Index

প্রত্যাদেশ - Chapter 13

1 আর আমি দেখতে পেলাম, সমুদ্রের মধ্য থেকে একটা পশু উঠছে; তার দশটা শিং ও সাতটা মাথা : শিংগুলিতে দশটা কিরীট, এবং এক একটা মাথায় একটা করে ঈশ্বরনিন্দাজনক একটা নাম।
2 সেই যে পশুকে আমি দেখতে পেলাম, সে চিতাবাঘের মত, তার পা ভালুকের পায়ের মত, ও মুখ সিংহের মুখের মত। নাগদানবটা তার নিজের পরাক্রম, সিংহাসন ও মহা অধিকার তাকেই দিয়ে দিল।
3 মনে হচ্ছিল, তার মাথাগুলোর একটা যেন মারাত্মক আঘাতে আঘাতগ্রস্ত, কিন্তু তার সেই মারাত্মক ঘা সেরে গেছিল। গোটা পৃথিবী আশ্চর্য হয়ে তার পিছু পিছু চলতে লাগল ;
4 আর মানুষেরা নাগদানবের সামনে প্রণিপাত করল, কারণ সে তার নিজের অধিকার সেই পশুকে দিয়েছিল; তারা এই বলে পশুটার সামনে প্রণিপাত করল : 'কে পশুটার মত? আর তার সঙ্গে যুদ্ধ করা কার সাধ্য?'
5 পশুটাকে এমন এক মুখ দেওয়া হল, যা উদ্ধৃত কথা ও ঈশ্বরনিন্দাজনক কথা উচ্চারণ করে; তাকে বিয়াল্লিশ মাস ধরে কাজ চালাবার অধিকারও দেওয়া হল।
6 আর সে ঈশ্বরকে নিন্দা করার জন্য মুখ খুলল, তাঁর নাম ও তাঁর তাঁবু নিন্দা করতে লাগল, তাঁদেরও নিন্দা করতে লাগল, স্বর্গে যাঁদের তাঁর।
7 তাকে এমনটি দেওয়া হল, সে যেন পবিত্রজনদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে পারে, তাদের জয়ও করতে পারে ; প্রতিটি গোষ্ঠী, ভাষা ও দেশের মানুষের উপরে কর্তৃত্বও তাকে দেওয়া হল।
8 আর পৃথিবীর সকল অধিবাসী তাকে পূজা করবে, অর্থাৎ তারাই, জগৎপত্তনের সময় থেকে যাদের নাম বলীকৃত সেই মেষশাবকের জীবন-পুস্তকে লেখা নেই।
9 যার কান আছে, সে শুনুক :
10 বন্দিদশার পাত্র বন্দিদশার হাতে, খড়াজনিত মৃত্যুর পাত্র খড়াজনিত মৃত্যুর হাতে : এজন্যই পবিত্রজনদের নিষ্ঠা ও বিশ্বাস থাকা চাই!
11 পরে আমি দেখতে পেলাম, আর একটা পশু স্থলভূমির মধ্য থেকে উঠে আসছে : মেষশাবকের মত তার দু'টো শিং, কিন্তু নাগদানবের মত কথা বলত।
12 সে ওই প্রথম পশুর সমস্ত কর্তৃত্ব তার সাক্ষাতে অনুশীলন করে; এবং সেই যে প্রথম পশু, যার মারাত্মক ঘা সেরে গেছিল, এই পশুটা পৃথিবীকে ও তার অধিবাসীদের তাকে পূজা করতে বাধ্য করে।
13 সে মহা মহা চিহ্নকর্ম সাধন করে : এমনকি মানুষের চোখের সামনে স্বর্গ থেকে পৃথিবীর উপরে আগুন নামায়।
14 এইভাবে সেই পশুর সামনে যে সকল চিহ্নকর্ম সাধনের ক্ষমতা তাকে দেওয়া হয়েছিল, তার মধ্য দিয়ে সে পৃথিবীর অধিবাসীদের ভোলায় ; পৃথিবীর অধিবাসীদের সে এমনটি বলে, খড়ের আঘাতে আহত হয়েও যে পশু বেঁচেছিল, তারা যেন তার উদ্দেশে একটা মূর্তি দাঁড় করায়।
15 শুধু তা নয় : ওই পশুর মূর্তির মধ্যে প্রাণবায়ু দিতেও তাকে দেওয়া হল, যেন ওই পশুর মূর্তি কথাও বলতে পারে, এবং যারা ওই পশুর মূর্তির উদ্দেশে প্রণিপাত করবে না, তাদের সকলের মৃত্যুদণ্ডও ঘটাতে পারে।
16 সে এমনটি করত, যেন ছোট-বড়, ধনী-দরিদ্র, স্বাধীন মানুষ-ক্রীতদাস সকলেই ডান হাতে বা কপালে একটা প্রতীক-চিহ্নে চিহ্নিত হয়; আরও,
17 তেমন প্রতীক-চিহ্ন অর্থাৎ ওই পশুটার নাম কিংবা তার নামের সংখ্যা যে কেউ ধারণ না করে, তারা যেন কিছু কিনতেও না পারে, কিছু বেচতেও না পারে।
18 এইখানে প্রজ্ঞা বিরাজ করে! যার জ্ঞান আছে, সে ওই পশুর সংখ্যা গণনা করুক; কেননা তা একটা মানুষের সংখ্যা — সংখ্যাটা হচ্ছে ছ'শো ছেষট্টি।