Index

উপদেশক - Chapter 11

1 তোমার রুটি জলের উপরে ছুড়ে দাও, অনেক দিনের পরে তা আবার পাবে।
2 সাতজনকে, এমনকি, আটজনকেও একটা অংশ দাও, পৃথিবীতে কি দুর্দশা ঘটবে, তা তুমি জান না।
3 মেঘপুঞ্জ যখন বর্ষার জলে ভরে যায়, তখন সেই জল মর্তের উপরে বর্ষণ করে ; গাছ যখন ডানে বা বামে পড়ে, তখন গাছটা যে দিকে পড়ে, সেই দিকে থাকে।
4 যে বাতাস মানে, সে কখনও বীজ বুনবে না ; যে মেঘের দিকে তাকিয়ে থাকে, সে কখনও ফসল কাটবে না।
5 বাতাসের গতি যেমন তুমি জান না, গর্ভবতীর গর্ভে হাড় কেমন গঠিত হয়, তাও যেমন তুমি জান না, তেমনি সবকিছুর সাধক সেই পরমেশ্বরের কাজও তুমি জান না।
6 তুমি সকালে তোমার বীজ বোন, সন্ধ্যা পর্যন্ত তোমার হাতকে বিশ্রাম নিতে দিয়ো না, কেননা এটা বা সেটা, কোন্‌টা সফল হবে, কিংবা উভয় সমভাবে ভাল হবে কিনা, তা তুমি জান না।
7 আলো মধুর, চোখ সূর্য দেখতে প্রীত।
8 অনেক বছর জীবিত থাকলেও মানুষ সেই সমস্ত বছরের সুখ ভোগ করুক ; কিন্তু সে একথা স্মরণে রাখুক যে, অন্ধকারময় দিন বহু হবে। যা কিছু ঘটে, তা সবই অসার!
9 হে যুবক, তোমার তরুণ বয়সে আনন্দ কর, তোমার এই যৌবনকালে তোমার হৃদয় উৎফুল্ল হোক; তোমার হৃদয়ের যত পথ, তোমার চোখের বাসনা, সবই পালন কর; কিন্তু স্মরণে রেখ, পরমেশ্বর এই সমস্ত কিছুর বিষয়ে তোমাকে বিচারমঞ্চে আহ্বান করবেন।
10 তোমার হৃদয় থেকে ক্ষোভ দূর করে দাও, শরীর থেকে দুঃখ সরিয়ে দাও, কারণ তরুণবয়স ও কৃষ্ণবর্ণ চুল, দু'টোই অসার।