে সলিলদ্বারের সামনে পর্যন্ত ও বহির্বর্তী দুর্গের উল্টো দিকে মেরামত করছিল।
27 তাদের পরপরে তেকোয়ীয়েরা মহাদুর্গ থেকে ওফেলের প্রাচীর পর্যন্ত আর এক ভাগ মেরামত করল।
28 যাজকেরা অশ্ব-দ্বারের উপরের দিকে, প্রত্যেকে নিজ নিজ বাড়ির সামনে মেরামত করছিল।
29 তাদের পরপরে ইম্মেরের সন্তান সাদোক তার নিজের বাড়ির সামনে মেরামত করছিল, ও তার পরপরে পুবদ্বারের দ্বারপাল শেমাইয়া মেরামত করছিলেন, তিনি শেখানিয়ার সন্তান।
30 তাঁর পরপরে শেলেমিয়ার সন্তান হানানিয়া ও জালাফের ষষ্ঠ সন্তান হানুন আর এক ভাগ মেরামত করল। তার পরপরে বেরেখিয়ার সন্তান মেগুল্লাম তার নিজের কামরার সামনে মেরামত করছিল।
31 তার পরপরে মাল্কিয়া নামে স্বর্ণকারদের একজন নিবেদিতদের ও বণিকদের বাড়ি পর্যন্ত, এবং কোণের উপরতলা পর্যন্ত মিল্কাদ দ্বারের সামনে মেরামত করছিল।
32 কোণের উপরতলা ও মেঘদ্বারের মধ্যে স্বর্ণকারেরা ও বণিকেরা মেরামত করছিল।
33 সাবাল্লাট যখন শুনতে পেল, আমরা নগরপ্রাচীর গেঁথে তুলছি, তখন সে ক্রুদ্ধ ও খুবই ক্ষুব্ধ হয়ে উঠল; সে ইহুদীদের বিদ্রূপ করতে লাগল,
34 এবং তার ভাইদের ও সামারীয় সৈন্যদের সামনে বলল, 'এই মরা ইহুদীরা কী করতে চাচ্ছে? এরা কি পিছটান দেবে? এরা কি যজ্ঞবলি উৎসর্গ করবে? এরা এক দিনেই কি সব কাজ সেরে ফেলতে যাচ্ছে? ধুলামাটির স্তূপের নিচে পড়ে রয়েছে ও আগুনে পোড়া হয়েছে, এমন পাথরের মধ্যে এরা কি নতুন প্রাণ জাগাতে চাচ্ছে??
35 আম্মোনীয় তোবিয়াস সেসময়ে তার পাশে দাঁড়িয়ে ছিল; সেও বলল, 'ওরা গাঁথতে চাচ্ছে গাধুক! তার উপরে একটা শিয়াল লাফ দিলেই ওদের সেই পাথরের প্রাচীর খসে পড়বে।'
36 হে আমাদের পরমেশ্বর, শোন, আমাদের কেমন তুচ্ছ করা হচ্ছে! ওদের টিটকারি ওদেরই মাথায় নেমে পড়ুক! লুটের মালের মতই বন্দিদশার এক দেশে ওদের পাঠাও!
37 ওদের শঠতা ক্ষমা করো না, ওদের পাপ তোমার সম্মুখ থেকে কখনও মুছে না যাক, কারণ ওরা গাঁথকদের অপমান করেছে!
38 অপরদিকে আমরা প্রাচীর গাথতে থাকলাম; প্রাচীরটা সব জায়গায় তার অর্ধেক উচ্চতা পর্যন্ত গাঁথা হল ; লোকদের হৃদয় এই কাজে নিবিষ্ট ছিল।