Index

উপদেশক - Chapter 6

1 আমি সূর্যের নিচে আর এক অনিষ্ট লক্ষ করেছি, তা মানুষের পক্ষে ভারী :
2 পরমেশ্বর একজনকে এত ধনসম্পত্তি ও সম্মান দেন যে, আকাঙ্ক্ষিত যত বস্তুর মধ্যে তার জন্য কিছুই ঘাটতি পড়ে না, কিন্তু পরমেশ্বর তা ভোগ করতে তাকে দেন না, আসলে অপর কেউ তা ভোগ করে ; এ অসার ও অনিষ্টকর দুর্দশা।
3 ধরা যাক : একজনের একশ'টি সন্তান আছে, বহু বছর বেঁচে দীর্ঘজীবীও হয়, কিন্তু সে যদি মঙ্গল ভোগ করতে না পারে, তার যদি সমাধিও না থাকে, তাহলে আমার কথা হল, তার চেয়ে বরং অকালজাত শিশুও আরামে আছে।
4 হ্যাঁ, সে বৃথাই আসে, অন্ধকারে চলে যায়, আর তার নাম অন্ধকারে আচ্ছন্ন থাকে ;
5 সে সূর্যও দেখতে পায়নি, সূর্যের কথা পর্যন্তও জানতে পারেনি; অথচ সেই প্রথমজনের চেয়ে এরই বিশ্রাম আরামদায়ক।
6 কেননা দু'হাজার বছর বাঁচলেও সে কখনও মঙ্গল ভোগ করবে না। পরিশেষে সকলকে কি একই জায়গায় যেতে হবে না?
7 মানুষের সমস্ত পরিশ্রম তার মুখের জন্য, অথচ তার আকাঙ্ক্ষা কখনও তৃপ্তি পায় না।
8 নির্বোধের চেয়ে প্রজ্ঞাবানের লাভজনক কী আছে? জীবিতদের সামনে সদাচরণ করতে জানে এমন দীনহীনের কী লাভ?
9 আকাঙ্ক্ষার হুলের চেয়ে বরং যা দৃষ্টিগোচর তা-ই শ্রেয়। কেননা এও অসার, এও বাতাসের পিছনে ধাওয়া করামাত্র।
10 যা হয়েছে, অনেক দিন থেকেই তার একটা নাম আছে ; হ্যাঁ, সকলে জানে, মানুষ যে কি : নিজের চেয়ে বলবানের সঙ্গে লড়াই করতে সে অসমর্থ।
11 বহু কথা অসারতা বাড়ায় : তাতে মানুষের কি উপকার?
12 বস্তুত জীবনকালে মানুষের মঙ্গল কি, তা কে জানে? তার অসার জীবনকাল তো সে ছায়ার মতই কাটায় ; আর কেইবা মানুষকে জানাতে পারে, তার চলে যাওয়ার পরে সূর্যের নিচে কী ঘটবে?