1 এরপর আমার দর্শনে আমি দেখতে পেলাম, স্বর্গে একটা দরজা খোলা রয়েছে, এবং তুরিধ্বনির মত ধ্বনিত সেই যে কণ্ঠ আগে আমার কাছে কথা বলতে শুনেছিলাম, সেই কণ্ঠ বলল: 'এখানে উঠে এসো; আমি সেই সবকিছু দেখাব, পরবর্তীতে যা অবশ্যই ঘটবার কথা।
2 তখনই আমি আত্মায় আবিষ্ট হলাম; আর দেখ, স্বর্গে একটা সিংহাসন বসানো রয়েছে, আর সেই সিংহাসনে কে যেন একজন সমাসীন।
3 যিনি সমাসীন, তিনি দেখতে সূর্যকান্ত বা রুধিরাখ্য মণির মত; আর সেই সিংহাসনের চারদিকে পান্নার মত দেখতে এক রঙধনু।
4 আর সিংহাসনটির চারদিকে চব্বিশটা সিংহাসন, ও সেই সকল সিংহাসনে চব্বিশজন প্রবীণ আসীন : তাঁরা শুভ্র বসনে পরিবৃত, এবং তাঁদের মাথায় সোনার মুকুট।
5 সেই সিংহাসন থেকে বিদ্যুৎ-বালক, নানা স্বরধ্বনি ও বজ্রনাদ নির্গত হচ্ছে; এবং সিংহাসনের সামনে জ্বলছে অগ্নিময় সাতটা প্রদীপ— ঈশ্বরের সপ্ত আত্মা।
6 আর সেই সিংহাসনের সামনে রয়েছে যেন স্ফটিকের মত স্বচ্ছ কাঁচের এক সমুদ্র। সিংহাসনের মাঝখানে ও সিংহাসনের চারদিকে চার প্রাণী; সামনে পিছনে তাঁরা চোখে পরিপূর্ণ।
7 প্রথম প্রাণী সিংহের মত, দ্বিতীয় প্রাণী বৃদ্ধের মত, তৃতীয় প্রাণীর মানুষের মত মুখ, চতুর্থ প্রাণী উড়ন্ত ঈগলের মত।
8 সেই চার প্রাণীর প্রত্যেকেরই ছ'টা করে ডানা আছে, তারা চারদিকে ও ভিতরে চোখে পরিপূর্ণ; তাঁরা দিনরাত অবিরাম বলতে থাকেন : 'পবিত্র, পবিত্র, পবিত্র প্রভু পরমেশ্বর সেই সর্বশক্তিমান, যিনি ছিলেন, যিনি আছেন, যিনি আসছেন !
9 আর যিনি সিংহাসনে সমাসীন, যিনি চিরদিন চিরকাল জীবিত থাকেন, তাঁর উদ্দেশে সেই প্রাণীরা যখন তাঁর গৌরব, সম্মান ও ধন্যবাদ-স্তুতি গান করেন,
10 তখন যিনি সিংহাসনে সমাসীন, তাঁর সামনে ওই চব্বিশজন প্রবীণ প্ৰণিপাত করেন, এবং যিনি চিরদিন চিরকাল জীবিত থাকেন, তাঁরা তাঁর আরাধনা করেন, ও নিজ নিজ মুকুট সিংহাসনের সামনে ফেলে বলেন :
11 ‘প্রভু, আমাদের ঈশ্বর, তুমি গৌরব, সম্মান ও পরাক্রম গ্রহণের যোগ্য ; কারণ তুমিই সমস্ত সৃষ্টি করেছ, তোমার ইচ্ছায়ই সেই সমস্ত কিছু হয়েছে, সৃষ্ট হয়েছে।'