1 প্রত্যেকে যেন অধিকারসম্পন্ন কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুগত হয়ে থাকে, কারণ ঈশ্বরের দেওয়া অধিকার ছাড়া অন্য অধিকার নেই, আর যত অধিকার রয়েছে, সবগুলো ঈশ্বর দ্বারা নিযুক্ত।
2 সুতরাং, যে কেউ অধিকারের বিরোধিতা করে, সে কিন্তু, ঈশ্বর যা নিয়োগ করেছেন, তারই বিরোধিতা করে ; আর যারা তেমন বিরোধিতা করে, তারা নিজেদের উপরে শাস্তি ডেকে আনবে।
3 কেননা যখন সৎকর্ম করা হয়, তখন নয়, কিন্তু যখন অসৎ কাজ করা হয়, তখনই শাসনকর্তাদের ভয় করা হয়। আর তুমি কি কর্তৃপক্ষের কাউকে ভয় পেতে চাও না? সৎকাজ কর, করলে তাঁর কাছ থেকে প্রশংসাই পাবে,
4 কেননা তিনি তোমার ও তোমার কল্যাণের জন্যই ঈশ্বরের সেবক। কিন্তু যদি অসৎ কাজ কর, তবে ভীত হও, কারণ তিনি এমনিই খড়্গা ধারণ করেন এমন নয়; বাস্তবিকই তিনি ঈশ্বরের সেবক — যে অসৎ কাজ করে, তাকে যোগ্য প্রতিফল দেবার জন্য।
5 সুতরাং কেবল শাস্তির ভয়ে শুধু নয়, কিন্তু সন্নিবেকের খাতিরেই অনুগত থাকা আবশ্যক।
6 আর এই কারণেই তো তোমরা করও দিয়ে থাক: তাঁরা ঈশ্বরের নিযুক্ত মানুষ, তাঁদের উপরে দেওয়া কাজই তাঁরা করে যান।
7 যার যা প্রাপ্য, তা তাকে দাও : যাঁকে কর দিতে হয়, তাঁকে কর দাও; যাঁকে শুল্ক দিতে হয়, তাঁকে শুল্ক দাও; যাঁকে ভয় করতে হয়, তাঁকে ভয় কর ; যাঁকে সম্মান করতে হয়, তাঁকে সম্মান কর।
8 পরস্পরের প্রতি ভালবাসার ঋণ ছাড়া, তোমরা কারও কাছে আর কোন ঋণ রেখো না ; কারণ পরকে যে ভালবাসে, সে বিধান সম্পূর্ণই সার্থক করেছে।
9 বাস্তবিকই তেমন আত্তয়া যেমন, ব্যভিচার করো না, নরহত্যা করো না, চুরি করো না, লোভ করো না, আর যে কোন আজ্ঞা থাকুক না কেন, সেই সকল আজ্ঞা এই একটা বচনেই সঙ্কলিত হয়েছে: তুমি তোমার প্রতিবেশীকে নিজের মত ভালবাস।
10 ভালবাসা প্রতিবেশীর কোন অনিষ্ট ঘটায় না ; অতএব ভালবাসাই বিধানের পূর্ণতা।
11 তাছাড়া, এখন কোন সময়, সে কথা তোমাদের তো জানাই আছে; এখন তো তোমাদের ঘুম থেকে জেগে ওঠারই লগ্ন; কেননা সেই যেদিন আমরা প্রথমে বিশ্বাস করেছিলাম, তখনকার চেয়ে আমাদের পরিত্রাণ এখন কাছেই এসে গেছে।
12 রাত শেষ হয়ে যাচ্ছে, দিন কাছে এসে গেছে। তাই অন্ধকারের কাজকর্ম পরিত্যাগ ক'রে, এসো, আলোরই উপযোগী রণসজ্জা পরিধান করি।
13 এসো, দিনমানের মত উজ্জ্বলভাবে চলাফেরা করি : বেসামাল ভোজ-উৎসব বা মাতলামি নয়, যৌন অনাচার বা যৌন উচ্ছৃঙ্খলতা নয়, বিবাদ বা ঈর্ষাও নয়;
14 তোমরা বরং স্বয়ং প্রভু যিশুখ্রিষ্টকেই পরিধান কর; মাংস ও তার যত কামনা-বাসনার চিন্তায় আর সময় ব্যয় করো না।