1 পরে লম্বা লাঠির মত দেখতে একটা নল আমার হাতে দেওয়া হল, আর আমাকে বলা হল : ওঠ, ঈশ্বরের পবিত্রধাম ও যজ্ঞবেদি ও যারা তার মধ্যে উপাসনা করে, সেই সমস্ত মেপে নাও।
2 কিন্তু পবিত্রধামের বাইরের প্রাঙ্গণ বাদ দাও, তার মাপও নিয়ো না, কারণ তা বিধর্মীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে : তারা বিয়াল্লিশ মাস ধরে পবিত্র নগরীকে পায়ে মাড়িয়ে দেবে।
3 কিন্তু আমি এমনটি করব, যেন আমার দুই সাক্ষী চটের কাপড় পরে এক হাজার দু'শো ঘাট দিন ধরে নিজেদের নবীয় ভূমিকা পালন করতে পারেন।
4 এঁরা হলেন সেই দুই জলপাইগাছ ও দুই দীপাধার যা পৃথিবীর প্রভুর সামনে দাঁড়িয়ে আছে।
5 কেউ যদি তাঁদের ক্ষতি ঘটাতে চায়, তাঁদের মুখ থেকে এমন আগুন নির্গত হবে, যা তাঁদের শত্রুদের গ্রাস করবে। যে কেউ তাঁদের ক্ষতি ঘটাতে চাইবে, তাকে এভাবেই মরতে হবে।
6 তাঁদের হাতে রয়েছে আকাশ রুদ্ধ করার ক্ষমতা, যেন তাঁদের নবীয় সেবাকর্মের দিনগুলিতে বৃষ্টি না পড়ে; আবার তাঁদের হাতে রয়েছে জল রক্তে পরিণত করার, এবং যতবার ইচ্ছা, পৃথিবীকে ততবার সবরকম আঘাতে আঘাত করার ক্ষমতা।
7 তাঁরা নিজেদের সাক্ষ্যদান সমাপ্ত করার পর, অতল গহ্বর থেকে উঠে আসা সেই পশুটা তাঁদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে, এবং তাঁদের পরাস্ত করে হত্যাও করবে।
8 তাঁদের মৃতদেহ এখন সেই মহানগরীর সদর রাস্তায় পড়ে আছে, যে নগরীর সঙ্কেত-নাম হল সদোম বা মিশর—তাঁদের প্রভুকে সেইখানে ক্রুশে দেওয়া হয়েছিল।
9 যত জাতি, গোষ্ঠী, ভাষা ও দেশের মানুষ সাড়ে তিন দিন ধরে তাঁদের মৃতদেহের দিকে তাকিয়ে আছে, আর তাঁদের মৃতদেহের সমাধি দিতে দেয় না।
10 পৃথিবীর অধিবাসীরা তাঁদের দশায় আনন্দিত, ফূর্তি করে, একে অপরের মধ্যে উপহার আদান-প্রদান করে, কারণ এই দুই নবী পৃথিবীর অধিবাসীদের পক্ষে ছিলেন জ্বালাযন্ত্রণা স্বরূপ।
11 কিন্তু সেই সাড়ে তিন দিন পর ঈশ্বর থেকে নির্গত এক প্রাণবায়ু তাঁদের মধ্যে প্রবেশ করল, তখন তাঁরা নিজেদের পায়ে ভর দিয়ে উঠে দাঁড়ালেন ; আর যারা তাঁদের দেখতে পেল, তাদের উপরে ভীষণ আতঙ্ক নেমে এল।
12 তখন তাঁরা শুনতে পেলেন, স্বর্গ থেকে এক উদাত্ত কণ্ঠ তাঁদের বলছে, 'এখানে উঠে এসো”; আর তাঁদের শত্রুরা তাকিয়ে থাকতে থাকতে তাঁরা মেঘবাহনে স্বর্গে উঠে গেলেন।
13 একই ক্ষণে এমন মহাভূমিকম্প হল, যা নগরীর দশ ভাগের এক ভাগের পতন ঘটাল : সেই ভূমিকম্পে সাত হাজার মানুষ মারা পড়ল, আর বাকি সকলে ভয়ে অভিভূত হয়ে স্বর্গেশ্বরের গৌরবকীর্তন করতে লাগল।
14 দ্বিতীয় 'সর্বনাশ' গেল : দেখ, তৃতীয় 'সর্বনাশ শীঘ্রই আসছে।
15 সপ্তম স্বর্গদূত তুরি বাজালেন, আর হঠাৎ স্বর্গে উদাত্ত নানা কণ্ঠ চিৎকার করে বলল :
“জগতের রাজ্য আমাদের প্রভুর ও তাঁর খ্রিষ্টেরই রাজ্য হল :
তিনি রাজত্ব করবেন যুগে যুগে চিরকাল!'
16 তখন সেই চব্বিশজন প্রবীণ, খারা ঈশ্বরের সিংহাসনের সাক্ষাতে নিজ নিজ সিংহাসনে আসীন, তাঁরা উপুড় হয়ে প্রণিপাত করে এই বলে ঈশ্বরের আরাধনা করলেন :
17 ‘প্রভু, সর্বশক্তিমান ঈশ্বর, যে তুমি আছ, যে তুমি ছিলে,
আমরা তোমাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি,
কারণ তুমি তোমার মহাপরাক্রম ধারণ করে
রাজ্যভার গ্রহণ করলে।
18 বিজাতি সকল ক্রুদ্ধ হয়ে উঠল,
কিন্তু তোমারই ক্রোধ এসে গেছে,
এসে গেছে মৃতদের বিচারিত হওয়ার সময়,
তোমার দাস সেই নবী ও পবিত্রজন যারা,
ছোট-বড় যারা ভয় করে তোমার নাম,
তাদের সকলকে মজুরি দেওয়ার সময়,
এবং পৃথিবীকে যারা বিনাশ করছে,
তাদের বিনাশ করার সময় এসে গেছে।'
19 তখন ঈশ্বরের স্বর্গীয় পবিত্রধাম উন্মুক্ত হল, আর তাঁর মন্দিরের মধ্যে তাঁর সন্ধি-মঞ্জুষা দেখা গেল এবং বিদ্যুৎ ঝলক, নানা স্বরধ্বনি, বজ্রনাদ, ভূমিকম্প ও প্রচণ্ড শিলাবৃষ্টি দেখা দিতে লাগল ।