1 রাজা ও হামান এস্থার রানীর আয়োজিত ভোজে গেলেন,
2 এবং এই দ্বিতীয় দিনে ভোজ শেষের দিকে রাজা এস্থারকে আবার জিজ্ঞাসা করলেন, 'এছার রানী, আমাকে বল, তোমার কী অনুরোধ? আমি তা পূরণ করব। তোমার কী যাচনা? রাজ্যের অর্ধেক পর্যন্ত হলেও, তুমি ইচ্ছা করলে তা তোমার হবে।
3 এস্থার রানী উত্তরে বললেন, 'মহারাজ, আমি যদি আপনার দৃষ্টিতে অনুগ্রহ পেয়ে থাকি, যদি মহারাজ ভাল মনে করেন, তবে আমার নিজের প্রাণ মঞ্জুর করা হোক—এ আমার অনুরোধ; এবং আমার আপন জাতির প্রাণকে রেহাই দেওয়া হোক—এ আমার যাচনা।
4 কারণ আমি ও আমার স্বজাতি, সংহার, হত্যা ও বিনাশের উদ্দেশ্যেই এই আমাদের বিক্রি করা হয়েছে। কেবল দাস-দাসী হবার জন্যই আমাদের যদি বিক্রি করা হত, তবে আমি নীরব থাকতাম; কিন্তু এই পরিস্থিতিতে, মহারাজের যে ক্ষতি করা হচ্ছে, আমাদের নির্যাতকের পক্ষে তার ক্ষতিপূরণ করার সাধ্য হবে না।"
5 আহাসুয়েরোস রাজা সঙ্গে সঙ্গেই এস্থার রানীকে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘যার অন্তর এমন মতলবে ভরা, সে কে? সে কোথায় ?”
6 এস্থার উত্তরে বললেন, “সেই নির্যাতক? সেই শত্রু? সে তো এই দুর্জন হামান!' তখন হামান রাজার ও রানীর সামনে সন্ত্রাসিত হয়ে পড়ল।
7 রোষ-ভরা অন্তরে রাজা ভোজ হেড়ে রাজপ্রাসাদের উদ্যানে চলে গেলেন; আর হামান এস্থার রানীর কাছে নিজের প্রাণ ভিক্ষার জন্য সেখানে দাঁড়াল, কেননা সে স্পষ্টই দেখল যে, রাজার পক্ষ থেকে তার বিনাশ অবধারিত।
8 রাজা প্রাসাদের উদ্যান থেকে ভোজ-কক্ষে ফিরে আসছেন, এমন সময় এস্থার যে আসনে বসে আছেন, হামান তার উপরে পড়ে রয়েছে ; তখন রাজা বলে উঠলেন, 'এ কি! লোকটা আমার নিজের বাড়ির মধ্যে, আমার চোখের সামনেই কি রানীকে মানভ্রষ্টাও করবে?' রাজার মুখ থেকে এই কথা বেরিয়ে আসামাত্র হামানের মুখে একটা পরদা দেওয়া হল।
9 রাজার উপস্থিতিতে হার্বোনা নামে একজন কন্ধুকী বলল, “ওই যে! সেই পঞ্চাশ হাত উচ্চ ফাঁসিকাঠও আছে; যা হামান সেই মোর্দেকাইয়ের জন্যই তৈরি করেছিল, যিনি একসময় মহারাজের বড় সুবিধার জন্য কথা বলেছিলেন; তা তার নিজের বাড়িতেই প্রস্তুত আছে।' রাজা বললেন, 'একে তাতে ঝুলিয়ে দাও!'
10 ফলে হামান মোর্দেকাইয়ের জন্য যে ফাঁসিকাঠ তৈরি করেছিল, ঠিক তাতেই তাকে ঝুলানো হল; এবং রাজার ক্রোধ প্রশমিত হল।